বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

শিগগিরই রেল যাচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

রেল ভ্রমণে যে কোনো মানুষের আগ্রহ সব দেশেই বেশি। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই রেলওয়েকে আধুনিকায়ন করতে নতুন নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।সব শ্রেণির মানুষের পছন্দের পরিবহন রেলওয়েকে লাভবান করতে এবং মানুষের যানজটমুক্ত ও স্বস্তিদায়ক ভ্রমণের অধিকার নিশ্চিত করতে রেলের আধুনিকায়নের বিকল্প নেই।এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়, সমুদ্র আর সবুজেঘেরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ শিগগিরই দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। এগিয়ে চলছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলের কাজ।

দেশকে এগিয়ে নিতে ইতিমধ্যে সরকার যে চার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল।এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাবে হাইস্পিড ট্রেন।

তিনি আরও বলেন, রেলের উন্নয়নে সরকার একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। পর্যটনে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চট্টগ্রামে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।চউক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, উন্নয়নের গতিপথে পতেঙ্গাকে টার্নিং পয়েন্ট বানাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)।ফলে পতেঙ্গায় বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রবেশদ্বার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শেষসীমা, পতেঙ্গায় বিশ্বপর্যটনের আদলে পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়েসহ রিংরোড প্রকল্প ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনসহ চার মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে এই সরকারের আমলে।

এর আগে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে গড়া বিশাল মঞ্চে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উন্নয়ন পরিকল্পনার বক্তব্যে বলেন, আমি কাজ করতে চাই দেশের জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের চিন্তা করি ২০১০ সালে। ২০১৪ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হলে শতভাগ সহায়তার আশ্বাস পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় টানেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটির পক্ষ থেকে জানা গেছে, টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে চট্টগ্রামের চিত্র। গড়ে উঠবে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ও যুগোপযোগী সড়ক যোগাযোগ, আধুনিকায়ন হবে বিদ্যমান সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা, সংযোগ স্থাপন হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে, যুক্ত করা হবে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা শহরের সঙ্গে ডাউন টাউনকে, ত্বরান্বিত হবে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ, বৃদ্ধি পাবে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা ও সুযোগ-সুবিধা, গতি পাবে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজ, নতুন যোগাযোগব্যবস্থা সৃষ্টি হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে।
এদিকে ঝামেলামুক্ত, আরামদায়ক ও তুলনামূলক নিরাপদ করতে আগামী দুই বছরের মধ্যে ৫০০ কোচ ও ১০০ ইঞ্জিন যোগ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রীসেবার মান বাড়াতে আগামী ২ বছরের মধ্যে দেশের রেলপথের জন্য ৫০০ কোচ ও ১০০ ইঞ্জিন আনা হবে। এর মধ্যে চলতি বছরের জুনে আসবে ২০০ কোচ।

তিনি বলেন, দেশের রেলব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজ করা হবে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রেলপথের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে টিকিটে যাত্রীর নাম দ্রুত সময়ের মধ্যে বাধ্যতামূলক করা হবে।নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘১৯৬৫ সালের আগে ভারতের সঙ্গে যে আটটি রেলপথ ছিল, সেগুলো চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com