রেস্তোরাঁপ্রেমীদের নতুন আকর্ষণ হতে যাচ্ছে পেরুর রাজধানী লিমা। চলতি বছর ‘ওয়ার্ল্ডস ফিফটি বেস্ট রেস্টুরেন্টস’-এর তালিকায় শহরটির দুই রেস্তোরাঁ শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম স্থানও।
উদ্ভাবনী ও উচ্চমানের খাবারের ‘অস্কার’ হিসেবে বিবেচিত হয় ‘ওয়ার্ল্ডস ফিফটি বেস্ট রেস্টুরেন্টস’। সম্প্রতি চলতি বছরের তালিকাটি ঘোষিত হয় ইতালির তুরিন শহরে।
সেখানে শীর্ষস্থান অর্জন করে লিমার মাইডো। গত বছরের পঞ্চম স্থান থেকে এবার সরাসরি শীর্ষে উঠে আসা রেস্তোরাঁটি পরিচালনা করেন শেফ মিতসুহারু সুমুরা। মাইডোর আকর্ষণ হলো সূক্ষ্ম জাপানি রান্নার কৌশল ও প্রাণবন্ত পেরুভিয়ান উপকরণের মিশ্রণে প্রস্তুত নিক্কেই কুইজিন।
শীর্ষ পাঁচ রেস্তোরাঁর তালিকায় আরো রয়েছে স্পেন, মেক্সিকো ও ডেনমার্কের রেস্তোরাঁ। এর মধ্যে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের রেস্তোরাঁটি সাহিত্যপ্রেমীদের কিছুটা নস্টালজিক করবে, নাম ‘অ্যালকেমিস্ট’। অবশ্য শীর্ষ পাঁচে কোনো রেস্তোরাঁ না থাকলেও চমক দেখিয়েছে এশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটক গন্তব্য ব্যাংকক।
কারণ শীর্ষ ৫০ রেস্তোরাঁর ৬টির অবস্থান এ শহরে। যার মধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত গগন রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে।
এছাড়া শীর্ষ দশের বাকি অবস্থানে রয়েছে জাপান, ফ্রান্স, পেরু ও আর্জেন্টিনার রেস্তোরাঁ। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রতিনিধি ১২তম খেতাবপ্রাপ্ত নিউইয়র্কের অ্যাটোমিক্স।
ওয়ার্ল্ডস ফিফটি বেস্ট রেস্টুরেন্টস একাডেমি জানিয়েছে, তালিকাটি প্রস্তুত করতে বিশ্বের ২৮টি অঞ্চলের ১১ শতাধিক রেস্তোরাঁ বিশেষজ্ঞ, সমালোচক ও শেফের পরামর্শ নেয়া হয়েছে।
এ তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জনের পর কোনো রেস্তোরাঁ পরবর্তী সময়ে আর বাছাইয়ের অংশ হয় না। তারা ‘বেস্ট অব দ্য বেস্ট’ ক্লাবের অংশ হয়ে যায়। যেখানে রয়েছে নোমা, জিরানিয়াম, ইলিভেন মেডিসন পার্ক, দ্য ফ্যাট ডাক, ওস্তেরিয়া ফ্রান্সেস্কানা, মিরাজুর ও সেন্ট্রাল অব লিমার মতো রেস্তোরাঁ। গত বছর এ ক্লাবে যুক্ত হয়েছে বার্সেলোনার ডিসফ্রুতার।