সব সম্প্রদায়ের মানুষেরই বিয়ে নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে। আমাদের দেশে কোনো ছেল-মেয়ের বিয়ের পাকা কথার সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় আনন্দ আয়োজন। বিয়েকে ঘিরে আচার অনুষ্ঠানের যেন শেষ নেই। প্রথমে এনগেজমেন্ট, এরপর গায়ে হলুদ, তারপর বিয়ে। সবশেষে বৌভাত দিয়ে শেষ হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। এসবের ফাঁকে আরো কত শত আচার যে রয়েছে তার শেষ নেই।
তবে দীর্ঘ দিনের এসব আয়োজন এখন একবিংশ শতাব্দীতে এসে বদলে যাচ্ছে। ডিজিটাল এই যুগে বদলে যাচ্ছে শত শত বছরের সব আচার, রীতি ও আয়োজন। এলাকার ঘটকের পরিবর্তে ইন্টারনেটে ‘ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট’ এ বিয়ের পাত্র-পাত্রী খোঁজা, টুপির বদলে বরের জন্য বাহারি পাগড়ি কেনা, কনের শাড়ির জন্য ডিজাইনারকে ডাকা- এসব কিছুরই বদল হয়েছে।
বদলে গেছে বিয়ের প্যান্ডেল বানানোর প্রচলনও। থানা শহর তো বটেই গ্রামে গ্রামেও ছড়িয়ে গেছে কমিউনিটি সেন্টার। তেমনই একটি কনভেনশন সেন্টার হল শহরের ‘শিল্প আঙিনা চাইনিজ এন্ড কনভেনশন সেন্টার’।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ কনভেনশন সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন রকম বার্ষিকী, জন্মদিনের অনুষ্ঠান, কর্পোরেট অনুষ্ঠান, কনফারেন্স, সেমিনার, মিটিং এবং ব্যবসায়িক স্পেশাল ইভেন্ট সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে। এছাড়া পরিবারকে নিয়ে লাঞ্চ এবং ডিনার করার সুযোগও রয়েছে।
কনভেনশন সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন অসাধারণ শৈল্পিক চিত্রকর্ম। দেয়ালের নীল কারুকাজ আপনাকে সতেজতা এনে দেবে। এর পাশেই আছে পানির ফোয়ারা। এখানে বেশ কিছু টেবিল রাখা আছে। চাইলে খোলা হাওয়ায় বসেও প্রিয়জনের সাথে সময় কাটাতে পারেন।
এখানের খাবারের মেনুতে পাবেন নানা ধরণের স্যুপ, এ্যাপিটাইজার, সালাদ, রাইচ, চিকেন, ভেজিটেবল, প্রাউন, ফিস, মাটন, বিফ, চাউমিন, চপসি, ভেজিটেরিয়ান ডিস, ফাস্টফুড, বেভারেজ, সিজ্জলিং ডিস ও ইন্ডিয়ান ডিস।
পাবনা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে নতুন ব্রীজের কাছে এই চাইনিজ এন্ড কনভেনশন সেন্টার অবস্থিত। এটি সকাল ১০টা থেকে ১০ পর্যন্ত খোলা থাকে।