মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

রাঙামাটি লেকের বুকে ভাসমান বাড়ি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চললে তিনদিন ব্যাপী ১১তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারের (বিটিটিএফ) দ্বিতীয় দিন। আন্তর্জাতিক এই পর্যটন মেলায় পাহাড়ের কোলে জলে-জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া ট্যুর প্যাকেজ নিয়ে এসেছে আর্ক ডি কাপ্তাই।

এটি মূলত রাঙামাটিতে ২ দিন এক রাত ঘোরার জন্য বোট সার্ভিস। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘লেকের বুকে ভাসমান বাড়ি’। থাকা খাওয়াসহ সব কিছু মিলিয়ে প্রতি ২ জনের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২৭ হাজার টাকা (কর্মদিবসে)। এছাড়া ছুটির দিনে ২ জনের জন্য এই প্যাকেজ মূল্য পড়বে ৩০ হাজার টাকা।

স্টলটিতে দায়িত্বে থাকা জ্যোতি চাকমা প্যাকজটির বিষয়ে জানান, রাঙামাটিতে ঘোরার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি আর্ক ডি কাপ্তাই লেকের বুকে ভাসমান বাড়ি। ৬টি এসি কেবিন বিশিষ্ট আমাদের এই বোটের আয়তন ৯০/২৫ ফিট, যার তিন তলায় রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য সমস্ত আয়োজন সমৃদ্ধ ৩৫/২৫ ফিট এর খোলা ডেক। দুই দিন, ১ রাত এর প্যাকেজে প্রথম দিন আমরা ঘুরবো রাজার বাড়ি আদিবাসি মার্কেট, কেয়াং, সুবলং ঝর্ণা, বারগী লেক। রাতে থাকব বারণী রিসোর্ট। এই রিসোর্টে গেস্টরা নিজের মতো করে ঘুরতে পারবে বিকেলে ও সন্ধ্যায়।

দ্বিতীয় দিন সকালে উঠে যাব হটিকালচার সেন্টার, ঝুলন্ত ব্রিজ, পলওয়েল পার্ক। শহীদ মিনার ঘাটে সন্ধ্যায় ডিনার করে নিজ গন্তব্যে গেস্টরা রওয়ানা করতে পারবে। এছাড়া সকালের নাস্তা, স্ন্যাক্স, লাঞ্চের ব্যবস্থা এই প্যাকেজের সঙ্গে রয়েছে। পাশাপাশি একদিন এক রাতের আমাদের আরও একটি প্যাকেজ রয়েছে, যা দুই জনের জন্য পড়বে ১৬ হাজার ২০০ টাকা।

এছাড়া সাজেক ভ্রমণের ‘সাজেক বিলাস নামে হোটেল এবং সালকা রিসোর্টে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট অফার দেওয়া হচ্ছে এই পর্যটন মেলায়।

এবারের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে আছে ফার্স্ট ট্রিপ। আয়োজকরা জানান, দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন এই মেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি লাগবে না। বাকিরা ৩০ টাকা এন্টি ফি দিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার ও হাসপাতাল অংশ নিয়েছে। মেলায় ৩টি হলে ১৪টি প্যাভিলিয়নসহ ১৫০টি স্টল রয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবার মেলায় দুটি সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় আরও বেশি আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, এফবিসিসিআই ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, জাপান ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টরা অংশ নিয়েছে মেলায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com