শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

সোনাদিয়া ও মহেশখালী দ্বীপকে পর্যটন কেন্দ্র করার সুপারিশ

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে কক্সবাজার জেলার দুই দ্বীপ সোনাদিয়া ও মহেশখালী। এমন একটি সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যপিপাসুদের কাছে সেন্টমার্টিনের পাশাপাশি এই দুই দ্বীপের জনপ্রিয়তা বাড়তে পারে।

কক্সবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মহেশখালী উপজেলার অন্তর্গত কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত সোনাদিয়া দ্বীপ। মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে এর অবস্থান। সাগর গর্ভে থাকা এই দ্বীপ ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে ‘প্যারাদ্বীপ’ নামে পরিচিত। এর আয়তন প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার। পশ্চিম দিকে বালুকাময় সমুদ্র সৈকতে ঝিনুক ও মুক্তা পাওয়া যায়। জীববৈচিত্র্যের অপূর্ব সমাহার সোনাদিয়া দ্বীপকে যাযাবর পাখির ভূ-স্বর্গ বলা যায়। এখানকার ম্যানগ্রোভ বন ও উপকূলীয় বনভূমি, সাগরের গাঢ় নীল জলরাশি, কেয়া বন, লাল কাঁকড়া, বিচিত্র প্রজাতির সামুদ্রিক পাখি পর্যটকদের মন কাড়ে।

কক্সবাজার থেকে মহেশখালী দ্বীপের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এর আয়তন ৩৮৮.৫০ বর্গকিলোমিটার। এটাই দেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ। মহেশখালীতে দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্য অন্যতম মৈনাক পর্বতের ওপরে আদিনাথ মন্দির। এর কারুকার্য বিশেষ করে প্রবেশপথ চোখজুড়ানো। হরিণ, বানর, গুটিকয়েক সাপ আর শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখি চোখে পড়ে দ্বীপে। এছাড়া আছে রাখাইন পাড়া, স্বর্ণমন্দির, ঝাউবাগান, চরপাড়া সৈকত, জলাবন, বেশকিছু বৌদ্ধ বিহার। মহেশখালীর পানের সুনাম আছে দেশব্যাপী। পান চাষই এখানকার ঐতিহ্যবাহী পেশা।

মহেশখালীর দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আরও আছে আদিনাথ ও গোরকঘাটা জেটি, লবণ মাঠ, শুঁটকি মহাল, গোরকঘাটা জমিদার বাড়ি, উপজেলা পরিষদ দীঘি, হাঁসের চর, প্যারাবন ও চিংড়ি ঘের।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com