শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

শিলাইদহ কুঠিবাড়ী

  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

জমিদারী প্রথাটি বেশ আলোচিত রবীন্দ্রনাথের কারণে। তিনি বাংলাদেশে তিনটি জমিদারী পরিচালনা করতেন।

কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং নওগাঁর পতিসর। এর মধ্যে দুটো ছিলো তার বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের এবং শাহাজাদপুরেরটা ছিলো কাকা গিরিন্দ্রনাথের। গিরিন্দ্রনাথের নাতি গগণ, সমর, অবনরা নাবালক ছিলো বলে দেবেন্দ্রনাথকেই সেটা দেখাশোনা করতে হতো। পরে যখন নাতিগুলো বড় হয়েও বাড়ির বাহির হলো না বরং বাড়িতে বসে ছবি আঁকাতেই বেশি মনযোগী হলো তখন সেটাকে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হলো রবীন্দ্রনাথকে।

এবার আসি যে কারণে এই লেখা। পদ্মা নদী ধরে এসে গোরাই নদীর মুখটায় ঢুকে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি। এই নামটির মজার ইতিহাস বলাই এ লেখার উদ্দেশ্য।

বিরাহিমপুর পরগনার এই গ্রামটির নাম এক সময় ছিলো খোরসেদপুর। খোরসেদ নামে এক ফকির এসে আস্তানা গেঁড়েছিলেন এ অঞ্চলে। তারপর এলো সাহেবী আমল। নীলকর সাহেবরা পদ্মা আর গোরাইয়ের সঙ্গমস্থলে একটি কুঠি স্থাপন করেছিলেন। সেই সাহেবদের মধ্যে এক দোর্দন্ডপ্রতাপ সাহেবের নাম ছিলো শেলী।

না না, সেই কোমল হৃদয়ের স্বপ্নময় কবি শেলী নন। ইনি অত্যাচারী নীলকর শেলী। তার নামেই এই জায়গার নতুন নাম হলো শেলীর দহ। তারপর লোকের জিভে একটু একটু করে বদলে গিয়ে হয়ে গেল শিলাইদহ।

নীলকরদের সেই পরিত্যক্ত কুঠিবাড়িটি কিনে নিয়েছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর। পরে সংস্কার করে, বর্তমান রূপ দেওয়া হয়েছে কুঠিবাড়ির। নদী ভাঙনের কারণে পরে মূল কুঠিবাড়িটিকে আরো ভেতরে সরিয়ে নেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com