কক্সবাজার, কুয়াকাটা, শ্রীমঙ্গল, বান্দরবান, রাঙামাটি—দেশে এগুলোই মূলত পর্যটকদের প্রধান গন্তব্য। জনপ্রিয় এ জায়গাগুলো বছরজুড়েই পর্যটকমুখর থাকে। ২০২৩ সালেও ধারাটা অব্যাহত থাকবে। তবে এর বাইরে নতুন কিছু জায়গা এবং বিষয়ে মানুষের আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে, নতুন বছরে যা আরও বাড়বে।
একঘেয়ে জীবনে ক্লান্ত নগরবাসী হাওয়া বদলের জন্য এখন রিসোর্টকেন্দ্রিক ভ্রমণে যান। অনেকের কাছে যার নাম, ‘লেটানো ট্যুর’! খোলাসা করেই বলি—কোনো ঘোরাঘুরি নয়, প্রিয় কোনো বই হাতে হ্যামকে শুয়ে থাকা, চা-কফির কাপ হাতে বারান্দায় ইজিচেয়ারে আলসেমি করা কিংবা স্রেফ খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে সময় কাটানোই এই আয়েশি ভ্রমণের উদ্দেশ্য। আর এমন আয়েশ করে সময় কাটানোর জন্য রিসোর্ট বেছে নিচ্ছেন অনেকে। মানুষের আগ্রহ বাড়ছে বলেই দেশে রিসোর্টের সংখ্যাও বাড়ছে। সরকারি হিসাবে দেশে এখন পাঁচ শতাধিক রিসোর্ট আছে। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, সিলেট, মৌলভীবাজার, কক্সবাজারসহ কিছু জেলায় বেশির ভাগ রিসোর্টের অবস্থান।
করোনাকালে দেশজুড়ে প্রথম লকডাউনের পর মানুষ একরকম হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। মহামারির কারণে তখন বিদেশভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। ফলে দেশের ভেতরে প্রকৃতিবান্ধব রিসোর্টে ছুটে যান ভ্রমণপিপাসুরা। রিসোর্টকেন্দ্রিক এ পর্যটনের ধারা দিন দিন বাড়ছে। ২০২৩ সালে সে ধারায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।