যুক্তরাষ্ট্রে আইন সেবায় আস্থার নাম অ্যাটর্নি নরেশ গেহি। যুক্তরাষ্ট্রে গমনের পর অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে। অনেকে অনেক পন্থা অবলম্বন করেও সফল হতে পারেন না। বরং বার বার চেষ্টা করে নিজের সময় ও অর্থের অপচয় হয়। দেশটির আইন কানুন নিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ধারণা কম থাকায় পড়তে হয় এই সমস্যায়। তবে এসব সমস্যা সমাধান করে সহজেই দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি অথবা গ্রিনকার্ড পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে স্বনামধন্য আইনি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গেহি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্বস্ত ও স্বনামধন্য আইনি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত দুই দশক ধরে গেহি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ইমিগ্রেশন, ব্যাংক্র্যাপ্টসি, ক্রেডিট কার্ড ম্যাটার, ডিভোর্স, সিটিজেনশিপ, চাইল্ড কাস্টডি, চাইল্ড সাপোর্ট, অর্ডার অব প্রোটেকশন ও ফিয়ানসিসহ সব ধরনের ভিসা প্রসেসিং সেবা তুলনামূলক কম ফি’তে দিয়ে থাকে। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, ওজোন পার্কের লিবার্টি অ্যাভিনিউ ও জামাইকা অ্যাভিনিউতে প্রতিষ্ঠানটির অফিস রয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা; ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত, পাকিস্তান, তিব্বত, নেপালের কমিউনিটির কাছে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
গেহি অ্যান্ড এসোসিয়েটসের কর্ণধার ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইনজীবী অ্যাটর্নি নরেশ গেহি। যার সুনাম পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। বিশেষ করে নিউইয়র্কে তার জনপ্রিয়তা অনন্য। গেহি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান অ্যাটর্নি হিসাবে তিনি অভিবাসন আইন, ব্যক্তিগত আঘাত আইন, পারিবারিক আইন, বীমা, বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে বিরোধ এবং শ্রম আইনসহ ১৫ হাজারেরও বেশি মামলা সফলভাবে পরিচালনা করেছেন। গেহি বর্তমানে সুরিনামের রাষ্ট্রপতি চান সান্তোখির ব্যক্তিগত উপদেষ্টাও। তাকে সুরিনামের অভিবাসন আইন পুনর্লিখন কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এবং অভিবাসন আইন সংস্কারের বিষয়ে নিউইয়র্ক স্টেট সেনেটের সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন। পাশাপাশি হিলারি ক্লিনটনের অর্থ কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। যার মধ্যে গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার কুইন্সের ওয়ার্ল্ডস ফেয়ার মেরিনা হলে ১৬তম অ্যানুয়াল ডিনার ড্যান্স ও অ্যাওয়ার্ডস ‘স্যালুট টু পাবলিক সার্ভিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি নরেশ গেহি সিনেটর, মেয়র ও কংগ্রেস উইমেন অফিস থেকে কমিউনিটির আইনি সেবায় অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। গেহির হাত ধরে গ্রিনকার্ড পায় একই পরিবারের ৫ জন ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সদস্য মোহাম্মদ হোসেন। পরবর্তীতে একই বছর ১১ থেকে ১৫ এপ্রিল চারদিন জেল খাটেন তিনি। পরে জেল থেকে বের হয়ে মোহাম্মদ হোসেন গেহি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের মাধ্যমে অভিবাসী আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন করেন। আবেদনে এলডিপির সদস্য হওয়ায় ক্ষমতাসীনদের নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ আনেন। আদালত চলতি বছরের ৩ এপ্রিল মোহাম্মদ হোসেন, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেন।
কমিউনিটির সেবা করা নরেশ গেহি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তিনটি অফিস রয়েছে। ভারতেও অফিস আছে। যেকোনো অফিসে কেউ সেবা নিতে চাইলে নথিপত্রসহ সরাসরি অথবা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসতে পারেন। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দু, নেপালিসহ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞ অ্যাটর্নি দিয়ে আমরা যেকোনো ধরনের মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করি। আমার সাথে কেউ পরামর্শ করতে চাইলে আমি এবং আমার সহকর্মীরা বিনা ফি’তে পরামর্শ দিয়ে থাকি। তাছাড়া আমরা চেষ্টা করি মানুষকে সহজে এবং কম খরচে সেবা দিতে। আমার লক্ষ্যে আইন ও শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা করা।
প্রসঙ্গত, অ্যাটর্নি নরেশ গেহি প্রতিষ্ঠিত গেহি অ্যান্ড এসোসিয়েটস নিউইয়র্কে তিনটি অফিস থেকে ছয় জন অ্যাটর্নিসহ প্যারালিগ্যাল ও অন্যান্য ৩৫ জন স্টাফ মেম্বার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।