বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

সোনাদিয়া দ্বীপে ভ্রমণ

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

ভ্রমণ মানে অচেনা কোনো স্থানে নিশ্চুপ বসে থাকা , দূরের জনপদের মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া , ব্যস্ত জীবনের মাঝে ছোট বিশ্রাম, অপূর্ব বিকেল ও ঝলমলে সন্ধা , জীবনের পরিপূর্ণ হয়ে চলা। ভ্রমণ সকলের কাছেই এক স্বপ্ন পূরণের নাম। ভ্রমণ আমাদের অবারিত রাখে , বিষাদ-জড়তা কাটাতে শিখায়, হাসতে শেখায়, প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়।আমাদের সকলেরই উচিত এই ব্যস্ত জীবনের মাঝে সময় করে ভ্রমণে যাওয়া। সকলের জীবনেই ভ্রমণ খুবই প্রয়োজনীয় তাদেরকে নতুনভাবে ভাবার, নতুন করে শুরু করার জন্য।

আমি নিজেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মতো ভ্রমণপ্রিয় একজন। সময়-সুযোগ পেলে দ্বিতীয়বার না ভেবেই বেড়িয়ে পড়ি , হয়তো কখনো বন্ধুদের সাথে, নয়তো নিজেই , যেদিকে চোখ পড়ে। আমার সর্বশেষ ভ্রমণ করা হয় কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়া দ্বীপে যা হয়তো আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি ভ্রমণ ছিলো।

হঠাৎ করেই একদিন ইচ্ছে হলো সমুদ্র সৈকতে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখবো এবং রাতে তাবু টাঙিয়ে সেখানেই থাকবো। ইচ্ছেটা পরেরদিনই খুব কাছের এক বন্ধুর কাছে গিয়ে বলার পর সেও পছন্দ করলো ব্যাপারটা। আমরা তখনি কথায় কথায় একটা ব্যাপার ঠিক করলাম , আমরা যেখানেই যাবো না কেনো, যাবো পূর্ণিমার সময়, সমুদ্র সৈকতে পূর্ণিমার রাত কাটানো এক চাঞ্চল্যকর ব্যাপার। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার ছিলো, এমন জায়গা যেখানে খুব সহজেই যাওয়া যায়, যেমন বাস অথবা ট্রেনে গেলাম আর আসলাম, এগুলো পছন্দ না, হালকা পাতলাও যদি কষ্ট করা না লাগে তাহলে আর ভ্রমণের মজা কোথায়।

আমরা যখনি কোনো সমুদ্র সৈকতে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখার আগ্রহ প্রকাশ করি, অবশ্যই প্রথমে মাথায় কক্সবাজার এবং কুয়াকাটার কথা মাথায় আসে। কিন্তু আমরা ভাবলাম এমন কোনো জায়গায় যাই, যেখানে মানুষ খুবই কম থাকবে এবং সৈকতে ইচ্ছা করলে তাবু টাঙিয়ে রাতে থাকা যাবে। এইজন্য আমাদের ভ্রমণের স্থান নির্ধারণ করতে আমরা দুই বন্ধু কয়েকদিন সময় নিলাম। কয়েকদিন বিভিন্ন স্থান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার পর প্রায় সবাই একটা সৈকতের কথা খুব করে বলছিলো, তা হলো সোনাদিয়া দ্বীপের সমুদ্র সৈকত। এই জায়গা নিয়ে এরপর নেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখলাম চুপচাপ কোনো সৈকতে রাত কাটানোর জন্য এরচেয়ে উপযুক্ত জায়গা খুবই কম হয়। জায়গাটি পছন্দ হবার পর ঠিক করে ফেললাম আমরা যে সোনাদিয়া দ্বীপেই যাবো।

সোনাদিয়া দ্বীপ মহেশখালি উপজেলার একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দ্বীপ। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিমি। দ্বীপটি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিণে কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত।একটি খাল সোনাদিয়া দ্বীপকে মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন করে রেখেছে । এ দ্বীপের ৩ দিকেই রয়েছে সমুদ্র সৈকত। এছাড়াও রয়েছে সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, জালের মতো ছোট-বড় অসংখ্য খাল বেষ্টিত ম্যানগ্রোভ বন, বিস্তির্ণ ল্যাগুন্যাল ম্যাডফ্ল্যাট, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি ।দ্বীপের সমুদ্র সৈকতেটির পাশ ঘেষে অবস্থিত সোনাদিয়ার সূ-উচ্চু বালিয়াড়ির তুলনা হয়, সমুদ্রসৈকত থেকে বালিয়াড়ির দৃশ্য অপূর্ব মনে হয়। দ্বীপটি ২টি পাড়ায় অথবা গ্ৰামে বিভক্ত, একটি পূর্ব পাড়া ও অন্যটি পশ্চিম পাড়া।

আমাদের স্থান নির্ধারণ হয়ে যাবার পর আমরা আমাদের কিছু বন্ধুবান্ধবকেও আমাদের সাথে যোগ দিতে বললাম। কিন্তু এই ভ্রমণের কে যাবে নাকি যাবে না তা ঠিক করাও হলো এক অদ্ভুত সমস্যা, হয়তো অনেকের বাসায় যেতে দিতে রাজি হয় না, হয়তো অনেকের মন মানে না , আরো কতোশতো বাঁধা । তাও শেষপর্যন্ত আমরা ১১ জন মিলে সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়ার জন্য তৈরি হলাম। যেহেতু একটি দ্বীপের মতন স্থান এটি , তাই মোটামুটি সবাই প্রস্তুত ছিলাম এক সুন্দর এডভেনচারের জন্য। যখন সবকিছু ঠিক তখন কোনো কাজের জন্যেই দেরি করা উচিত নয়। তাই আমরাও সব সিদ্ধান্ত হয়ে যাবার পর দুদিনের মধ্যে আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম ঘর থেকে।

যাবার দিন ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রাতের তূর্ণা নিশিথা ট্রেনে করে আমরা রওয়ানা হই। যাবার দিন আমাদের কারো মুখের হাসিই কমছিলো না। ট্রেন ছাড়ার ঘন্টাখানেক আগেই আমরা সকলে চলে এসেছিলাম স্টেশনে। ট্রেন নির্ধারণ সময়ের অনেক দেরিতে স্টেশন ছাড়ায় আমরা ওই সময়ে পুরো স্টেশন চিল্লাচিল্লি করে মাথায় তুলে ফেলেছিলাম, এমন নয় যে আমরা বিরক্ত হচ্ছিলাম দেরির জন্য, আমরা আমাদের খুশি আটকিয়ে রাখতে পারছিলাম না বলেই এভাবে করছিলাম। ট্রেন যাত্রাটি ছিলো ৭ ঘন্টার মত, ভোর সকালে গিয়ে আমরা স্টেশষে পৌঁছাই। ট্রেন যাত্রা সবসময়ই আমাদের কাছে এক অন্যরকম রোমাঞ্চ।

নানাধরনের মানুষের দেখা পাওয়া যায়, পুরো সময়জুরে মনে হয় পুরো বগির সকলে যেন এক পরিবার। আমাদের ট্রেনের সিট ছিলো মাঝের দিকে। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত আমরা এগারোজন গানে এবং আড্ডারত ছিলাম। মাঝেমাঝেই ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরাও আমাদের সাথে যোগ দিচ্ছিলো। বন্ধুদের একজনকে ও বাকিরা ঘুমানোর সুযোগই দেয়নি ইচ্ছা করে, যেই চেষ্টা করতো ঘুমানোর তাকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দেয়ার হতো। ট্রেনে চুরির ঘটনা আমরা এই প্রথম দেখেছিলাম, ভোরের দিকে পুরো বগি যখন একেবারে চুপ হয়ে গিয়েছিল,অনেক যাত্রী ঘুমন্ত ছিলো, ঠিক তখনি একজনের চিৎকারের আওয়াজে পুরো বগি জেগে উঠেছিলো, ঘটনা ছিলো কেউ একজন হঠাৎ করেই কোনো এক যাত্রীর হাতের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ মেরেছিলো।

এছাড়াও নানা মজার ঘটনা দেখতে দেখতে আমরা চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাই। এরপর আমরা নতুন ব্রীজে এসে ভরপেট সকালের নাস্তা সেড়ে নেই। এরপর বাসে উঠে আমরা সরাসরি বাসযোগে চলে যাই মহেশখালী উপজেলায়। এই বাস মাত্রাটা কোনো কারণে খুব কান্তকর থাকায় আমরা সেখানে বাজারে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই। এরই মধ্যে আমাদের জন্য রিজার্ভ করা দুটো অটো এসে পড়ে। এখানে আসার পূর্বেই আমরা আমাদের একজন পরিচিতজনের মাধ্যমে অটো ঠিক করিয়ে রেখেছিলাম যাতে তিনি আমাদের নিয়ে যেতে পারেন, যেহেতু জায়গাটি আমাদের অপরিচিত,তাই এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

বিশ্রাম শেষে দুটো অটো করে আমরা চলে গেলাম আদিনাথ মন্দির এবং তার পাশের সেলফি ব্রিজ দেখতে। জায়গাটি দেখা শেষ করে আমরা কাছের বাজারের রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। এরপর সেই বাজার থেকেই আমরা কিছু চাল-ডালসহ খাবার কিনে নিয়ে নেই যাতে রাতে সৈকতে বসে আমরাই রান্না করতে পারি। বাজার শেষ করে অটো করে চলে গেছিলাম ৬নং জেটি ঘাটে যেখানে প্রায় সবসময়ই ছোট বড় নৌকা পাওয়া যায়। জেটি থেকে মাঝারি একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে আমরা রওয়ানা দেই সোনাদিয়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে। জেটি থেকে দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় এক ঘন্টার নৌকা ভ্রমণে চারিদিকে অথৈ পানি দেখতে দেখতে যাই আমরা। পানিতে বড় বড় ঢেউ পেরিয়ে দ্বীপে যাওয়াটা অন্যদের কাছে কেমন ছিলো জানি না, কিন্তু আমার কাছে একটু ভয়ের ছিলো, কারণ আমিই একমাত্র ছিলাম যে ভালো সাঁতার পারতাম না। স্থলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সূর্যাস্তের সময় হয়ে গেলো।

আমরা তাড়াতাড়ি নৌকা থেকে নেমে নিজেদের ব্যাগ একপাশে রেখে পায়ে এসে দাঁড়িয়ে গেলাম এক সুন্দর সূর্যাস্ত দেখার। এরপর সূর্যাস্ত দেখার ভাগ্য হয়তো আর কখনো হবে না সাগরের পানির ছোট ছোট ঢেউয়ের হালকা কলকলানি শব্দ ছাড়া আর কোনোকিছুর শব্দ নেই চারিদিকে, আমরা এগারোজন তখন পাড়ে,কেউ বসে আর কেউ দাঁড়িয়ে লাল সূর্যের অথৈ পানিতে ডুবে যাওয়ার দৃশ্য উপভোগ করতে থাকলাম। পুরোপুরি সূর্য অস্ত যাবার পর আমরা প্রথমেই সৈকত ধরে একটু হাঁটাহাঁটি করে তাবু টাঙানোর একটা ভালো জায়গা খুঁজে বের করলাম, এরপর তাবু টাঙিয়েই প্রথমে আমরা তাঁবুর পাশে বসে পড়লাম সবাই। প্রায় সারাদিনের একটা বড় সফর করে এক সুন্দর সূর্যাস্ত দেখার পর সবার মনেই প্রশান্তি ছিলো।

তাবু খাটানোর পরই সবাই টের পেলো তাদের মাঝে সেই সারাদিনের ক্লান্তি। সৈকতে নেমেই আমরা দেখতে পেলাম কাছাকাছি একটি দোকান এবং দু-তিনটি কুঁড়েঘর আছে। আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কুড়েঘরবাসী এবং দোকানদার, অর্থাৎ স্থানীয়দের সাথে পরিচিত হতে গেলাম, তাদের সাথে কথাবার্তা বলে, একসাথে দোকানে বসে সবাই মিলে চা খেতে খেতে খুব সুন্দর এক সন্ধা কাটলো।

রাতটি ছিলো পূর্ণিমা রাত। তাই চারিদিকে আলোর কোনো অভাব ছিলো না। সামনে সাগর, উপরে পূর্ণিমা এবং আকাশ ভরা তারা, এরকম মূহুর্ত কখনোই ভাষায় প্রকাশ করা মতন নয়। চা খাওয়ার পর সকলেই আবার পানির ধারে এসে মুহূর্ত উপভোগ করতে থাকি নিজমতন। রাত আরেকটু গভীর হবার পর আমরা টের পেলাম যে প্রচন্ড খিদে পেয়েছে সবারই। প্রথমেই তাঁবুর সামনে আমরা ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থা করলাম। কয়েকজন আগুন জ্বালিয়ে রাখতে ব্যস্ত থাকলো এবং এর চারিদিকে বসে গল্প করতে থাকলো, বাকি রা গেলো বাজার নিয়ে রান্না করতে। স্থানীয়দের সাথে রান্না করার জন্য পাতিল নিয়ে সেখানেই ব্যবস্থা করা হলো কিছুই এবং ডিমভাজির। কোনো সৈকতে কাঠ দিয়ে জ্বালানো আগুনে রান্না করা খিচুড়ি ও ডিমভাজি কেমন হতে পারে তা নিয়ে কারো ধারণা ছিলো না স্বাভাবিক, কিন্তু রান্না শেষ হবার পর যখন সবাই ক্যাম্প ফায়ারের চারপাশে বসে খেতে বসলাম, তখন মনে হলো এরচেয়ে সুস্বাদু খাবার হয়তো আর হয় না। কারোরই যেন ক্ষীধে মিটছিলো না। খাওয়া-দাওয়ার পর সবাই আগুনের চারিদিকে গোল হয়ে বসে গভীর রাত পর্যন্ত গল্পগুজব করলাম। গল্পগুজবের পর বসলো গানের আসর।

পূর্ণিমা রাতে সাগরের পাশে বসে রাতভর চললো খালি গলায় গান। যাও কয়েকজন ঘুমুতে যেতে চাচ্ছিলো, কিন্তু চিল্লাচিল্লি করে তাদের বারবার উঠিয়ে আনা হচ্ছিলো। শেষ রাতে সকলেই ক্লান্ত হয়ে নিজ নিজ তাবুতে প্রবেশ করে ছোটখাটো ঘুম দিলাম। কয়েকজন মাত্র এক-দু ঘন্টা ঘুমিয়ে আবার ভোরেই উঠে গেলো সূর্যোদয় দেখার জন্য। প্রায় সকলেই ভোরে উঠে সাগর পাড় ধরে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে ঘন্টাখানেক দ্বীপটা ঘুরে ঘুরে দেখলো। দেখলে মনে হচ্ছিলো যেন পুরো দ্বীপে একমাত্র আমরা এগারো জন। সামনে তাকালে সাগর, আর পিছে ম্যানগ্ৰোভ বন। দ্বীপ ঘুরে দেখার পর আবার সকলে তাঁবুর কাছে এসে বসলাম সবাই মিলে নাস্তা সেড়ে নিতে। দ্বীপে আসার সময়েই আমরা নাস্তা কিনে এনেছিলাম, তাই আর নাস্তা তৈরি করার ঝামেলা পোহাতে হয়নি। নাস্তার পর সকলে আবার বেরিয়ে পড়লাম সৈকত ধরে হাঁটতে। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সকলে মিলে পানিতে নেমে পড়লাম গোসল সেড়ে নেবার জন্য।

গোসল সেড়ে কাপড় বদলে সবাই আমরা আমাদের ব্যাগ গুছিয়ে তাবু গুটিয়ে ফেললাম এবং আগালাম সোনাদিয়া দ্বীপ ছেড়ে আসার পর। আমাদের রিজার্ভ করা নৌকা সময়মত চলে এসেছিলো তীরেই। এরপর আবার চললো ছোটখাটো এক নৌকা ভ্রমণ। নৌকা আমাদের নামিয়ে দিলো লাবণী পয়েন্টের ঘাটে। ঘাঁটে এসে আমরা ঠিক করলাম রাত পর্যন্ত এখানে বীচে কাটাবো। এরপর যেই কথা সেই কাজ, একটু এগিয়ে গিয়ে একটা ছোট হোটেলে একটা রুম সারাদিনের জন্য ভাড়া করে সেখানে গিয়ে ব্যাগ রেখে সকলে বেরিয়ে পড়লাম শহরের অংশটুকু ঘুরে ঘুরে দেখার জন্য। সাথে আশেপাশের কলাতলী বীচ, লাবণী বীচ এবং সুগন্ধা বীচেও ঘুরে আসলাম সকলে মিলে। এরপর রাতে সেখানকার এক হোটেলে রাতের খাবার সেড়ে বাসে চড়লাম ঢাকায় ফিরার উদ্দেশ্যে।

এভাবেই শেষ করেছিলাম মনে রাখার মতন এক ভ্রমণ। এমন এক ভ্রমণ যেখানে ট্রেন, বাস, নৌকা, সবকিছুই চড়া হলো, পূর্ণিমা দেখা হলো, সাগরের পাড়ে রাত কাটানো হলো, নিজেরা রান্না করে খাওয়া-দাওয়া ,রাত জেগে গান-বাজনা সবই হলো, এরচেয়ে বেশি কি চাওয়ার থাকতে পারে একটি ভ্রমণ থেকে?

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com