ইতালি, নরওয়ে, কলম্বিয়া, রোমানিয়া কিংবা মেক্সিকো, এমনকি গ্রিস থেকে মরক্কো, এই অবিশ্বাস্য স্থানগুলো তার অপরূপ স্থাপনা আর রঙিন ভবনগুলোর জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর নানা স্থানে এমন অসংখ্য রঙিন শহর এবং স্থাপনা রয়েছে যা দেখার জন্য অনেক পর্যটক হরহামেশা ভিড় করেন
পাচুকা ডি সোটো, মেক্সিকো
মেক্সিকান রাজ্য হিডালগোর। সেই রাজ্যের পৌরসভা হলো- পাচুকা ডি সোটো। বিশাল একটি গ্রাফিতি ম্যুরালের শহর। যা মেক্সিকোর শান্তি এবং অপরাধমুক্ত রঙিন শহর হিসেবে পরিচিত। কারণ, এই শহরের উত্তর-পূর্বে একটি পাহাড়ের ওপরে বিশাল ম্যুরাল অঙ্কিত হয়েছে। যা শুধু কয়েকটি ভবন নিয়ে আঁকা হয়নি, ম্যুরালটি আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। ২০১৫ সালে একটি গ্রাফিতি গ্রুপ ‘জার্মান ক্রু’ স্থানীয়দের মাঝে শান্তির প্রচার এবং অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে বিশাল ম্যুরালটি তৈরি করে। স্থানীয়দের কাছে পাচুকা দে সোটো শহরটির ডাকনাম- ‘লা বেলা আইরোসা’ (দ্য উইন্ডি বিউটি)। জনশ্রুতি রয়েছে, ম্যুরালে আবৃত রঙিন পাহাড়টি বাতাসের প্রতিনিধিত্ব করে। পাহাড়ি এই এলাকায় সর্বমোট ২০৯টি রঙিন বাড়ি রয়েছে। যেখানে থাকা বেশ কয়েকটি বাড়িতে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিকৃতিও রয়েছে।
নিউ অরলিন্স, আমেরিকা
ডিজনির মতো আরেকটি রঙিন শহর নিউ অরলিন্স। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিইসিয়ানা রাজ্যের একটি কাল্পনিক শহর। নিউ অরলিন্স কেবল রঙিন রাস্তা এবং বাড়ির জন্য বিখ্যাত নয়, সমগ্র আমেরিকার মানুষের কাছে শহরটি রঙিন উৎসবের নগরী হিসেবে পরিচিত। এখানকার রাস্তার পাশে ফরাসীদের আদলে নির্মিত বাড়ির লোহার বারান্দাগুলো অপরূপ এক সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিয়েছে। যদিও বাড়িগুলোর রং কেবল ফরাসি ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের মতো গুটিকয়েক রঙেই আবদ্ধ হয়নি, শহরটি নানা রঙে সেজে উঠেছে। নিউ অরলিন্সে রয়েছে মনোরম সৌন্দর্যের একটি সবুজ পার্ক। শহরের বাসিন্দারা বার্ষিক একটি রঙিন উৎসবের আয়োজন করে। যেখানে মূলত তিনটি রং যথা- সোনালি, সবুজ ও বেগুনি প্রাধান্য পায়। ঐতিহ্যবাহী ব্ল্যাক-ক্রিওল সংস্কৃতির এই উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা ক্যালিডোস্কোপিক পোশাকে প্যারেডে অংশ নেয়।
রক্লো, পোল্যান্ড
প্রাচীনতম আরেকটি রঙিন শহর পোল্যান্ডের ‘রক্লো’। এখানে একটি বিখ্যাত বাজার রয়েছে; যা শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সেই বাজারের আশপাশের ভবনগুলো নানা রঙে রঙিন। পাশাপাশি অলিগলির দেয়ালে অঙ্কিত রয়েছে ৪০০-এর বেশি প্রবাদ। এমনকি অনেক স্থান গ্রাফিতির রঙে ছড়িয়েছে প্রতিবাদ। এর পেছনে অবশ্য রয়েছে একটি ইতিহাস। ১৯৮০ সালে শহরটি ইউএসএসআর অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণে নিলে, জনসাধারণের আন্দোলনের মাধ্যমে বাড়ির দেয়ালগুলোয় গ্রাফিতি আঁকা হয়। নানা প্রতিবাদী শব্দের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেখানে নৈরাজ্য এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে উঠে আসে অসংখ্য মজার শব্দ। এগুলোকে বলা হতো- প্রতিবাদী শব্দ। ‘ওল্ড টাউন স্কয়্যার’-এর বাড়িগুলোয় সূর্যাস্তের রঙে আঁকা ছোট মূর্তিগুলো পোল্যান্ডের গথিক-রেনেসাঁ এবং বারোক স্থাপত্যকে পুনরুদ্ধার করেছে।
সেইন্ট জন’স, নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর
সেইন্ট জন’স, নিউফাউন্ডল্যান্ড অ্যান্ড ল্যাব্রাডর
কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড প্রদেশে বাস্তবেই আছে সেইন্ট জন’স নামের রঙিন বাড়ির শহর। এই শহরের ইতিহাস শুরু হয়েছে ১৪০০ সালের গোড়ার দিকে। ফান্ড উপসাগরের তীরে অবস্থিত চমৎকার স্থাপত্যকলায় শোভিত এই শহরটি পৃথিবীর সেরা রঙিন শহরগুলোর একটি। শহরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এসব বর্ণিল বাড়ির কারণে শহরের একটি অংশের নামই হয়ে গেছে ‘জেলিবিন রো’। যদিও এই নামে সেখানে কোনো রাস্তা নেই, তবু স্থানীয়রা শহরের এই অংশটি বোঝাতে এই নাম ব্যবহার করে। শোনা যায়, দূর সমুদ্র থেকে নিজের বাড়িটিকে যাতে সহজেই চিহ্নিত করা যায় তাই ক্যাপ্টেনরা একটি বিশেষ রঙে নিজেদের বাড়িটিকে রাঙিয়ে তুলতেন। এরই ফলাফল এই রঙিন শহর।
ইজামাল, মেক্সিকো
ম্যাক্সিকোর ইজামাল হলো জাদুর শহর। ইজামাল মূলত একটি রঙে রঙিন হয়ে ওঠা আভিজাত্যপূর্ণ শহর। সূর্য রঙা হলুদে আঁকা এখানকার প্রত্যেকটি বাড়ি। দৃষ্টি জুড়ানো হলুদময় শহরে দৃষ্টি রাখা মানেই উষ্ণ অনুভূতির সৃষ্টি। এখানকার রাস্তাঘাটও আলাদাভাবে আপনার মনোযোগ কাড়বে। পাথুরে রাস্তাগুলোর পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে লাইমস্টোন চার্চ এবং সরকারি ভবন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৬ শতকের সান এন্থোনিও দ্য পাদুয়ার বাসিলিকা। যা তার ইতিহাস ও রহস্যের জন্য বিখ্যাত।
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
কোপেনহেগেন, যা ডেনমার্কের রাজধানী এবং দেশটির অন্যতম একটি জনবহুল শহর। সাহিত্যের বই থেকে শুরু করে বিখ্যাত ফিল্ম স্পট, মানুষের মনে সবচেয়ে বেশি যে দৃশ্য আকর্ষণ জাগিয়েছে তা হলো- ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহর এবং তার বুক চিরে বয়ে চলা ‘দ্য লেক’স, খাল। বিখ্যাত লেকটির ওপর অনেকটা রূপকথার মতো সুন্দর অনেক বাড়ি রয়েছে। যে বাড়িগুলো ১৭ শতকের দিকে উজ্জ্বল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে। বলা হয়, কোপেনহেগেনের ‘দ্য লেক’স, লেকপাড়টি রূপকথার লেখক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসেনের বাড়ি। যিনি ১৮৪৫ থেকে ১৮৬৭ সালের মধ্যে এই লেকের পাড়ে বসবাস করতেন। ইউরোপের এই শহর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম।
কলমার, ফ্রান্স
কলমার, ফ্রান্স
কলমার সিটি, জার্মান সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত আলসেশিয় মধ্যযুগের রত্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। একে প্রায়শই ‘ফ্রান্সের ছোট্ট ভেনিস’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এমনকি শহরটি দুবার জার্মানির অন্তর্ভুক্ত ছিল। এক. ১৮৮৭ থেকে ১৯১৯ এবং দুই. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। কলমার সিটি মূলত ফরাসি ক্যানেল লেক এবং এর আশপাশের রঙিন অর্ধ-কাঠের বাড়িগুলোর জন্য বিখ্যাত। স্থানীয় ঝরনা, প্রাচীন গির্জা এবং আলসেশিয়ান রেনেসাঁর বাড়িগুলো একে পর্যটনের কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বিখ্যাত ফ্রেডেরিক-অগাস্ট বার্থোল্ডির বাড়িও রয়েছে এই শহরে। যিনি ১৮৩৪ সালে কোলমারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাড়িটি এখন একটি জাদুঘর।
শেফশাওয়ান, মরক্কো
মরক্কোর উত্তর-পশ্চিমে রিফ পর্বতে অবস্থিত ছোট্ট সুন্দর শহর শেফশাওয়ান। সমগ্র বিশ্বে যার নজরকাড়া নীল দালান আর রাস্তাঘাটের জন্য সুখ্যাতি রয়েছে। ১৪৭১ সালে স্প্যানিশদের গ্রানাডা বিজয়ের আগে এই শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর স্থাপত্যে আন্দালুসি প্রভাব স্পষ্ট প্রতিফলিত। ঐতিহ্যগতভাবে নীল এবং সাদা রঙের বাড়িগুলোকে মরক্কোর ‘ব্লু পার্ল’ বলা হয়। জানা গেছে, ১৯৩০ সালের দিকে সর্বপ্রথম ইহুদিরা তাদের বাড়িগুলোকে নীল রঙে রাঙানো শুরু করে। ইহুদিদের প্রাচীন ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এখন পর্যন্ত তারা তাদের বাড়িঘর নীল রং করে। ইহুদি ধর্মে নীল রংকে আকাশ ও স্বর্গের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবহাওয়ার আর্দ্রতা বেড়ে গেলে একে নীল জলের অথৈ সমুদ্র মনে হয়।
গুয়াতাপে, কলম্বিয়া
গুয়াতাপে, কলম্বিয়া
গুয়াতাপে মধ্য কলম্বিয়ার আরেকটি রঙিন শহর। যা দেশটির একটি পৌর শহর। গুয়াতাপের উত্তরে আলেজান্দ্রিয়া, পূর্বে সান রাফায়েল এবং দক্ষিণে গ্রানাডা এবং এল পেওল। এই শহরটি মূলত তার রঙিন ভবনের জন্য বিখ্যাত। এই শহরে কলম্বিয়ার অনেক স্থানের স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গুয়াতাপের মতো রঙিন স্থান ডিজনির এনক্যান্টোর নির্মাতাদের বেশ অনুপ্রাণিত করেছিল। এখানকার অন্য দুর্দান্ত আকর্ষণ- ‘লা পিয়েদ্রা দেল পেওল’ নামের ৬৫ মিলিয়ন বছরের পুরনো গ্রানাইট শিলা।
ওল্ড হাভানা, কিউবা
ওল্ড হাভানা, কিউবা
লা হাবানা ভিয়েজা (ওল্ড হাভানা), কিউবার রাজধানীতে অবস্থিত একটি এলাকা। যা মূলত ‘ওল্ড হাভানা’ হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। এলাকাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র এবং ঐতিহাসিক কেন্দ্র। ১৯৮২ সালে ইউনেস্কো একে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট করে। এই শহরের কিছু অংশে এর সুরম্য সরু রাস্তাগুলোতে হাজারেরও বেশি রঙিন ভবন রয়েছে।
সিগিসোয়ারা, রোমানিয়া
সিগিসোয়ারা, রোমানিয়া
পূর্ব ইউরোপের পাহাড়ে যাওয়ার সময় দেখা যাবে রোমানিয়ার একটি ছোট্ট শহর রঙে ফেটে পড়ছে। নাম সিগিসোয়ারা, যা একটি ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট। বিখ্যাত জায়গা সিগিসোয়ারায় মধ্যযুগীয় যুগের আবহ প্রতীয়মান। এই শহরের সরু রাস্তা এবং ছায়াময় পাহাড় এবং প্যাস্টেল রঙের ঘরগুলো শরৎকালের কমলা থেকে গোলাপি, নীল এবং সবুজ রঙে রঙিন। সিটাডেল একটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান যা ট্রান্সিলভেনিয়ান স্যাক্সন স্থাপত্যের একটি আভাস দেয়। অভিযোগ আছে, এটি ভøাদ টেপেস, ওরফে ড্রাকুলার জন্মস্থান।
লংইয়ারব্যান, নরওয়ে
লংইয়ারব্যান, নরওয়ে
কাঠের বর্ণিল বাড়ির শহর নরওয়েজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ সালবার্ডের লংইয়ারব্যান। এটি পৃথিবীর সর্ব উত্তরের জনসংখ্যা অধ্যুষিত একটি শহর। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত হওয়ায় শহরটির ভূ-ভাগ প্রায় সারা বছরই তুষারাবৃত থাকে। স্যাঁতসেঁতে হওয়া থেকে রক্ষা পেতে মাটি থেকে কিছুটা ওপরে কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর ঘরগুলো তৈরি করা হয়। নৈসর্গিক ভূপ্রকৃতির পাশাপাশি শহরজুড়ে রঙের ছোঁয়া যে কারও নজর কাড়ে।
সান্তোরিনি, গ্রিস
গ্রিসের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ধবধবে সাদায় নয়নাভিরাম দ্বীপ সান্তোরিনি। এই দ্বীপে রয়েছে ১৫টি ঐতিহ্যবাহী ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। সাদা বাড়িগুলোর ভিতর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলা খোয়া বাঁধানো সংকীর্ণ রাস্তা যেন গ্রামের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। এখানকার যে কোনো বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় দ্বীপের আগ্নেয়গিরি আর সূর্যাস্তের অপরূপ সৌন্দর্য। ধারণা করা হয় যে, ১৯ শতক থেকে সান্তোরিনিতে এই সৌন্দর্যচর্চা অব্যাহত রয়েছে।
প্রোসিদা, ইতালি
প্রোসিদা, ইতালি
নেপলসের উপকূলে এই দ্বীপটি ‘ইতালিয়ান ক্যাপিটাল অব কালচার ২০২২’ অর্জন করেছে তার বহু রঙে রঙিন বাড়িগুলোর জন্য। যেগুলো তাদের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে আকর্ষণীয় বর্ণে আঁকা হয়েছিল। কারণ, স্থানীয় জেলেরা সমুদ্রযাত্রা থেকে ফিরে যেন খুব সহজেই তাদের বাড়িগুলোকে শনাক্ত করতে পারে।
লা বোকা, আর্জেন্টিনা
লা বোকা, আর্জেন্টিনা
হাজার রঙে রঙিন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে লা বোকা শহরটি। এই শহরটির খ্যাতির জন্য উজ্জ্বল রঙে রাঙানো ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাড়িঘর যেমন বিখ্যাত তেমনি প্রশংসনীয় প্রশস্ত রাস্তাঘাটের কারণে। প্রতিটি দালান আলাদা শৈল্পিক রুচিতে আঁকা হয়েছে। প্রতিটি বাড়ির দেয়াল দেখলে মনে হবে ভিতরে বসবাসকারী মানুষের মনে শিল্পবোধকে এমন উজ্জ্বল রঙে প্রদর্শন করছে। এ ছাড়াও শহরটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উন্মুক্ত জাদুঘরের জন্য। শহরজুড়ে হরেক শিল্পীর বসবাস। বিভিন্ন শিল্পকলা প্রদর্শনী হয় রাস্তার পাশেই। আর তার ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে তো শহরের রঙিন বাড়িগুলো আছেই। এ ছাড়াও পথে হাঁটতে হাঁটতেই দেখতে পাওয়া যাবে অনেক ম্যুরাল, গ্রাফিতি, ফটোগ্রাফ আর পেইন্টিংয়ের প্রদর্শনী।