সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে অনেকে আমরা দূর-দূরান্তে পাড়ি দেই- কিন্তু আজ বলছি এমন এক ডে আউটার্সের কথা যেখানে বসেই দেখতে পাবেন সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও ভরা পূর্ণিমা একসঙ্গে। আর সেটা যদি হয় গুলশান বনানী বা বারিধারা থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্বে তাহলে তো আর কথাই নেই। বর্তমান বেশিরভাগ রিসোর্ট বা যে আউটিং গড়ে উঠেছে গাজীপুরকেন্দ্রিক, যার ফলে সেখানে যেতে আসতে রাস্তার যানজটের কারণে আপনার দিন ফুরিয়ে যায়, আর এসব মাথায় রেখে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ঠিকানা’। ঢাকার নতুন বাজার থেকে মাদানী এভিনিউ ১০০ ফিট হয়ে একটু ডানে মোড় নিলেই বেরাইদে বালু নদীর তীর ঘেঁষে এ ঠিকানা ডে আউটার্সের অবস্থান, শুধু ঠিকানা বললে ভুল হবে- বলতে হবে সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, খোলা মাঠ, সবুজ ধান ক্ষেত ও গ্রামীণ পরিবেশে চিরসবুজের ঠিকানা।
ঠিকানায় প্রবেশের মূল ফটক থেকে শুরু করে পুরোটাজুড়ে খুঁজে পাবেন গ্রামীণ শৈল্পিক ছোঁয়া, আকাশ ও প্রকৃতির নানা সময়ে নানা রং ও রূপ। আপনি হয়তোবা আপনার ছেলেবেলার দিনগুলোতে অনায়াসে হারিয়ে যাবেন এ ঠিকানায়। যারা পিঠা খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য সকাল ৬টা থেকে খুলে যায় ঠিকানার রান্নাঘর- গ্রামের বৌ-ঝিরা পিঠা বানাতে শুরু করেন। বুকিং করে পিঠার ফরমাইশ দিয়ে চলে যেতে পারেন ঠিকানায়। ভোর ৬টা থেকে শুরু করে রাত বারোটা পর্যন্ত ঠিকানাতে আসতে ও অবস্থান করতে পারবেন। বন্ধুদের সঙ্গে মিলে পিঠা ছাড়া সকালের নাস্তাও করতে পারবেন এ ঠিকানায়। আপনার যদি ধারণা হয়ে থাকে ঠিকানাতে শুধু দেশীয় খাবার পাওয়া যাবে তাহলে ভুল করবেন, ঠিকানাতে দেশীয় খাবারের পাশাপাশি পাওয়া যাবে উন্নত দেশগুলোর নামি-দামি সব খাবার ও কাবাবের সমারোহ। ঠিকানাতে রয়েছে উন্নতমানের কফিশপ যেখানে সুদূর ব্রাজিল থেকে বিন এনে কফি তৈরি করা হয়। সর্বোপরি বলা চলে যে ঠিকানা আপনার পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানোর মতো এমন এক জায়গা যেখানে আপনি পাবেন আপনার পছন্দমতো খাবারের স্বাদ নেয়ার সুযোগ। পরিবার অথবা অফিসের- গেট টুগেদার, পিকনিক, কনফারেন্স, গায়ে হলুদ, বিবাহ, জন্মদিনের আয়োজন করতে ০১৭২৬৬৬৬৬৬৩ নম্বরে কল করে চলে যেতে পারবেন ঠিকানায়।
ঠিকানার ভেতরে একই সঙ্গে ৪০০ জনের যে কোনো আয়োজন করতে পারবেন আপনি। এছাড়া ঠিকানার মাঠেও আপনি করতে পারবেন আরও হাজারখানেক লোকের যে কোনো আয়োজন। রয়েছে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।