ফুল ফ্রি স্কলারশিপের আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের তিন বছর মেয়াদি পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যায়নের সুযোগ দিচ্ছে রাশিয়ার স্কলকভো ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (স্কলটেক)। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। আবেদনের শেষ সময় ৫ জুলাই ২০২৪।
স্কলটেক রাশিয়ার মস্কোতে অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সঙ্গে পার্টনারশিপে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্কলটেক ওয়ার্ল্ড র্যাআঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে। স্কলটেক মূলত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন ডিগ্রি দিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম নেই। এই স্কলারশিপ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের তত্ত্বাবধানে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবেঃ-
* পদার্থবিজ্ঞান
* লাইফ সায়েন্স
* ম্যাথমেটিকস অ্যান্ড মেকানিকস
* পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং
* ইঞ্জিনিয়ারিং সিস্টেম
* ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
* কম্পিউটেশনাল ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
* এগ্রোবায়োটেকনোলজিস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং
যোগ্যতাসমূহঃ-
* আবেদনকারীকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে।
* একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে।
* আবেদনকারী যদি মানবিক, সোশ্যাল সায়েন্স কিংবা ব্যবসায়ের কোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে থাকেন, তবে সে বিষয়ে তাঁদের কাজের অভিজ্ঞতা কিংবা ট্রেনিং থাকতে হবে।
* আইইএলটিএস স্কোর ৬ অথবা টোফেল স্কোর ৮০ থাকতে হবে।
* আবেদনকারী যদি ইংরেজি মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে থাকেন, তাহলে আইইএলটিএস কিংবা টোফেলের প্রয়োজন নেই।
* যাদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ নেই, স্কলটেকের নির্বাচনী সপ্তাহে ‘টোফেল আইটিপি’ পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
সুযোগ-সুবিধাঃ-
* টিউশন ফি প্রদান করবে।
* আবেদন ফি নেই।
* প্রতি মাসে ৪০ হাজার রাশিয়ান রুবল দেওয়া হবে। বাংলাদেশী টাকায় (৪৬ হাজার ৩২৫ টাকা )
* মেডিকেল ইনস্যুরেন্স প্রদান করবে।
* রয়েছে এমআইটিসহ বিশ্বের অন্যান্য নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফারেন্সের সুযোগ।
প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-
* সিভি।
* ১টি মোটিভেশনাল লেটার।
* ২টি রেকমেন্ডেশন লেটার।
* ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
* প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ট্রেনিং সার্টিফিকেট।
* রাশিয়ায় যাওয়ার সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
আবেদনের প্রক্রিয়াঃ-
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার পর আবেদনকারী প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হলে একটি অনলাইন পরীক্ষা দিতে হবে।