সৃষ্টিকর্তা যেন তার অপরূপ মহিমায় সৃষ্টি করেছেন রূপসী বাংলাদেশ

সৃষ্টিকর্তা যেন তার অপরূপ মহিমায় সৃষ্টি করেছেন রূপসী বাংলাদেশ। বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি কবির ভাষায়, তাইতো বাংলার সব কিছুতেই ‘খুজে পাই’ বাংলার মানুষের মনপ্রাণ। আমাদের জীবনজীবিকা তাইতো বাংলার মাটির সাথে মিলেমিশে আছে। সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা রূপসী বাংলা তাই এতো বৈচিত্রময়। বাংলার উর্বর জমিতে প্রতিবছর প্রচুর ধান পাট সহ অনেক রকম ফসল উৎপাদিত হয়। তাইতো জন্মভূমির মাটি সোনার চেয়ে খাঁটি। এই বাংলার মাটি আমাদের সকল চাহিদা পূরন করে।

পর্যটন শিল্পের আফুরন্ত সম্ভার বাংলাদেশের নদী, সাগর, হাওড়,পাহাড়, প্রত্নতত্ত্ব, বনাঞ্চল, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অতিথীপরায়ন মানুষ। এতসব বৈচিত্রের পরেও আমাদের পর্যটন শিল্প অর্ধ শতাব্দী ধরে শৈশবকাল অতিবাহিত করছে। আমাদের প্রাচীন সভ্যতার গৌরব সমৃদ্ধ এই জনপদ শত শত বছর আগে বিশ্ব পরিব্রাজকদের আকৃষ্ট করলেও, বিশ্বায়নের এই যুগে আধুনিক পর্যটন বাজারে বাংলাদেশকে উপস্থাপনের কৌশল আজও রচিত হয়নি।

বাংলাদেশ- নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের এই পরিচিতি বা ব্রান্ডিং কবে, কিভাব, কার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, তার কোন ইতিহাস বা তথ্য জানা যায়নি। হয়ত কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশে’ সার্বজনীন ভাবে সমাদৃত হয়ে পরিচিতি লাভ করেছে।

বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। দেশের ভিতর প্রায় ৭০০ নদ নদী প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে, হিমালয় থেকে যার উৎপত্তি। এই নদীগুলোই বাংলার মানুষের জীবনে আশীর্বাদ স্বরূপ। তাইতো বাংলার নদী, খাল, বিল মানুষের জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে।

বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাই বৈচিত্রময়। এদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে রয়েছে অসংখ্য পাহাড় পর্বত। যা এ সকল এলাকাকে করেছে আরো আকর্ষনীয় এবং দৃষ্টিনন্দন। এখানকার জনবসতিকে করেছে বৈচিত্রময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: