করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দী আমরা সবাই। এখন বাইরে গেলেও নানা সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আর যারা ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন, তাদের তো প্রায় দম বন্ধ অবস্থা। তাই পর্যটন স্পটগুলো খোলার সাথে সাথেই ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা আর ঘরে থাকতে পারছেন না।
তবে করোনার কারণে একটু সাবধানে চলতে হচ্ছে। তাই সবার আগে মাথায় রাখতে হয় রাত্রি যাপনের জায়গাটি। সাজেকের বেশ কিছু রিসোর্ট আছে যেগুলো খুব পরিপাটি ও পরিষ্কার। সব রকম নাগরিক সুযোগ সুবিধার সুব্যবস্থাও রয়েছে এই রিসোর্টগুলোতে। তেমনি একটি রিসোর্ট ‘গরবা রিসোর্ট’।
সামনে থেকে দেখতে বেশ ভালোই লাগে রিসোর্টটি। কাচ দিয়ে মোড়ানো দালানের সামনে ছোট একটু খোলা জায়গা। খোলা জায়গাটা পেরিয়ে গেলেই রিসেপশন আর সোফা দিয়ে সাজানো লবি। এর পরই রিসোর্টের সারি সারি রুমগুলো। রুমগুলোর সামনের করিডোরটা টবের গাছ দিয়ে সুন্দর করে সাজানো। প্রতিটি রুমের আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। রুমগুলো যথেষ্ট বড়। বিছানা এবং অন্যান্য আসবাসপত্রগুলোও বেশ ভালো। সব রুমগুলোর সাইজ সমান হওয়ায় কাপল রুমগুলোতো একটু বেশি জায়গা পাওয়া যায়। আর যেটা না বললেই নয়, রিসোর্টের বাথরুমগুলো পরিস্কার আর খোলামেলা।
তিনতলা রিসোটটির প্রত্যেক ফ্লোরেই রয়েছে খুব সুন্দর ব্যালকনি। ব্যালকনিগুলোতে পর্যাপ্ত চেয়ার টেবিল রাখা আছে। এখানে বসে মন ভরে পাহাড় দেখা যায়। শুধু ব্যালকনি নয় তিনতলার উপরে একটা ছাদ রয়েছে শুধুমাত্র মেঘ দেখার জন্য। এখানেও পর্যাপ্ত চেয়ার রাখা আছে, আর উপরে টিনের ছাউনি থাকায় দিনে রাতে যখন খুশি বসে আড্ডা দেয়া যায়। সাজেকের বেস্ট ভিউ রিসোর্টগুলোর মধ্যে এই রিসোর্টিও একটি। প্রকৃতি উপভোগ করতে সাজেক আসলে গরবা রিসোর্ট আপনাকে হতাশ করবে না।
গরবা রিসোর্টের রুমগুলো ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু। রুমগুলোতে থাকতে চাইলে মান ও সাইজভেদে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে। তবে ফ্যামিলি ট্যুর অথবা কাপল ট্যুরে যারা ভালোমান ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে চিন্তা করে তাদের টাকাটা কাজে লাগবে।
এই রিসোর্টের সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনে নিতে পারবেন ভ্রমণবন্ধুর ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও দেখে।