শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

রোমান্টিক সুইস আল্পস

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

সব দেশেরই একটা নিজস্ব সৌন্দর্য থাকে। থাকে একটা বিশেষ রূপ। সুইস আল্পস দেখার সাধ ছিল বহু দিনের! একদিন কপালগুণে সে আশা পূর্ণ হল। তাকে না দেখেও মনের পটেতে সেই অদেখা সুন্দর দেশটির একটি ছবি এঁকেছিলাম। পাইন বনের সারি দিয়ে ঘেরা পাহাড়ি গ্রাম, যার পিছনে দেখা যায় ধবল শিখর-চূড়া। তার সামনের উপত্যকার গায়ে সাজানো কুটিরগুলোর পাশ দিয়ে বয়ে যায় স্রোতস্বিনী, পাহাড়ি নদীর বেশে! আলপাইন গ্রাম্য বসতি মুরেনে এসে যেন সেই অদেখাকে আবিষ্কার করলাম। দেখতে পেলাম আমার স্বপ্নের রাজ্যকে, বাস্তবে!

জ়ুরিখ বিমানবন্দর থেকে ট্রেনে করে এসে পৌঁছলাম লুসার্নে। সেখানে দু’দিন থেকে, গোল্ডেন পাস রুট ধরে পাড়ি জমালাম লাওটাব্রুনেনের (Lauterbrunnen) দিকে। পথে পড়ল ইন্টারলাকেন। ব্রিয়েনজ় আর থুন নামের দুটি বিশাল বড় বড় ঝিলের মাঝের অংশের নাম ইন্টারলাকেন। ট্রেন এসে নামিয়ে দিল সেই স্টেশনে। এখান থেকে অন্য ট্রেন ধরে যেতে হবে লাওটাব্রুনেনের দিকে। ট্রেন ধরব বলে এগোচ্ছি। হঠাৎ দেখি, পাশের জেটিতে একটা বড় লঞ্চ এসে ভিড়ল। সেটা দেখতেই মনটা ছুটে যেতে চাইল বোট রাইডের দিকে। কী করব ভেবে ইতস্তত করছি। এদিকে আমাদের ট্রেন তখনও আসেনি, ওদিকে বোট তার প্রস্থানের সঙ্কেত-বাঁশি বাজাচ্ছে। অবশেষে নীল জলসম্ভারের হাতছানিই জয়ী হয়! তখনকার মতো ট্রেনের পথ ছেড়ে ছুটে এসে উঠি লঞ্চে। বোটের ক্রু-রা সুটকেস তুলে দিতে সাহায্য করে। বোট ছেড়ে দেয়। সুটকেস নীচে ফেলে রেখে তাড়াতাড়ি উঠে যাই উপরের ডেকে, আর মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে যাই পাহাড় দিয়ে ঘেরা অসীম নীল জলাশয়ের সেই সৌন্দর্যলোকে!

বোট ফাঁকাই ছিল, তাই অনায়াসেই ডেকে জায়গা মেলে। ঘুরে বেড়াই বাধাহীনভাবে। বসার যথেষ্ট জায়গা থাকলেও, বসতে মন চায় না। সুন্দর প্রকৃতিকে লেন্সবন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। অনন্য মুহূর্তগুলো ধরে রাখতে চাই ক্যামেরায়। বোটটি বিশাল নীল আলপাইন ঝিলের জলে বিলি কেটে চলে। কিন্তু সব সময়ই লক্ষ করি যে, সে তটরেখা থেকে বেশি দূরে যায় না। কাছে-দূরে, তীরের গায়ে আঁকা পাহাড়ের সারি। কোথাও কোথাও তার পিছনে উঁকি দেয় দুধ-সাদা শিখরগুলো। তারা কখনও এগিয়ে এসে পথ অবরোধ করে, তো কখনও খুলে দেয় দিগন্ত। তখন নভ-চরাচরের মিলন হয়। দু’কূল ছাপানো নীল জলাশয় গিয়ে স্পর্শ করে আকাশকে! মাঝে মাঝেই তট এগিয়ে আসে। তখন সবুজের প্রতিফলন পড়ে ঝিলের জলে, ছড়ায় পান্নার দ্যুতি।

বোট এসে থামে ঝিল উপকূলের ছোট্ট গ্রাম্য বসতিতে। ঝটপট পাটাতন ফেলা হয়। দু’-একজন নামে, ওঠে এক-আধজন। সঙ্গে সঙ্গে হুইসিলের সঙ্কেত বেজে ওঠে। তুলে ফেলা হয় পাটাতন। চোখের পলকে বাঁশি বাজিয়ে বোট ছেড়ে দেয়। দূরে সরে যায় বসতি। ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় কুয়াশার আড়ালে!

প্রায় দেড় ঘণ্টার বোট ট্রিপ সাঙ্গ করে, এসে নামি ব্রিয়েনজ় বোট স্টেশনে। ঝিলের কোলে নৌকা বিহারে মন ভরিয়ে ও সুইস আলপাইন রাজ্যের এক রাশ ঠান্ডা হাওয়া খেয়ে তরতাজা হয়ে, এবার এসে দাঁড়াই ব্রিয়েনজ় রেল স্টেশনে, ট্রেন ধরব বলে। এখান থেকে ইন্টারলাকেনে ট্রেন পাল্টে চলে যাই লাওটাব্রুনেনের দিকে। সেখানের স্টেশন থেকে অনতিদূরের একটি মাত্র সাজানো ছিমছাম হোটেলে উঠি। রাতের আহার সারি, তার ক্যান্ডেল লাইট দিয়ে সাজানো জমকালো ছোট ডাইনিং হলে। খাওয়ার জায়গাটা আগে থেকে বুক করতে হয়। ভারতীয় ধাঁচের মশলা দিয়ে বানানো চিকেন কারি, রাইস, স্যালাড দিয়ে বেশ ভালভাবেই সাঙ্গ হয় ডিনার পর্ব। পরে জেনেছিলাম আগে ডিনার বুক করার রহস্যটা। আসলে ওই অঞ্চলে আমাদের হোটেলটা ছাড়া আর কোনও হোটেলই নেই। আর যা আছে, সবই হোম-স্টে। আর আমাদের হোটেলের সঙ্গে যুক্ত ওই পথপার্শ্বের রেস্তরাঁটির খাওয়ার মানও যথেষ্ট উন্নত। তাই বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষজন চলে আসে সেখানে। অতএব হোটেলের ঘর ফাঁকা থাকলেও, খাদ্যপ্রেমী লোকের আনাগোনায় ডাইনিং হল থাকে পরিপূর্ণ।

ছবির মতো সাজানো মনোরম বসতি লাওটাব্রুনেনে রাত কাটিয়ে পরদিন রওনা দিই আরও কিছুটা উঁচুতে অবস্থিত পাহাড়ি গ্রাম মুরেনের উদ্দেশে। অল্প কিছু দূরে কেব্‌ল কার স্টেশন। হাইকিংপ্রেমী সাহেব-মেমরা সে পথ হেঁটেই পার হন, কারণ নিঝুমপুরী লাওটাব্রুনেনে তখনও বাস কম। সময়টাও তদনুরূপ। কারণ এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে, তখনও প্রথাগত টুরিস্ট সিজ়ন আরম্ভ হয়নি আল্পসের দেশে। তাই তুলনামূলকভাবে ট্যুরিস্ট কম। সেই সঙ্গে তাকে কেন্দ্র করা সুখ-সুবিধাও। তবু আমাদের জন্য একটি বাস আসে। অন্য পর্যটকদের সঙ্গে আমরা এসে নামি কেব্‌ল কার স্টেশনের সামনে।

জায়গাটা অদ্ভুত! একটা বাটির মতো নিচু সমতল জমি, চার পাশে খাড়াই উঁচু পাহাড় দিয়ে ঘেরা। গা-ঘেঁষা পাহাড়গুলো এত উঁচু আর খাড়া, যে দেখে মনে হয় গিলতে আসছে। এদিক সেদিক চাইলে দেখা যায় রঙিন প্যারাশুট নিয়ে উড়ে বেড়ানো বেশ কিছু মানুষকে। উঁচু শিখর চূড়া থেকে লাফ দিয়ে, প্যারাগ্লাইডিং করে খেলে বেড়াচ্ছে হাওয়ার ভরে। এখানেই বাঞ্জি জাম্পিং করারও সুযোগ রয়েছে। টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে, কেব্‌ল কারও এসেছে। অতঃপর ছোট স্টেশনের দিকে এগিয়ে যাই।

পাহাড়ের গা বেয়ে হু-হু করে উঠতে থাকে কেব্‌ল কার। আর ক্ষণে ক্ষণে বদলাতে থাকে উপত্যকার রূপ। কাচের বন্ধ ঘেরাটোপে দাঁড়িয়ে সেদিকেই চেয়ে থাকি অবাক বিস্ময়ে। রঙিন প্যারাশুটগুলো ছোট থেকে ছোট হয়ে যায়, ঝাপসা হয়ে যায় সমতলের রূপরেখা। দেখা যায় দু’-তিনটে ঝর্না, পাথুরে পাহাড়ের গা বেয়ে নামছে। ধেয়ে চলেছে সমতলের দিকে। কিছু ক্ষণ পরই মুরেন স্টেশনে এসে নামি। ঢুকে পড়ি সুইস আলপাইন জগতের আর এক ভিন্ন স্বাদের সৌন্দর্যলোকে! কেব্‌ল স্টেশন লাগোয়া একটি বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। সেখান থেকে অল্প স্যান্ডউইচ-স্ন্যাক্স নিয়ে বেরিয়ে আসি। দেখি পাহাড়ির গায়ে শান্ত গ্রাম মুরেনকে। বসতির পাশ দিয়ে পাহাড়ির গা ঘেঁসে আঁকাবাঁকা পথ চলে গিয়েছে ভিতর দিকে। হারিয়ে গিয়েছে পাহাড়ি বাঁকের অদেখা আড়ালে। এবার পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই সে দিকে।

মুরেনের এই গ্রামকে ঘিরে সাজানো রয়েছে এক অনন্য সুন্দর জগৎ। তার নিচের দিকে লাওটাব্রুনেন, তো উপরের দিকে রয়েছে আল্পসের শিল্থর্ন শিখর চূড়া, যেখানে অপেক্ষা করে আছে আর এক বিস্ময়। আমাদের এই পাহাড়ি রেল ধরেই চলে যাওয়া যায় সেখানে। এখানে ১৯৬৯ সালের জেমস বন্ড ০০৭-এর ছবির শুটিং হয়েছিল, যার নাম ছিল ‘অন হার ম্যাজেস্টি’স সিক্রেট সার্ভিস’। পর্যটনের স্বর্গরাজ্য সুইজ়ারল্যান্ড সেখানে এক রেস্তরাঁ তৈরি করেছে। রেস্তরাঁটি সময়ে সময়ে ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরে যায়। দেখায় বিখ্যাত সুইস আল্পসের শিখর মঁ ব্লাঁ-কে (Mont Blanc) ও মানুষের প্রাণপুরুষ জেমস বন্ডের বিস্ময়কর সেই জগৎকে!

আমরা যখন মুরেনে, তখন এপ্রিলের শেষ লগ্নে শীতের যাই যাই ভাব হলেও, শীত তখনও যায়নি। তার অশ্বরথ অপেক্ষারত দুয়ারে। গ্রামের পথে যেতে যেতে প্রায় ঘুমন্তপুরী মুরেনকে দেখি। আধো ঘোমটার আড়ালে সে তখনও অর্ধসুপ্ত। রাস্তাঘাট পরিষ্কার ঝকঝকে, কিন্তু মাঠে-ঘাটে, সবুজ উপত্যকার ঢালে জমা বরফের আস্তরণ দেখে বোঝা যায় যে, দু’-একদিন আগেই তুষারপাত হয়েছে। ১৬৩৮ মিটার উচ্চতার আলপাইন বসতি সাক্ষ্য দিচ্ছে তারই। এ গ্রামের অভিনবত্ব ধরা আছে তার কৌমার্যে, এক অনাঘ্রাত ফুলের মতো তার কোমল, পেলব স্নিগ্ধতায়। সে কথা অনুভূত হয় মুরেনে গেলে। মুরেন এমন একটি গ্রাম, যার সঙ্গে পাহাড়ের নিচের শহর বা মূল বসতির পথ মারফত কোনও যোগাযোগ নেই। অর্থাৎ আলপাইন অঞ্চলের বাঁধানো পথ ধরে, গাড়ি চড়ে চলে আসা যায় না এখানে। ফলে এই গ্রাম সম্পূর্ণরূপে দূষণমুক্ত, তরতাজা ও সুন্দর। এখানে শুধুমাত্র সাইকেল চলে। সাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়ায় ছেলেমেয়েরা। এমনকি পাহাড়ি পথের বাঁক ধরে তারা নিচের দিকে লাওটাব্রুনেনেও চলে যায়। সেখান থেকে নিয়ে আসে প্রয়োজনীয় দ্রব্য। পাহাড়ি গ্রাম্য মানুষেরা সে ক্ষমতা রাখে। এ ছাড়া রয়েছে কেব্‌ল কার, র‌্যাক রেল যাতে করে আমরা সেখানে পৌঁছেছিলাম।

ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম্য বসতি মুরেন। তুষারের ঘোমটা দেওয়া শিখরের ধাঁচে সাজানো তার কাঠের বাড়িগুলোকে দেখে স্বপ্নপুরীর মতো লাগে। গ্রামটি ছোট, কিন্তু নিখুঁতভাবে সাজানো। তার কারণ, এখানে প্রচুর পর্যটক আসে। চারিদিকে ছোটখাটো রেস্তরাঁ, টুকিটাকি প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ও কিউরিও শপ। কিউরিওর দোকানদার সুন্দর ইংরেজি বলে। একটি দোকানে স্মারক কিনতে ঢুকে, দোকানদারের মুখে জানলাম অনেক কথা।  সে বলল যে এ গ্রামের মানুষদের মূল আয়ই হল পর্যটক-ভিত্তিক। এখানে যত না মানুষ রয়েছে, তার চার-পাঁচগুণ বেশি রয়েছে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা— অর্থাৎ হোমস্টে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘‘এত ব্যবস্থা কেন? এত টুরিস্ট কি আসে মুরেনে?’’ সে বলল, ‘‘আসে। মূলত ভিড় হয় শীতকালে। বরফে ঢাকা মুরেনে ও কাছাকাছি অঞ্চলে স্কিইং করতে আসে পর্যটকেরা। আবার পুরোদস্তুর সামার, বা গ্রীষ্মকালে আসে হাইকিং করতে। গ্রামে মানুষজন তো বিশেষ নেই, তাই অন্য সময় এমনই ঝিমন্ত দেখায় মুরেনকে।’’

সত্যিই তাই। শীত-গ্রীষ্মের মাঝে আমরা মুরেনকে পর্যটকদের শোরগোল বহির্ভূত এক শান্ত, মনোরম রূপে আবিষ্কার করি। গ্রামের একমাত্র পথটি ধরে এগোতে থাকি। চারিদিকের তুষার ঢাকা হিমেল শিখর সারির কোলে ধ্যানস্থ মুরেনের রূপ মুগ্ধ করে। ক্বচিৎ এক-আধজন লোক চোখে পড়ে। চারদিকের সুন্দর হোম-স্টেগুলো নজরকাড়া। পথের পাশে সাইক্লিং ট্র্যাক করা। ব্যাপার-স্যাপার দেখলে বোঝা যায় যে এখন ফাঁকা হলেও, সময় সময় পর্যটকদের আনাগোনায় সরগরম থাকে মুরেন। রয়েছে তারই ব্যবস্থা।

চলতে চলতে পথ থেকে সরে অনতিদূরে একটি গির্জা চোখে পড়ে। সেদিকে এগিয়ে যাই। হালকা পাহাড়ি ঢালের গায়ে, ছোট্ট সুন্দর গির্জাটিতে গিয়ে প্রবেশ করি। ভেজানো দরজা খুলে ঢুকি। গির্জাটি তখন ফাঁকা, কেউ নেই সেখানে। মুরেন গ্রামের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো ছোট্ট সুন্দর গির্জাটি দেখেই ভাল লাগে। অল্প কিছু বেঞ্চি, টেবিলের সারি। ছোট ছোট চামড়া বাঁধানো বাইবেল রাখা। দেখে বোঝা যায় যে, নিয়মিত প্রার্থনা হয় এখানে। বেদিতে যিশুর প্রতিমূর্তি, মেরি নেই। এটি প্রোটেস্ট্যান্ট গির্জা। এই আলপাইন বসতিতে একটি রোমান ক্যাথলিক গির্জাও রয়েছে। আর রয়েছে একটি স্কুল, ছেলেমেয়েদের প্রারম্ভিক স্তরে পড়াশোনা করানোর জন্য।

গির্জায় কিছু ক্ষণ সময় কাটিয়ে, বেরিয়ে আসি। মুরেনের বাঁধানো পথ ধরে এগিয়ে যাই বেশ কিছু দূর পর্যন্ত। তার ভেজা ভেজা পাহাড়ি সৌন্দর্যের মাঝে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ মনে পড়ে যায় রবীন্দ্রনাথের অনন্য লেখনীতে ধরা ‘শেষের কবিতা’র শিলং পাহাড়ের কথা।

মায়াময় মুরেনকে দেখি, ভাল লাগে। মুরেন এমনই এক আলপাইন বসতি, যার নিজস্ব কিছু না থেকেও রয়েছে অনেক কিছু। ঐশ্বর্যবহুল তার উপস্থিতি ঘেরা, স্বর্গীয় সৌন্দর্য দিয়ে। পথের ধারে জায়গায় জায়গায় যেখানে ভিউ পয়েন্ট, সেখানে বেঞ্চি পাতা। সেখানে বসলে সময়জ্ঞান লুপ্ত হয়। মনে থাকে না দৈনন্দিন ঘোড়দৌড়ের জীবনটার কথা। অপরূপ প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে ভাল লাগে। খুঁজে পেতে ভাল লাগে এক নতুন আমি-কে! আল্পসের কোলে, বরফের আধঢাকা চাদর গায়ে মুরেনকে দেখতে অদ্ভুত লাগে। মনে হয় যেন এক স্বপ্নপুরী, পাষাণ হয়ে গিয়েছে কোনও এক ডাইনির অভিশাপে। থমকে গিয়েছে সময়। যেন যে কোনও সময় রাজপুত্র পক্ষীরাজে চড়ে আসবে। সঙ্গে আসবে তার পার্ষদেরা, পর্যটকের বেশে।

তখন জেগে উঠবে মুরেন। হবে প্রাণবহুল— মানুষের আনন্দে, মানুষের কলরোলে! সকলে রয়েছে যেন তারই প্রতীক্ষায়। পথ চেয়ে..!

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com