বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

সোনাদিয়া দ্বীপ

  • আপডেট সময় শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিমি। সোনাদিয়া দ্বীপটি ক্যাম্পিং এর জন্য অন্যতম জনপ্রিয় স্থান। একটি খাল দ্বারা এটি মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ,বিভিন্ন প্রজাতির জল চর পাখি,কেয়া বন, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। দুপাশে রয়েছে সবুজ বনে ঘেরা রয়েছে কেওড়া, হারগোজা, উড়িঘাস এবং কালো ও সাদা বৃক্ষ। এই দ্বীপে অজস্র লাল কাঁকড়ার ছড়াছড়ি।
সোনাদিয়া দ্বীপের মানব বসতি ইতিহাস মাত্র ১০০-১২৫ বছরের। দ্বীপটি দুটি পাড়ায় বিভক্ত। পূর্ব ও পশ্চিমপাড়া দ্বীপে মোট জনবসতি প্রায় ২০০০ জন। পূর্ব পাড়ায় তুলনামূলকভাবে জনবসতি বেশি। মাছ ধরা এবং মাছ শুকানো চিংড়ি ও মাছের পোনা আহরণ দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা। কিছু মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও কাঠের সাধারণ নৌকা এবং উহা চালানোর সহকারি হিসাবে কাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। এই দ্বীপে তেমন কোন খাদ্য শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয় না দৈনন্দিন প্রয়োজনাদি জিনিসপত্র সব মহেশখালি থেকে ক্রয় করে আনতে হয়।
সমুদ্র থেকে সৃষ্টি হয়ে ভিতরের দিকে গিয়ে নদীটি কয়েকটি শাখা প্রশাখায় ছড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে। এ দ্বীপের পানি কাচস্বরূপ স্বচ্ছ ও টলটলে যা দেখে সকলের ক্লান্তি-অবসাদ এক নিমিষেই ভুলিয়ে দেয়। মূলত জীবনের খানিকটা ক্লান্তি অবসাদ দূর করতেই মানুষ এখানে প্রকৃতির সাথে মিশে ক্যাম্পিং করতে আসে। ঘুরাঘুরি ও ক্যাম্পিং করার জন্য সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সম্পূর্ণ নিরাপদ।এ দ্বীপে জীববৈচিত্রের অপূর্ব সমন্বয় দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক সোনাদিয়া দ্বীপে ভিড় জমায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com