সিঙ্গাপুর

বিশ্বের যে কয়েকটি শহর পর্যটনশিল্পের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে সিঙ্গাপুর সিটি অন্যতম। প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন পর্যটক সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেন। এদের মধ্যে নবদম্পতির সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। এ বিষয়টি মাথায় রেখে দেশটির সর্বক্ষেত্রে একটি পরিবর্তনের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। অর্থাৎ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে হানিমুন যুগলদের। এখানে দেখার মতো যেসব পয়েন্ট বা স্থাপনা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে নাইট সাফারি, মারলাওন পার্ক, সান্তোসা আইল্যান্ড অন্যতম। নাইট সাফারিতে গভীর রাতে জঙ্গলের ভিতরের নানা পশুপাখিদের মাঝ দিয়ে ট্রামে করে পর্যটকরা বিচরণ করেন। বাঘ, হরিণ, ভাল্লুক, হাতি, উট, কুমির এ সাফারির প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। এ সাফারিতে পশুপাখিরা উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়। মারলিন বা সিংহ-মৎস্য হচ্ছে সিঙ্গাপুরিদের গর্বের প্রতীক, বীরত্বের প্রতীক।

কথিত আছে বহু আগে সিঙ্গাপুর যখন তেমাসেক বা সমুদ্রনগরী নামে পরিচিত ছিল তখন প্রচণ্ড এক সামুদ্রিক ঝড় ওঠে দ্বীপে। অধিবাসীরা যখন নিজেদের সঁপে দেয় ঈশ্বরের হাতে ঠিক তখনই সমুদ্র থেকে সিংহ-মৎস্য আকৃতির এক জন্তু এসে ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচিয়ে দেয় অধিবাসীদের। আর সে থেকে মারলিন নামের সিংহ-মৎস্য সিঙ্গাপুরিদের গর্ব আর বীরত্বের প্রতীক। মারলিনের মূর্তি ম্যারিনা বে-এর মারলাওন পার্কে অবস্থিত। আর সান্তোসা আইল্যান্ড হলো সমুদ্রের মাঝে ছোট এক দ্বীপে গড়ে তোলা বিনোদন কেন্দ্র।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: