বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন
Uncategorized

যেসব কারণে গ্রিনকার্ড স্ট্যাটাস হারাতে পারেন এবং তা রক্ষায় যা করণীয়-

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

পারিবারিক ভিসা এবং এমপ্লমেন্ট বেসিসে অভিবাসীদের অনেকেই গ্রিনকার্ড পেয়ে থাকেন। তবে, গ্রিনকার্ড প্রাপ্তির পর এটি রক্ষা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিনকার্ড পাওয়ার পর সিটিজেন না হওয়া পর্যন্ত তা রক্ষায় আপনাকে সদা সচেতন হতে হবে। গ্রিনকার্ড পাওয়ার পর নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

আপনার গ্রিনকার্ডটি যত্ন সুরক্ষা করবেন। হারালে বা নষ্ট হলে, এর জন্য আপনাকে বেশ বেগ এবং আর্থিক জরিমানার সম্মুখিন হতে হবে।
গ্রিনকার্ডধারী হিসেবে বা একজন স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে- আপনি কোথায় থাকেন; কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন; ট্যাক্স প্রদান করেন কিনা. না করলে কেন ট্যাক্স প্রদান করেন না; আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণের বোঝা কিনা; আপনি গুরুতর অপরাধে দোষী কিংবা দণ্ডিত হয়েছেন কিনা- এসব বিবেচ্য বিষয় হতে পারে যে কোন সময়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস, ট্যাক্স প্রদান, রেন্ট বা মার্গেজ প্রদান, ব্যাংকিং ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং তার স্বপক্ষে প্রমাণাদি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ব্যর্থতায় আপনার গ্রিনকার্ড হারাতে পারেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বসবাসের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে প্রতিপূর্ণতার সম্মুখিন হতে পারেন।

বর্তমানে বহু গ্রিনকার্ডধারী করোনাকালীন সময়ে বেড়াতে গিয়ে বাংলাদেশে আটকা পড়ে আছেন এবং ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের যথাযথ প্রমাণ দেখতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অন্তবর্তীকালীন ভিসার আবেদনও প্রত্যাখাত হচ্ছে। এছাড়া সিটিজেনশিপ আবেদনের সময়ও যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী ও একটানা বসবাসের প্রমাণ দাখিল করতে হবে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী, বিশেষ করে যাদের বয়স্ক পিতা-মাতা, শ্বশুর-শাশুড়ি যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ড নিয়ে আসেন, তাদেরকে সব সময় গ্রিনকার্ড রক্ষায় স্বচেষ্ট থাকতে হবে।

এ প্রসঙ্গে টেম্পোরারি বা কণ্ডিশনাল গ্রিনকার্ডধারীদের নিয়ে কিছুটা আলোকপাত অত্যাবশ্যক। টেম্পোরারি বা অস্থায়ী গ্রিনকার্ডধারী অস্থায়ী গ্রিনকার্ড সাধারণত ২ বছরের জন্য দেয়া হয়। এ সময় উক্ত গ্রিনকার্ডের সব শর্তাদিই গ্রিনকার্ডধারীদের মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে যারা স্বামী বা স্ত্রীর মাধ্যমে গ্রিনকার্ড পেয়ে থাকেন, তাদেরকে এক সাথে বসবাসের প্রমাণ, লিজ, মর্টগেজ, ইউটিলিটি বিল, গ্রুপ পিকচার, অর্থনৈতিক লেনদেন, ব্যাংকিং এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে একই সাথে বসবাস, সহবাস, সন্তান-সন্ততির জন্মদান, প্রতিপালন, চাইল্ড ও স্পাউস সাপোর্ট ইত্যাদির যথাযথ প্রমাণসহ সুনির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ও-৭৫ ফাইল করে পার্মানেন্ট গ্রিনকার্ডের আবেদন করতে হবে। আবার এসব তথ্য-প্রমাণাদি ও কাগজপত্র না থাকলে, তা কেনে নেই- তার স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদি দাখিলের মাধ্যমেও একজন অস্থায়ী গ্রিনকার্ডধারী পার্মানেন্ট গ্রিনকার্ড পেতে পারেন।

পরিচিতি : এই প্রবন্ধটির লেখক মোহাম্মদ এন মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং নিউইয়র্কস্থ টরো ল সেন্টার থেকে আইনে এলএলএম ডিগ্রিধারী, তিনি নিউইয়র্কস্থ একটি ল ফার্মে ১৯৯৯ সাল থেকে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ব্রঙ্কস প্লানিং বোর্ড-৯ এর সদস্য ফাস্ট ভাইস চেয়ারম্যান এবং ল্যান্ড এন্ড জোনিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপরোক্ত লিখাটি লেখকের সুদীর্ঘকালের ল ফার্মে কর্ম অভিজ্ঞতা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ল স্কুলের শিক্ষা থেকেই লিখা। এটিকে লিগ্যাল এডভাইজ হিসেবে গ্রহণ না করে আপনাদের নিজ নিজ আইনজীবীর সহযোগিতা নিন।

মোহাম্মদ এন মজুমদার

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com