চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তাকলিমাকান মরুভূমির কাঠামো সুদূর অতীতে একই রকম ছিল না। প্রায় তিন লাখ বছর আগে এটি নিজস্ব আকার নিতে শুরু করে। এ প্রক্রিয়ার শুরু হয় প্রায় ১৮ লাখ বছর আগে। সম্প্রতি চীনা বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণায় বেরিয়ে এলো এসব তথ্য।
গবেষণায় আরও জানা গেল, তাকলিমাকান মরুভূমিটি ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বাদাইন জারান এবং টেঙ্গার মরুভূমির চেয়েও পুরনো। ওই দুই মরুভূমির বয়স ১১ লাখ ও ৯ লাখ বছর।
চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের তিব্বত মালভূমি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষাবিদ ওয়াং সিন এবং চেন ফাহুর নেতৃত্বে গবেষণা দল, তাকলিমাকানের ২০০ মিটার খুঁড়ে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ ফলাফল জানালেন।
তাকলিমাকান মরুভূমি চীনের বৃহত্তম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চলমান মরুভূমি। লানচৌ ইউনিভার্সিটির কলেজ অফ আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ওয়াং সিনের মতে, এই আবিষ্কারের আগে, চীন ও মধ্য এশিয়ার প্রধান মরুভূমিগুলোর গঠন নিয়ে একাডেমিক জ্ঞানে অস্পষ্টতা ছিল। সাম্প্রতিক আবিষ্কারটি মধ্য-অক্ষাংশ এশিয়া জুড়ে মরুভূমি গঠনের সময় ও প্রক্রিয়ার পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে বলেও জানান তিনি।
ওয়াং ব্যাখ্যা করেছেন, বাতাসে উড়ে আসা বালি ক্রমাগত জমে এবং বিশেষ দুই রকমের পলিমাটির অনুপস্থিতিতে প্রমাণ হয় যে, এখানকার নদী ও হ্রদগুলো গত ৩ লাখ বছরেও মরুভূমির তলায় পৌঁছাতে পারেনি।