কক্সবাজারের অন্যতম আকর্ষণ প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র। কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য ধারণ করে আছে। এখানকার সী বিচের সৌন্দর্যও অন্যরকম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও রয়েছে ভিন্নতা। অসংখ্য প্রবাল পাথরের ছড়াছড়িতো আছেই। দ্বীপ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য নারিকেল গাছ। গরম যতই থাকুক এ প্রকৃতির শান্ততা আপনাকে সব ভুলিয়ে দিবে। সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্যরূপ অপরূপ, মোহনীয়।
অপরূপ লীলাভূমি সেন্টমার্টিনের প্রথম রিসোর্ট –সীমানা পেরিয়ে। সেন্টমার্টিনের কোনাপাড়া নারিকেল পাড়ায় অবস্থিত রিসোর্টটি সাগর সংলগ্ন। বীচের ঠিক পাশ ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে এটি। ১৬০ শতক জমির উপর গড়ে উঠা এ রিসোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে থাকা খাওয়ার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা। আরামদায়ক অবকাশ যাপনে সীমানা পেরিয়ে হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। কেননা রিসোর্টেই সামনেই বঙ্গোপসাগরের ফেনিল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে। রিসোর্ট থেকে বের হলেই বীচের নান্দনিকতা আপনাকে বিমুগ্ধ করবে।
গ্রামীণ মেঠো পথ পাড়ি দিয়ে রিসোর্টে প্রবেশ করতে হয়।
সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে –এটি একটি ইকো-রিসোর্ট।প্রকৃতির সৌন্দর্যকে অক্ষুন্ন রেখেই নির্মিত হয়েছে এ রিসোর্ট। তাই বলে আধুনিকতার কমতি নেই কোথাও। একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টে প্রকৃতি এবং আধুনিকতার অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে।
ইকো-রিসোর্ট বলে যতটা সমভব ইট-বালি সিমেন্টের ব্যাবহার এড়ানো হয়েছে। তাইতো এখানে ভ্রমণে এলে মনে হবে ছায়া সুনিবিড় নিজের গ্রামে বেড়াতে এসেছেন।
ইতিমধ্যেই ইকো-রিসোর্ট এ সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে। সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টে থাকা-খাওয়ার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক সব আয়োজন। তিন ধরণের কটেজ রয়েছে এখানে। ব্রিকস ব্যাম্বো আর উডেন। কটেজ রুম রয়েছে মোট ১৪ টি।এছাড়াও রয়েছে চমৎকার সুইট ভিলা। খরচও লাগছে খুব কম। সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টে ভাবনা নেই খাবার নিয়েও। রিসোর্টে চাহিদা অনুযায়ী খাবার পাওয়া যায়।শাক-সবজি, ভর্তা-ভাজি, সামুদ্রিক মাছ সব রয়েছে এখানেই। বিনোদনে জন্য রয়েছে মাঠে ব্যাডমিন্টন, ভলিবল ইত্যাদি খেলা।
কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে লায়ন নামের একটি প্রশিক্ষিত কুকুর।
সেন্টমার্টিনের নিবিড় এ পরিবেশ থেকে ঘুরে আসতে যোগাযোগের জন্য রয়েছে এ ঠিকানাঃ ০১৮১৯০১৮০২৭, ০১৭২২৪২২৭০৩।
এ সবুজের রাজ্যে আপনার অবকাশযাপন হয়ে উঠবে সত্যিই আনন্দময়।