সাদা পাথরের দেশে

যত দূর দৃষ্টি যায়, দুদিকে সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়-মেঘের আলিঙ্গন। এ যেন প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য। ওপারের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি থেকে নেমে আসা জলের স্রোত, যার নিচে সাদা পাথর। এসব ঘিরে এক অদ্ভুত সৌন্দর্যের ক্যানভাস। এই সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সিলেটের ভোলাগঞ্জের জিরো পয়েন্টে।

সড়কপথে সামনের দিকে যতই এগিয়ে যাবেন, চোখের সামনে স্পষ্ট হবে মেঘালয় রাজ্য আর খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়। সুবিশাল পাহাড়, তার সঙ্গে মিশেছে আকাশের নীল। আকাশের গায়ে ছোপছোপ শুভ্র মেঘ। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে পাথর তোলার হাঁকডাক আর গর্জনে ধলাই নদী পেরিয়ে ভোলাগঞ্জ বাজার। এর পরই চোখের সামনে স্পষ্ট হবে জিরো পয়েন্ট। এ ছাড়া জিরো পয়েন্টে যতই দৃষ্টি প্রসার হবে, চারদিকে পাথর আর পাথর। এখানে সব পাথর সাদা। রয়েছে সারিসারি পাথর তোলার নৌকাও। সামনের সবুজ পাহাড়, সঙ্গে গড়িয়ে আসা প্রচণ্ড স্রোতের স্বচ্ছ শীতল জল আর সে জলের সঙ্গে গড়িয়ে নামা সাদা পাথর। এ যেন প্রকৃতির নিজস্ব ক্যানভাস। সেই ক্যানভাস উপভোগ করতে প্রতিদিন পর্যটকেরা ভিড় করেন। সাদা পাথরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত স্বচ্ছ জলে মনের আনন্দেই সাঁতার কাটেন। সব ক্লান্তি ভুলে মনের তৃপ্তি নিয়ে ফেরেন পর্যটকেরা।

যেভাবে যাবেন

সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ রুটে। ২০০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ায় কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজারে নামতে হবে। টুকের বাজার থেকেই ট্রলারে চলে যেতে পারেন সাদা পাথরের দেশ খ্যাত ভোলাগঞ্জের জিরো পয়েন্টে। কোম্পানীগঞ্জ পৌঁছে টুকের বাজারের ঘাট থেকে ট্রলারে চেপে সাদা পাথরে পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের মতো লাগবে। যাওয়া-আসায় নৌকাভাড়া পড়বে ১,০০০-১,২০০ টাকা। তা ছাড়া মাইক্রোবাস ভাড়া করেও যেতে পারেন, ভাড়া নেবে ৫,০০০ থেকে ৭,০০০ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: