শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

সেন্টমার্টিন দ্বীপের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ যা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমারের উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলে থাকেন।

যেভাবে নামকরণ হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপের : কবে প্রথম এই দ্বীপটিকে মানুষ শনাক্ত করেছিল তা জানা যায় না। প্রথম কিছু আরব বণিক এই দ্বীপটির নামকরণ করেছিল জিঞ্জিরা। উল্লেখ্য, এরা চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যাতায়াতের সময় এই দ্বীপটিকে বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করতো। কালক্রমে চট্টগ্রাম এবং তৎসংলগ্ন মানুষ এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামেই চিনতো। ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কিছু বাঙালি এবং রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ এই দ্বীপে বসতি স্থাপনের জন্য আসে। এরা ছিল মূলত মৎস্যজীবী।

যতটুকু জানা যায়, প্রথম অধিবাসী হিসাবে বসতি স্থাপন করেছিল ১৩টি পরিবার। এরা বেছে নিয়েছিল এই দ্বীপের উত্তরাংশ। কালক্রমে এই দ্বীপটি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় পরিণত হয়। আগে থেকেই এই দ্বীপে কেয়া এবং ঝাউগাছ ছিল। সম্ভবত বাঙালি জেলেরা জলকষ্ট এবং ক্লান্তি দূরীকরণের অবলম্বন হিসাবে প্রচুর পরিমাণ নারকেল গাছ এই দ্বীপে রোপণ করেছিল। কালক্রমে পুরো দ্বীপটি একসময় ‘নারকেল গাছ প্রধান’ দ্বীপে পরিণত হয়। এই সূত্রে স্থানীয় অধিবাসীরা এই দ্বীপের উত্তরাংশকে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে অভিহিত করা শুরু করে।

১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ ভূ-জরিপ দল এই দ্বীপকে ব্রিটিশ-ভারতের অংশ হিসাবে গ্রহণ করে। জরিপে এরা স্থানীয় নামের পরিবর্তে একজন খ্রিষ্টান সেন্ট মার্টিনের নামানুসারে সেন্ট মার্টিন নাম প্রদান করে। এরপর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের বাইরের মানুষের কাছে, দ্বীপটি সেন্ট মার্টিন নামেই পরিচিতি লাভ করে।

জীববৈচিত্র্য: সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১শ ৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১শ ৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১শ ৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২শ ৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির উভচর ও ১শ ২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে পেজালা নামে পরিচিত Sea weeds বা অ্যালগি (Algae) এক ধরণের সামুদ্রিক শৈবাল সেন্ট মার্টিন্সে প্রচুর পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে তবে লাল অ্যালগি (Red Algae) বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও রয়েছে ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী।

১. অমেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ, শিল কাঁকড়া, সন্যাসী শিল কাঁকড়া,লবস্টার ইত্যাদি। মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, বোল করাল,রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ,উড়ুক্কু মাছ ইত্যাদি।

২. সামুদ্রিক কচ্ছপ সবুজ সাগর কাছিম এবং জলপাইরঙা সাগর কাছিম প্রজাতির ডিম পাড়ার স্থান হিসেবে জায়গাটি খ্যাত।

পর্যটন: দ্বীপটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন ৫টি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড হতে আসা যাওয়া করে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ভালো আবাসিক হোটেল রয়েছে। একটি সরকারি ডাকবাংলো আছে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল।

সেন্টমার্টিন কেন যাবেন: যদি বলেন সমুদ্র দেখতে তাহলে আপনার জন্য পরামর্শ হল সমুদ্র দেখার জন্য কষ্ট করে সেন্টমার্টিন যাবার দরকার নেই। কক্সবাজার ,কুয়াকাটাতেও তো সমুদ্র দেখতে পারেন? সেন্টমারটিন মূলত যাওয়া উচিৎ রহস্যের সন্ধানে। নির্জনতার রহস্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রহস্য আর সাগর তলের বিস্ময়কর রহস্য। সৃষ্টিকর্তা এখানকার প্রকৃতিকে দু’হাত ভরে দান করেছেন।

কিভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সরাসরি শ্যামলী, হানিফ, রিলেক্স, তুবা লাইন (নন এসি) এবং সেন্ট মার্টিন সার্ভিস, বাগদাদ এক্সপ্রেস, গ্রীন লাইন (এসি) সহ বেশ কিছু বাস টেকনাফ যায়। দমদমিয়া ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি শিপ ছাড়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে সকাল ৯.৩০ মিনিটে। যা দ্বীপে পৌছায় ১২ টার মধ্যে। এগুলো ফিরে আসে বিকেল ৩টার দিকে সেন্ট মার্টিন থেকে। তবে অফ সিজনে (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) শিপগুলো চলে না, এই সময়টাতে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার একমাত্র উপায় হল ট্রলার।

কী খাবেন: এই দ্বীপের সবচেয়ে বিখ্যাত জিনিস হল ডাব। এই দ্বীপের নাম নারিকেল জিঞ্জিরা এমনি এমনি হয়নি। এখানকার ডাবের পানি যেমন মিষ্টি তেমনি সুস্বাদু। সেন্ট মার্টিনে গেলে ডাবের পানি মিস করা ঠিক হবে না। যারা মাছ খান না আমার মতে তাদের সেন্ট মার্টিন যাওয়ার অধিকারই নেই। কারণ কোরাল, সুন্দরী পোয়া, ইলিশ, রূপচাঁদা, লবস্টার, কালাচাঁদার স্বাদ এক কথায় অসাধারণ।

আর একটা জিনিস অবশ্য খেয়ে দেখতে পারেন। সেটা হল কুরা (স্থানীয় ভাসায় দেশী মুরগিকে বলা হয় কুরা)। শুঁটকি মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে লইট্টা, ছুড়ি, রূপচাঁদা, কাচকি ট্রাই করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন বেশির ভাগ শুঁটকি কিন্তু আসে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে। যারা ইলিশ খুব বেশি পছন্দ করেন তারা জেনে রাখুন সমুদ্রের ইলিশ নদীর ইলিশের মত টেস্টি নয়।

বেড়ানো: যারা দিনে গিয়ে দিনেই সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে আসবেন তারা পরবর্তীতে আফসোস করতে পারেন। তাই সবচেয়ে ভালো হয় অন্তত একদিন সেন্টমার্টিনে অবস্থান করা। এতে যেমন পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখতে পারবেন তেমনি এই আনন্দময় ভ্রমণ আপনাকে সবসময় মোহিত করবে।

সারাদিনের ভ্রমণ: যারা সময়ের অভাবে সারা দিনের যাত্রায় সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাবেন তারা জাহাজ থেকে নেমে সময় নষ্ট না করে ভ্যান নিয়ে সরাসরি চলে আসুন পশ্চিম সমুদ্র সৈকতে। এর জন্য আপনাকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ভ্যান ভাড়া গুণতে হবে। এখানে হেঁটে আসতে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। এই জায়গাটা পানিতে নামার জন্য ভালো। তাই সমুদ্র সৈকতে এসে চাইলে স্বচ্ছ পানিতে গা ভেজাতে পারেন।

যাই করেন না কেন অবশ্যই মাথায় রাখবেন আপনাকে ২টার আগে ফ্রি হতে হবে। নইলে খাওয়ার সময়টুকুও পাবেন না। আর অবশ্যই ৩টার আগেই আপনাকে জাহাজে পৌঁছাতে হবে। হাতে সময় থাকলে মেইন সমুদ্র সৈকতের কাছে হুমায়ূন আহমেদের কটেজ দেখে আসতে পারেন। সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এই ধরণের যাত্রা আপনাকে সময়ের প্রতি সীমাবদ্ধ করে রাখবে তাই অন্তত এক দিনের পরিকল্পনা নিয়ে সেন্টমার্টিন আসুন।

এক দিনের পরিকল্পনা: সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ যারা উপভোগ করতে চান, তারা একদিনেও ভ্রমণ করতে পারেন। যারা এক দিনের পরিকল্পনা নিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসবেন তারা জাহাজ থেকে নেমে হোটেলে উঠে পড়ুন। দুপুরের খাবার খেয়ে হালকা বিশ্রাম নিয়ে চলে আসতে পারেন ছেঁড়াদ্বীপ।

যদি পায়ে হেটে ছেঁড়া দ্বীপে যেতে চান, চেষ্টা করবেন ৪টার আগে আগেই রওনা দিতে তাহলে ছেঁড়া দ্বীপে সূর্যাস্ত দেখে ফিরতে পারবেন। ছেঁড়া দ্বীপের সূর্যাস্ত অসাধারণ তবে সূর্যাস্তের পরে বেশি দেরি করবেন না। পায়ে হেঁটে যেতে ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে আর পায়ে হাঁটার জন্য বিকালটাই সবচেয়ে বেশি ভালো। সেন্টমার্টিন থেকে স্থানীয় মানুষের কাছে ভাটার সময় জেনে নিন। কারণ শুধুমাত্র ভাটার সময়ই হেঁটে যাওয়া যাবে। জোয়ারের সময় ছেড়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চাইলে ট্রলারে ছেঁড়াদ্বীপ পৌঁছে ফেরতে পারেন পায়ে হেঁটে।

সন্ধ্যায় মূল দ্বীপে ফিরে বাজারের জেটিতে আড্ডা দিতে পারেন কিংবা পশ্চিম সমুদ্র সৈকতের যে কোনও জায়গায় বসাতে পারেন গানের আসর। সমুদ্র সৈকতে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই তাই চাইলে ক্যাম্পিং করে ফেলতে পারেন। তাবুতে সুনীল সাগরের পাশে রাত কাটানো আপনাকে অনন্য অভিজ্ঞতা দিবে।

বার-বি-কিউ করার ক্ষেত্রে কোনও রিসোর্টে করতে পারেন। রিসোর্টে মাছের দাম একটু বেশি নিলেও মাছগুলো সতেজ থাকে। যতই রাত পর্যন্ত জেগে থাকুন না কেন পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখার ইচ্ছে থাকলে ভোর ৫টা থেকে ৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পূর্ব দিক থেকে হাঁটা শুরু করুন। পুরো দ্বীপে চক্কর দিতে ৩-৪ ঘণ্টার মত লাগবে।

সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সৌন্দর্য্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এই অংশে না এলে সেন্টমার্টিনের প্রকৃত সৌন্দর্য অদেখাই রয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক মতো করতে পারলে ১০টা নাগাদ হোটেলে ফিরে আসতে পারবেন। খাবার খেয়ে নেমে পড়তে পারেন সমুদ্রে স্নানে। ১২টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ব্যাগ গুছিয়ে খেয়ে নিন। দুপুরের খাবার খেয়ে আস্তে ধীরে ২টা ৩০ এর মধ্যে নির্ধারিত জাহাজে উঠে পড়ুন।

রাত্রিযাপন: সেন্টমার্টিনে রাতে থাকার জন্য বেশ কিছু উন্নতমানের কয়েকটি হোটেল ও কটেজ রয়েছে। এছাড়াও অনেক বাড়িতে পর্যটকদের জন্য থাকার সুব্যবস্থা আছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য রাতের বেলায় এক ভিন্ন রকম অনুভূতি যোগায়।

সীমানা পেরিয়েঃ ১০ রুমের এই হোটেলে প্রতি রুমে ৪ জন থাকার ব্যবস্থা আছে। রুম প্রতি ভাড়া ৭০০-৮০০ টাকা এছাড়া তাঁবুতে থাকতে চাইলে ৪ জন করে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। জনপ্রতি গড় খাবার খরচ হয় ৭০ থেকে ১০০ টাকা।

প্রিন্স হেভেনঃ ১৮ রুম বিশিষ্ট এই হোটেলে সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা আর ডাবল রুমের ভাড়া ৬০০-৮০০ টাকা। যেখানে একসঙ্গে ৪ জনের থাকা যায়।

ব্ল–মেরিন রিসোর্টঃ ৩৪টি রুম বিশিষ্ট এই হোটেলে ১৮টি ডাবল বেডরুম যার প্রতিটির ভাড়া ১০০০ টাকা, ১৩টি ট্রিপল রেডরুম যার প্রতিটির ভাড়া ১২০০ টাকা, ৫টি ছয়জনের বেডরুমের ভাড়া ১৫০০ টাকা এবং কটেজ ২টির ভাড়া ২৫০০ টাকা।

সমুদ্রবিলাসঃ (লেখক হুমায়ূন আহমেদের বাড়ি) ৫০০-১০০০ টাকা ভাড়ায় ৪ রুমের এই বাড়িতে অগ্রিম বুকিং দিয়ে আপনি থাকতে পারেন।

ড্রিম নাইট রিসোর্ট: ১৬ রুম বিশিষ্ট এই রিসোর্টে ১২টি ডাবল বেড রুম যার প্রতিটির ভাড়া ২৫০০ টাকা এবং ৪টি কাপল রুম যার প্রতিটির ভাড়া ২০০০ টাকা প্রতিরাত। এখানে ইনহাউজ গেস্টদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা আছে। সেন্ট মার্টিন এর অন্যতম সেরা ভিউ আছে এখানে। সেবার মান ও চমৎকার।

এছাড়াও আছে প্রাসাদ প্যারাডাইস, জলকাব্য, কোরাল ভিউ, কোরল ব্লু, মারমেইড, সি প্রবাল, নীল দিগন্ত, সায়রী, সি ইন, হোটেল সাগর পাড়, রিয়াদ গেস্ট হাউজ, হোটেল স্বপ্ন প্রবাল, শ্রাবণ বিলাস, ব্লু ল্যাগুণ, সানসেট ভিউ, সরকারি ব্যবস্থাপনায় মেরিন পার্ক ইত্যাদি। পর্যটন মৌসুমে প্রায় প্রতি বাড়িতে সরাসরি আলাপ করে আবাসিক থাকার সুবিধা পাওয়া যায়। মৌসুম অনুযায়ী এখানকার ভাড়ার তারতম্য হয় তবে সাধারণত ২০০-২৫০ টাকা হলে মোটামুটি ভালো রুম নেয়া যায়।

ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর স্থান সেন্টমার্টিন। পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে সবসময়ই থাকে ‘বঙ্গোপসাগরের ট্রিপ’ বলে খ্যাত এ দ্বীপ। বছরের এই সময়গুলোতে (ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে) পর্যটন প্রেমীদের মেলা দেখতে পাওয়া যায় এই দ্বীপে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com