শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন

সিডনির বুকে একখণ্ড বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩

বিশ্বায়নের যুগে দেশ আর এখন কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে আবদ্ধ নেই। বরং তা ছড়িয়ে গেছে বিশ্বব্যাপী। বলা হয়ে থাকে সমগ্র পৃথিবী যেন এখন একটা ‘গ্লোবাল ভিলেজ’। আর সেই আদিকাল থেকেই মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে বিশ্বের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিভ্রমণ করে চলেছে। এভাবেই দেশের বাইরে তৈরি হয়েছে তাদের বসতি। তৈরি হয়েছে দেশের বাইরে দেশ।

অস্ট্রেলিয়াতেও অনেক বাংলাদেশি বসবাস করেন। বিশেষ করে সিডনিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা এখন বেশ বড়। সেই জনসংখ্যার সাথে সাথেই এখানে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের আদলে অনেক সুযোগ-সুবিধা। সিডনির লাকেম্বাকে বলা হয় এক টুকরো ঢাকা। লাকেম্বা স্টেশনের রেলওয়ে প্যারাডে সারি ধরে বাংলাদেশিদের দোকান। সপ্তাহান্তগুলোতে বাংলাদেশিরা এখানে ভিড় করেন খাবারের স্ব পরিবর্তন বা বন্ধু বান্ধব মিলে আড্ডা দিতে।

এছাড়াও রকডেলে বসবাস করেন বাংলাদেশিদের অনেকেই। সেখানেও রকডেল স্টেশনের পাশেই আছে বাংলাদেশিদের অনেক দোকান এবং রেস্তোরাঁ। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশিদের একটা বড় অংশ বসবাস করেন সিডনির দক্ষিণ পশ্চিমের সবার্ব মিন্টোতে। আরো ঠিক করে বললে ক্যাম্বেলটাউন এলাকায়। ক্যাবেলটাউন সিটি কাউন্সিলের অধীন অনেকগুলো সবার্বের একটি হচ্ছে মিন্টো।

ইঙ্গেলবার্ন লাইব্রেরিতে বাংলা বই

ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যে দেশ থেকে এসে সবাই শুরুতে লাকেম্বা বা রকডেল এলাকায় থাকেন। কারণ এই দুটো এলাকা সিডনি শহরের কাছাকাছি। আবার এই দুই জায়গায় কাজও সহজে পাওয়া যায়। তাই প্রবাস জীবন শুরুর ট্রানজিশন সময়টাতে মানুষ এই এলাকাগুলোতে বসবাস করেন। এরপর সময়ের সাথে সাথে যখন জীবনে স্থিরতা আসে তখন সবাই একটা বাসা কিনে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

সেদিক দিয়ে মিন্টো এখন বাংলাদেশিদের সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। তাই হয়তোবা মিন্টোর বাড়ি ঘরের দাম সমগোত্রীয় অন্য যেকোনো সবার্বের তুলনায় অনেক বেশি। এখানে বাংলাদেশিদের জন্য দরকারী প্রায় সমস্ত সুযোগ-সুবিধাই আছে। একেবারে বাংলাদেশি দোকান থেকে শুরু করে স্থানীয় লাইব্রেরিতে বাংলা বই পর্যন্ত পাওয়া যায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় মিন্টো এখন যেন সিডনির বুকে একটা লিটল বাংলাদেশ।

প্রথমেই নজর দেওয়া যাক বাংলাদেশি দোকানের দিকে। মিন্টো স্টেশনের পাশেই মিন্টো রোডে এবং রেডফার্ন রোডে রয়েছে বেশকটি বাংলাদেশি দোকান। সেইসব দোকানে বাংলাদেশের সমস্ত পণ্যই পাওয়া যায়। একটাই তফাৎ জিনিসটা থাকে ফ্রোজেন। একটু তালিকা করা যাক। ফ্রোজেন শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ মাংশ সবই পাওয়া যায়। বাংলাদেশের কচুর লতি, শাপলা ফুলের ডাটা, ঢেড়শ, লালশাক এমনকি ফ্রোজেন তালের রস পর্যন্ত পাওয়া যায়।

ক্যাম্বেলটাউনের আকাশে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা (ছবিঃ কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী)

আর মাছের মধ্যে এমন সব মাছ পাওয়া যায় যেগুলোর নাম এখন হয়তোবা বাংলাদেশের অনেক শহুরে অধিবাসীও জানেন না। ইলিশ, রুই, মৃগেল, কাতল, চিতল, কই, টাকি, আইড়, পুটি, স্বরপুঁটি, দাড়কিনা, শিঙ, মাগুর কি নেই সেখানে। ফ্রোজেন মাংসের মধ্যে কবুতর, কোয়েল, হার্ড চিকেন, হাঁস এগুলোর প্রায় সবই পাওয়া যায়। যেহেতু গরু, খাসি এবং ভেড়ার মাংশ এখানে সরাসরি পাওয়া যায় তাই আর এগুলো আমদানি হয় না।

পাশাপাশি বাংলাদেশের কুলফি মালাই থেকে শুরু করে ডাবের পানি, তোকমার শরবত সবই পাওয়া যায়। এছাড়াও আছে বাংলাদেশের চিপস ও বিস্কুটের সমাহার। আর হেঁসেলঘরের প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে সেখানে। সকল প্রকার চাল, দল, মশলা, এমনকি শীল-পাটা পর্যন্তও পাওয়া যায়। পাশাপাশি শলার ঝাড়ু ফুলের ঝাড়ু এগুলোও পাওয়া যায়।

তবে বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে যেটা দরকারি সেই বদনাও এখানে পাওয়া যায়। আমার মনে আছে আমরা এখানে আসার পর প্রথম প্রথম এখানকার বাগানে পানি দেওয়ার একটা পাত্র দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতাম। পরে একদিন বাংলাদেশি দোকানে বদনা পেয়ে হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম। এছাড়াও মিন্টো শপিংমলের পাশেই আছে আরো একটা বাংলাদেশি দোকান।

বৃষ্টি হলেই দলবেঁধে ফুটবল খেলা চলে

মিন্টোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ। আছে ক্যাফেও। এছাড়াও বাংলাদেশি মালিকানায় আছে অন্যান্য স্বাদের রেস্তোরাঁও। বাংলাদেশি রেস্তোরাঁগুলোতে জিভে জল আনা সব বাংলাদেশি খাবার পাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রায় সব রকমের পিঠাও পাওয়া যায় এসব রেস্তোরাঁতে।

এছাড়াও বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন রকমের প্যাকেজ থাকে। ইদানিং সকালের বুফে নাস্তা সবার মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিকেল বা সন্ধ্যায় হালকা নাস্তা বা কফি পাওয়া যায় ক্যাফেগুলোতে। সেখানে ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ির পাশাপাশি পাওয়া যায় চা এবং কফি।

প্রায় প্রত্যেক বাংলাদেশির বাড়িতেই এক টুকরো সবজি বাগান আছে। এর বাইরে বাংলাদেশের সব তরতাজা সবজিও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদ করা হয় লেপিংটনে। লেপিংটনের রামিনস ফার্ম সেই ২০০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশি সবজির চাহিদা মিটিয়ে আসছে। পাশাপাশি অনেক অস্ট্রেলিয়ান, উপজাতীয়, ভারতীয়, নেপালি এবং ফিজিয়ানরাও এখানে আসেন তরতাজা সবজির আশায়।

মিন্টোর এরিকা লেনের দেয়ালে বাংলাদেশের চিত্র

রামিনস ফার্ম তাদের উদ্বৃত্ব সবজি বাংলাদেশি দোকানগুলোতেও সরবরাহ করেন। সেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকমের লাউ, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, শিম, ঢেড়শ, কচুশাক, কচু, কচুর লতি, শসা, ক্ষীরা, পুঁইশাক, লালশাক, বৈথার শাক, ধনেপাতা, উচ্ছে, টমেটো, মরিচ, বিভিন্ন রকমের বেগুন, মিষ্টি, কুমড়া, কচি এবং বাড়তি চাল কুমড়া, কলমি শাক, মিষ্টি কুমড়ার ফুল, ডাটা শাক এমনকি বাঙি বা কাকরও পাওয়া যায়। সপ্তাহান্তগুলোতে সবাই পরিবার নিয়ে এখানে ভিড় করেন। সবজির চাহিদার পাশাপাশি দেশে ফেলে আসা সবুজের স্পর্শও খুঁজে পান এখানে।

মিন্টোতেই আছে বিশ বছরের পুরোনো বাংলা ভাষার কমিউনিটি ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটা এখন পর্যন্ত তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে সপ্তাহান্তের রোববার সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় প্রজন্ম বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির পাঠ নেয়। বাংলা স্কুল প্রতি বছর বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো জাতীয় দিবস যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন করে থাকে।

অমর একুশে বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বাংলাদেশের বিজয় দিবসসহ সবই উদযাপন করা হয় সেখানে। এছাড়াও বাৎসরিক পিঠা উৎসব বাঙালি ঐতিহ্যের মিলনমেলায় পরিণত হয়। আর বাৎসরিক বনভোজন যেন বাংলাদেশের চড়ুইভাতির ঐতিহ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসে। ক্যাম্বাটাউন বাংলা স্কুল সরকারের এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের অধীনে পরিচালিত হয়। বহু সংস্কৃতির দেশ অস্ট্রেলিয়া সরকারিভাবে এইসব কার্যক্রমকে উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে।

মিন্টোর ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল

এছাড়াও মিন্টোতে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় সংস্থা ‘অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার ইনক’। মিন্টোর ঈগল ভিউ রোডে রয়েছে এই সংস্থার কার্যালয়। সেখানে ওয়াক্তিয়া নামাজের পাশাপাশি জুম্মার নামাজ এবং তারাবির নামাজ পড়ানো হয়। এছাড়াও এলাকার কেউ মারা গেলে তার জানাজা নামাজও পড়ানো হয়।

এখানে দুই ঈদের জামাতও অনুষ্ঠিত হয়। কখনও এক জামাতে জায়গার সংকুলান না হলে দুই বা ততধিক জামাত করা হয়। ঈদের জামাতে সব বয়সের নারী পুরুষ অংশ নেন। নারীদের জন্য আলাদা কক্ষের সুব্যবস্থা আছে। নামাজ শেষে সিন্নি হিসাবে থাকে বিভিন্ন রকমের খাবার। এখানে ঈদের নামাজ পড়লে মনে হয় না যে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় আছি। মনে হয় আমরা বাংলাদেশের কোনো ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করছি।

নামাজ শেষে ছোটবড় সবাই মিলে যখন কোলাকুলি করেন তখন এক আবেগঘন ও আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এছাড়াও তারা বিভিন্ন প্রকারের অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করে থাকে। এলাকায় বছরব্যাপী আয়োজন করা হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকল আচার অনুষ্ঠানও। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা আয়োজন করা হয় বাংলাদেশের পঞ্জিকার সাথে মিলিয়ে।

মিন্টোর বাংলাদেশি কমিউনিটির স্বরস্বতী পূজা

এছাড়াও স্বরসতী পূজা এবং কালী পূজাও আয়োজন করা হয়। স্বরসতী পূজাতে উৎসব করে বাচ্চাদের হাতেখড়ি দেওয়ার চলও আছে এখানে। বেশ কয়েকটি সংগঠন এই সকল উৎসব উদযাপন করে থাকে। শারদীয়া দূর্গা পূজার সময় এক মণ্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দেখা হয় ঠিক বাংলাদেশের আদলে। আর সেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশি প্রবাসী ছাড়াও স্থানীয়রা অংশ নেন।

সবাই মিলে পূজার প্রসাদ খাওয়াটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও মিন্টোতে আছে দুটো মন্দির। সেখানেও সারা বছর ধরে চলে বিভিন্ন প্রকারের পূজা অর্চনা। এখানে স্থানীয় লাইব্রেরিগুলোতে অন্যান্য ভাষার বইয়ের পাশাপাশি পাওয়া যায় বাংলা ভাষার বই। যে কেউ চাইলেই ধার নিয়ে পড়তে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার লাইব্রেরিতে বাংলা ভাষার বই পাওয়া যাওয়ার ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

এছাড়াও ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতি বছর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সেদিন অস্ট্রেলিয়ার পতাকার পাশাপাশি বাতাসে উড়ে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। এরই মধ্যে ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলরদের বাংলাদেশিরা জায়গা করে নিয়েছেন। এতদিন মাত্র একজন বাংলাদেশি কাউন্সিলর ছিলেন। গত বছর দুজন বাংলাদেশি নিজ যোগ্যতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আমার বিশ্বাস।

মিন্টোর বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ নবাব

অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিকসের ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী মিন্টোতে অস্ট্রেলিয়ানদের পর সবচেয়ে বেশি বাস করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ। তাই এখানে বিকেলে হাঁটতে বের হলে বা পার্কে বেড়াতে গেলে আশপাশে বাংলাদেশিদের পাওয়া যায় সহজেই। আর পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যেও অনেকেই বাংলাদেশি পাওয়া যায়। এতেকরে বাংলাদেশের একটা অসাম্প্রদায়িক এবং পরস্পর সহানুভূতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন উৎসবে দাওয়াতে প্রতিবেশীদের দেখা পাওয়া যায়। এমনকি অনেক সময় ভালো কিছু রান্না হলেও প্রতিবেশীদের মধ্যে সেটা বিতরণ করা হয়। এর গাছের সবজি ওর বাসায় যায়। আবার ওর বাসার তরকারি এর বাসায় আসে।স্টেশনের পাশের এরিকা লেনের দেওয়ালে সভা পাচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃতির চিত্র। আর অন্যপাশের শোভা পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার প্রকৃতির চিত্র। আর পুরো ফুটপাতে বাংলাদেশের মতো আল্পনা আঁকা। খেলার মাঠে দিনশেষে চলে দলবেঁধে ফুটবল খেলা। অনেক সময় বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা বৃষ্টির মধ্যে দলবেঁধে নেমে পড়ে ফুটবল খেলতে।

এছাড়াও দিনশেষে বা সপ্তাহান্তে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেতে জড়ো হয়ে আড্ডা দেন অনেক রাত পর্যন্ত। যেখানে মূল বিষয় থাকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা। এগুলো নিয়ে প্রবাসীরা সবাই কমবেশি ভাবত। কারণ সবারই শেকড়টা বাংলাদেশে গ্রথিত। এছাড়াও দলবেঁধে চলে বাংলা চলচিত্র দেখা। বাংলাদেশি চলচিত্রের এখন অনেক বড় বাজার বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।

লেপিংটনের রামিনস ফার্ম

সেদিক দিয়েও পিছিয়ে নেয় অত্র অঞ্চলের বাংলাদেশি বাসিন্দারা। বাংলাদেশি একাধিক চলচ্চিত্রের অনেক শো আয়োজন করা হয়েছে দর্শক সংখ্যার আধিক্যে। আসলে মায়ের সাথে যেমন সন্তানের বন্ধন দেশের সাথেও বাংলাদেশিদের থাকে তেমন বিনিসুতোর বাঁধন। এই বাঁধন কখনও ছিড়ে যায় না তারা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি সকলের মনের কোণেই বেজে চলে সেই চিরচেনা সুর- ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com