রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২৮ মার্চ ক্লুজ কাউন্টির টেরিটোরিয়াল লেবার ইন্সপেক্টরেটের প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় পরিচালিত এক অভিযানে অনুমতি ছাড়া কর্মরত নয় জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
অভিবাসীদের মধ্যে ৮ জনের কাছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসাসহ বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং অপরজনের কাছে দেশটির রেসিডেন্স পারমিট পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ার কনস্টান্টা কাউন্টির একটি কোম্পানিতে চাকরির অনুমতির শর্তে ভিসা নিয়ে এসেছেন তারা। কিন্তু পুলিশি অভিযানের সময় তাদেরকে ক্লুজ কাউন্টির অন্য একটি কোম্পানিতে পাওয়া গেছে। তারা মালিক পরিবর্তনের বৈধ কোনো শর্ত ও নতুন কোম্পানির সঙ্গে স্বতন্ত্র কোনো চুক্তি ছাড়া কাজ করছিলেন।
সাধারণত কাজের ভিসায় রোমানিয়ায় আসা বাংলাদেশিসহ অ-ইউরোপীয় দেশের নাগরিকদের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যেই কোম্পানিতে কাজের শর্ত ভিসা দেয়া হয়, সেখানে কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এছাড়া কেউ কোম্পানি পরিবর্তন করতে চাইলে আইন অনুযায়ী এনওসি বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
আটক হওয়া নয় বাংলাদেশিদের সবাই ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সি পুরুষ। তাদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রত্যাহার ও রোমানিয়ার বসবাসের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ১৫ থেকে ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তাদেরকে রোমানিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের আইনি আদেশও জারি করা হয়েছে।
অভিবাসীরা এই সময়সীমার মধ্যে নিজ উদ্যোগে ফেরত না গেলে নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে জোরপূর্বক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নেয়া হয়।
রোমানিয়ায় বিদেশিদের অধিকার বিষয়ক আইনের ১৯৪/২০০২ এর সংশোধিত ধারা অনুসারে, দেশ ছাড়ার সময় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৬ মাসের জন্য রোমানিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে আইজিআই।
অভিবাসীরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে শ্রম অধিদপ্তরের বিধান অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেয়া হবে।
গত বছরের শুরু থেকে বেআইনি উপায়ে রোমানিয়া থেকে শেঙেন জোনে প্রবেশের দায়ে শত শত বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে অভিবাসীকে বিশেষ চার্টার ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
১৪ মার্চ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে জয়েন্ট ইইউ রিটার্ন অপারেশনের আওতায় বিতাড়নের শিকার ৬৪ বাংলাদেশির মধ্যে রোমানিয়া থেকে ৯ জন অভিবাসী ছিলেন বলে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে নিশ্চিত করেছে গ্রিসের আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রনালয়।