শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়া ট্রেন্ড ‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ’

  • আপডেট সময় বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

বন্ধুদের মধ্যেই এবার বিয়ের চুক্তি! বন্ধুত্বের বিবাহ। আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়েছে ‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ’। জেন জি-এর মধ্যে ইদানিং বহুল প্রচলিত এই শব্দটি। কী এই ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ?

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, নবীন প্রজন্মের মধ্যে কমে গিয়েছে বিয়ের তাগিদ। সংসার, সন্তানে অনীহা জন্মেছে জেনারেশন জি-এর। একা সুখী জীবনেই খুশি তারা।

জাপানে সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ’ শব্দটি। এই ধরনের পরিণয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের সমীকরণটা একেবারেই আলাদা। এই বিয়েতে না আছে প্রেম, না যৌনতা। আছে শুধু নিখাদ বন্ধুত্ব।

কেন বাড়ছে বন্ধুত্বের বিবাহ?

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পঞ্চদশ বারের জন্য জাপানের জনসংখ্যায় পতন হয়েছে। হু হু করে কমছে জন্মহার। বাড়ছে প্রবীণদের সংখ্যা। এক ধাক্কায় ৫ লক্ষ জনসংখ্যা কমে গিয়েছে সে দেশে। তিনের দশক পর ২০২৩ সালেই প্রথম জাপানে মোট বিয়ের সংখ্যা ৫ লখের নিচে নেমেছে।

‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ’ আসলে কী? এই ধরনের বিয়ে প্রেমনির্ভর হয় না। পারস্পরিক সাহচর্যই হয় বিয়ের ভিত্তি। তবে এর অর্থ কেবলমাত্র প্রিয়বন্ধুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নয় বরং সমমনোভাবাপন্ন কারও সঙ্গে ঘর বাঁধা। এ ক্ষেত্রে সাংসারিক দায়-দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রী নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন।

বিয়ের বাইরেও প্রেম বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে অন্য কারও প্রেমেও পড়তে পারেন এই যুগলরা। আবার চাইলে নিজেরাও সন্তানধারণ করতে পারেন। সন্তানধারণের ক্ষেত্রে সাধারণত IVF-এর রাস্তায় হাঁটেন এই দম্পতিরা।

সমকামীরাও ঝুঁকছেন এই বিবাহে। ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০০ এর বেশি ‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারেজ’ হয়েছে জাপানে। ৩০-৩২ বছর বয়সীদের মধ্যেই এই প্রবণতা বেশি। উচ্চশিক্ষিত এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলই মূলত এই পথে হাঁটছে। আবার জাপানে যেহেতু সমকামী বিবাহ বৈধ নয়, LGBTQ+ গোষ্ঠীর মধ্যেও এই বিবাহের চাহিদা বাড়ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com