একই সঙ্গে রোববার সকালে চোয়া চু কং ডরমিটরি বি–তে উদ্বোধন করা হয় ডরমিটরির ছয় মিটার উঁচু সীমানা দেয়ালে আঁকা ম্যুরালের। সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের কষ্টের জীবনের বিভিন্ন প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে এ ম্যুরালে। ম্যুরালের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ ডন উই।
আর্ট ওয়াল ও ম্যুরালটির বিষয়ে সামা সামার সহপ্রতিষ্ঠাতা কারি তামুরা বলেন, ‘আমরা আশা করি, এ দেয়াল স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও অভিবাসীর মধ্যকার দূরত্ব কমানোর একটি ধাপ হিসেবে কাজ করবে।’
এরপর সন্ধ্যায় চোয়া চু কং ডরমিটরি বি–তে আয়োজন করা হয়, ‘মালাম মাজুলাহ’ শিরোনামের একটি উৎসবের। অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে এক আনন্দঘন উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এ আয়োজন করা হয়েছিল। এ উৎসবে ডরমিটরির প্রায় এক হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন মজার খেলায় অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি স্থানীয় খাবার এবং নাচ-গানের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার জিতে নেন। ফ্রিতে ছবি তোলার ও দেশে চিঠি পাঠানোর সুযোগ ছিল সেখানে।
উৎসবে অংশগ্রহণকারী ডরমিটরির বাসিন্দাদের এক বাংলাদেশি নির্মাণশ্রমিক আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজ আমাদের ঈদের দিন। প্রবাসে থাকার কারণে আমরা ঈদ কী জিনিস, সেটা ভুলে গেছি। আপনাদের এই আয়োজনে আমরা ঈদ উৎসবের আমেজ ফিরে পেয়েছি।’
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন টোয়েন্টিফোর এশিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা নাজমুল খান বলেন, ‘উৎসবে স্থানীয় খাবারগুলোর পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশি খাবার বিতরণ করেছি। এতে করে আমাদের প্রবাসী ভাইরা বিদেশে বসেও দেশি খাবারের স্বাদ পেয়েছেন বলে আশা করি।’
অনুষ্ঠানগুলোর যৌথ আয়োজনে ছিলেন টুয়েন্টিফোর এশিয়া, আ গুড স্পেস, কোভিড-১৯ মাইগ্র্যান্ট সাপোর্ট কোয়ালিশন, হেলথ সার্ভ, হোম ফর অল, সামা সামা, জ্যু চি হিউম্যানিস্টিক ইয়ুথ সেন্টার ও ওয়েলকাম ইন মাই ব্যাকইয়ার্ড (উইম্বি)। সহযোগিতা করেন ক্রাঞ্জি রিক্রিয়েশন সেন্টার, জেটিসি করপোরেশন, সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অ্যাস্যুরেন্স, কেয়ার অ্যান্ড এনগেজমেন্ট গ্রুপ, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন, ডরমিটরি অ্যাসোসিয়েশন অব সিঙ্গাপুর লিমিটেড। অনুষ্ঠান যৌথভাবে সফল করতে স্থানীয় ও অভিবাসী মিলিয়ে প্রায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবী নিরলসভাবে কাজ করেন।