যৌন-পর্যটনের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ডের লকডাউনের বাজারে রুজিরুটি হারিয়েছেন অন্তত তিন লক্ষ যৌনকর্মী। ব্যাঙ্কক থেকে পাতায়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য যৌনপল্লি, নাইট ক্লাব, মাসাজ পার্লার, পানশালা ইত্যাদি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্ধ পর্যটক আসাও। ফলে রাতারাতি রোজগার বন্ধ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অসংখ্য যৌনকর্মী। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার টাকা নেই। নেই খাবারের জোগান। তার মধ্যে রয়েছে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও। তবে পেটের দায়ে সেই ভয় পাশে সরিয়ে রেখেই রাস্তায় নামতে হচ্ছে তাঁদের।
৩২ বছরের যৌনকর্মী পিমের কথায়, “ভাইরাসের ভয় আছে ঠিকই। কিন্তু এখন খদ্দের খোঁজাটাই প্রথম কাজ। না হলে বাড়ি ভাড়া কোথা থেকে দেব, খাবই বা কী?” দশ দিনের বেশি তাঁর কোনও কাজ জোটেনি। বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হচ্ছে রোজ। তবে লাভ বিশেষ হচ্ছে না। এঁদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন পানশালায় কাজ করেন। লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পানশালা, রেস্তরাঁগুলোও। পিমের বন্ধু অ্যালিস জানালেন, লকডাউনের পর থেকে ব্যবসা একেবারে বন্ধ। অ্যালিসের কথায়, “গরিব বলে এই পথে নামতে বাধ্য হয়েছি। বাড়িভাড়া দিতে না-পারলে সেখান থেকে বার করে দেওয়া হবে।”