পেগাসাস একপ্রকারে ফ্ল্যাগসিপ স্পাইওয়্যার যার আবিষ্কর্তা ইসরাইলের এনএসও গ্রুপ। এই স্পাইওয়্যারকে ‘কিউ স্যুট’ বা ‘ট্রিডেন্ট’ বলা হয়। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ডিভাইস এর মূল নিশানা। নানাভাবে অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম কব্জা করতে পারে এই সফটওয়্যার। গত দু’বছর ধরে হোয়াটস্অ্যাপের ভয়েস কলিং ফিচার ব্যবহার করে এই স্পাইওয়্যার ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসরাইলি সংস্থা।
কীভাবে ফোনে ঢুকে পড়ে পেগাসাস?সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমে ফোনে একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক পাঠানো হয়। তাতে ক্লিক করলেই মোবাইলে পেগাসাস ইনস্টল হয়ে যায়। তাছাড়া মেসেজিং অ্যাপের ‘ভয়েস কল’ ফিচারকে নিশানা বানায় হ্যাকাররা। যে কোনো মোবাইল সেট থেকে হোয়াটস্অ্যাপের ভয়েস কলে ফোন করে হ্যাকাররা।
যে কারণে ইনস্টাগ্রামে নিষিদ্ধ পর্নো তারকা
আপনি ফোন ধরুন বা না ধরুন, সেই কল আপনার মোবাইল সেটে ঢোকা মাত্রই হ্যাকারদের বানানো ঝঢ়ুধিৎব বা ‘নজরদারি সফটওয়্যার’ সরাসরি এন্ট্রি নেবে মোবাইলে। এই সফটওয়্যার নিজে থেকেই ইনস্টল হয়ে পাচার করে দেবে ব্যক্তিগত তথ্য।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
অচেনা নম্বর থেকে হোয়াটস্অ্যাপের ভয়েস কলে ফোন আসতে পারে। সেই কল রিসিভ করা মাত্রই স্পাইওয়্যার সরাসরি এন্ট্রি নেবে মোবাইলে। এক্ষেত্রে হ্যাকারদের কারিগরিতে ফোনের কল লিস্ট থেকে মুছেও যাবে কল আসার সময় এবং সফটওয়্যার ইনস্টলের যাবতীয় তথ্য। অর্থাৎ গ্রাহক বুঝে ওঠার আগেই বেহাত হয়ে যাবে তার যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য।
কোড বা লিঙ্কের মাধ্যমে ইনস্টল হতে পারে এই পেগাসাস স্পাইওয়্যার। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই স্পাইওয়্যার গ্রাহককে ‘বীঢ়ষড়রঃ ষরহশ’-এ ক্লিক করতে বাধ্য করে। একবার এই লিঙ্কে ক্লিক করলে সেই গ্রাহকের মোবাইলের সুরক্ষা কবচ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সফটওয়্যারের কোড নিজে থেকেই ইনস্টল হয়ে হয়ে যায়। তারপর মেসেজিং অ্যাপে বলা কথা, পাঠানো সব লেখা, অডিও বা ভিডিও সব তথ্য পাচার হতে থাকে ফোন থেকে। কললিস্ট, ক্যালেন্ডার ডেট, ভয়েস কলের অডিও, ভিডিও চ্যাট, জিপিএস লোকেশন—এই স্পাইওয়্যারের সূত্র ধরে সবকিছুই পৌঁছে যায় হ্যাকারদের ঠিকানায়। শুধু তাই নয়, আইমেসেজ, জিমেল, ভাইবার, ফেসবুক, টেলিগ্রাম, স্কাইপি-র পাসওয়ার্ড এবং জরুরি তথ্যও বেহাত হয়ে যেতে পারে লহমায়। এর আগে অ্যাপলের দুর্ভেদ্য সুরক্ষা বলয়ও ভেঙে ফেলেছিল ইসরাইলি সাইবার হ্যাকারদের এই গোপন সংস্থা।