কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্যের আঁধার ক্যাপিলানো সাসপেনশন ব্রিজ। আইকনিক অভিজ্ঞতা পেতে স্থানীয় ও বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে এই ব্রিজটি।
১৮৮৯ সালে স্থাপিত ক্যাপিলানো সাসপেনশন ব্রিজ কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উত্তর ভ্যানকুভারে ক্যাপিলানো নদী পার হওয়ার ঝুলন্ত সেতু। সেতুটি ১৪০ মিটার (৪৬০ ফুট) লম্বা। এর ৭০ মিটার (২৩০ ফুট) নদীর ওপরে। প্রতি বছর ১ দশমিক ২ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক সেতুটি দেখতে ভিড় জমায়। সেতুটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- যারা এটি অতিক্রম করবে তারা রকি এবং পার্সেল পর্বতের দৃশ্য পাবে। নিচে রয়েছে দুই শত ফুট জলপ্রপাত। চারপাশে বনের ট্রেইল, একটি ক্যানিয়ন সুইং এবং একটি জিপলাইন রয়েছে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ম্যাকগাইভার, স্লাইডার, দ্য ক্রো: স্টেইরওয়ে টু হেভেন এবং সাইকসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে সেতুটি সেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনই নয়, পর্বতমালার হাইকিং-ওয়ার্কিং, বন্যপ্রাণী দেখা এবং সেতুটির সৌন্দর্য পর্যটকদের নিয়ে যায় ভিন্ন এক মনের অবগাহনে।
ব্রিজটি দেখতে আসা ক্যালগেরির কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী আবদুল্লা রফিক বলেন, অপরূপ সৌন্দর্যের নৈসর্গিক এই সৌন্দর্যে মন হারিয়ে যায়। প্রায় প্রতি বছরই আসা হয়। কিন্তু কোভিডের কারণে গত দুই বছর আসতে পারিনি। পরিবার নিয়ে সেতুর সৌন্দর্য খুব উপভোগ করছি।
ক্যালগেরির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লুবনা জাহান বলেন, অনেক শুনেছি সেতুটি সম্পর্কে। এই প্রথমবার এসেছি, খুব ভালো লাগছে। করুণাময়ের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। সেতুর নিচে জলপ্রপাত চারপাশে পাহাড় ঘেঁষে পর্বতমালা মন ছুঁয়ে যায়।
ক্যালগেরির কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সোহাগ হাসান বলেন, প্রশান্ত মহাসাগর আর প্রকৃতির এই সৌন্দর্যে নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছি। প্রশান্তির জন্য এখানে না আসার কোনো বিকল্প নেই।
সাসপেনশন ব্রিজ দেখতে বিশ্বের সব দেশের পর্যটকদের সঙ্গে মিলিত হয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পর্বতমালার পাহাড় ঘেঁষে নদী, ঝর্ণা ধারা, হৃদ, গিরিখাত, ক্যানিয়ন ও বন্য পশুর অভয়ারণ্য পর্যটকদের দিনদিন আকৃষ্ট করেই চলেছে, এমনটাই দাবি কর্তৃপক্ষের।