সমুদ্রবেষ্টিত দেশ হিসেবে শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। অক্টোবর ও নভেম্বরে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে পর্যটকরা এই সময়ে সচরাচর শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ করেন না। বিমানপথে শ্রীলঙ্কা যেতে ব্যয় হয় অনেক বেশি। এয়ারইন্ডিয়া, জেট এয়ারওয়েজ, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, মালিন্দ এয়ার, শ্রীলঙ্কান এয়ারওয়েজসহ আরও অনেকে এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণ করা যায়। তবে স্বল্প ব্যয়ে দেশটিতে যাওয়ার জন্য ভারতের অভ্যন্তর দিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে পাসপোর্টের করার জন্য ভারতের ডাবল এন্ট্রি ভিসা রাখা জরুরি। শ্রীলঙ্কায় যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেসব সম্পর্কে আজ আপনাদের সামনে বলবো।
বেনটোটা
শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বেনটোটা শহর সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত। ভারত মহাসমুদ্রবেষ্টিত শহর হিসেবে শহরটিতে অনেকগুলো রিসোর্ট রয়েছে। এখানে সার্ফিংসহ রয়েছে বিনোদনের নানান ব্যবস্থা রয়েছে। সপ্তদশ শতকে নির্মিত সুরক্ষিত দুর্গ ও মধ্যযুগে নির্মিত বৌদ্ধ মন্দির এখানকার প্রধান আকর্ষণ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসেন।
নুওয়ারা ইলিয়া
নুওয়ারা ইলিয়া শহর চায়ের বিখ্যাত। শ্রীলঙ্কার সব বয়সের মানুষ এখানে উৎপন্ন চা পান করেন। বলা হয়, শহরটি শ্রীলঙ্কার চায়ের রাজধানী। পাহাড়ি শহরটি উনবিংশ শতাব্দিতে গড়ে ওঠে। একে লিটল ইংল্যান্ড বা ছোট ইংল্যান্ড হিসেবে অভিহিত করা হয়।
অনুরাধাপুর
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনুরাধাপুর পবিত্র স্থান। খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দিতে এটি নির্মিত হয়। এখানে গৌতম বুদ্ধের ডুমুর গাছ রয়েছে। এছাড়া ১৩০০ বছরের প্রাচীন অভিজাত ভবন, মন্দির ও মনুমেন্ট রয়েছে। দশম শতাব্দিতে ধ্বংস হয়ে যায় এটি। কিন্তু ইউরোপীয়রা পুনরায় এটি আবিষ্কার করেন এবং তখন থেকে এটি শ্রীলঙ্কার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানে রূপান্তর হয়।
কলম্বো
শ্রীলঙ্কার বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বো। ২ হাজার বছর পুরনো কলম্বো শহর দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র। পর্যটকদের দৃষ্টিতে জনপ্রিয় অঞ্চল। গালে ফেস গ্রিন অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। গঙ্গারামায়া মন্দির বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। শহরটিতে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য রয়েছে।
মিরিসা
মিরিসা শহরে যেদিকে তাকানো যায় সেদিকে নারকেল গাছ রয়েছে। একে ভূ-স্বর্গ হিসেবে অভিহিত করে স্থানীয় বাসিন্দারা। শহরটির সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান নয়নাভিরাম সমুদ্রসৈকত। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই শহর।