বলিউডের মুকুটহীন রাজা তিনি। তাঁর নাম শুধু কিং খান নয়, আক্ষরিক অর্থেই বি-টাউনের কিং তিনি। সাফল্য ও ব্যর্থতা মিলিয়েই জীবন। ২০২৩ সালে বক্স অফিসে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ। ওদিকে চলতি বছরের শুরুতেই আইপিএল ট্রফি জিতেছে শাহরুখের দল কেকেআর। দুর্দান্ত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলিউড বাদশা।
৫৮ বছর বয়সী এই সুপারস্টার মাঝে বেশ কয়েকটা বছর বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখেননি। কিন্তু শাহরুখের উপার্জনের রেখচিত্র বরাবরই ঊর্ধ্বগামী। একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, বলিউড বাদশা ৭,৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী! বলিউডের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি শাহরুখ।
হুরুন ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় ভারতের রিচ লিস্টে আত্মপ্রকাশ করেছেন বাদশা। ২০২৪ সালের হিসাবে তাঁর মোট সম্পদ ৭,৩০০ কোটি টাকা। যে আয়ের মূল উৎস তাঁর প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট, আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স। মূলত কলকাতা নাইট রাইডার্সে তাঁর হোল্ডিংয়ের ক্রমবর্ধমান মূল্যের কারণে তিনি এই তালিকায় প্রবেশ করলেন।
তালিকা অনুযায়ী দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন জুহি চাওলা ও পরিবার। শাহরুখের পাশাপাশি কেকেআরের যৌথ কর্ণধার জুহি ও তাঁর স্বামী জয় মেহতা। এই দম্পতির সম্পত্তির পরিমাণ ৪,৬০০ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন হৃতিক রোশন (২০০০ কোটি)। এরপর যথাক্রমে অমিতাভ বচ্চন ও পরিবার (১৬০০ কোটি) এবং করণ জোহরকে (১,৪০০ কোটি টাকা)।
হৃতিক রোশনের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মূল উৎস তাঁর ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচআরএক্স। অভিনয়ের পাশাপাশি শাহরুখের মতো হৃতিকও একজন সফল ব্যবসায়ী। অমিতাভ বচ্চন বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে এই সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, করণ জোহর প্রযোজনা সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশনসই তার মোট সম্পদের মূল উৎস।
শুধুমাত্র সম্পদের বিচারেই নয়, সমাজ মাধ্য়মেও শাহরুখের প্রভাব অনস্বীকার্য। কেবলমাত্র এক্স হ্যান্ডেলেই ৪৪.১ মিলিয়ন ফলোয়ার্স রয়েছে কিং খানের। যা ধনী তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই মামলায় শাহরুখের পরেই আছে হৃতিকের নাম। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৩২.৩ মিলিয়ন।
শাহরুখকে আগামিতে দেখা যাবে সুজয় ঘোষের কিং ছবিতে। এই ছবিতেই প্রথমবার মেয়ে সুহানার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন বাদশা। এই ছবির শ্যুটিং-এর কাজ চলছে। কিছুদিন আগে এও জানা গিয়েছে যে শাহরুখ খান, আরিয়ান খান এবং আব্রাম খান মুফাসা: দ্য লায়ন কিং-এর হিন্দি ভার্সনের জন্য কন্ঠস্বর দিয়েছেন। আগামী ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি।