যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় আসার সম্ভাবনা ও সুযোগ

যুক্তরাষ্ট্র আজও সারা পৃথিবীর সুযোগ সন্ধানী, ভ্রমণ-বিলাসী, শিক্ষানুরাগী শিক্ষার্থী তথা সর্বস্তরের মানুষের জন্য একটি লোভনীয় স্থান। সবাই চায় স্বদেশে সকল সম্ভাবনা ও আত্ম-তৃপ্তির পর যুক্তরাষ্ট্রে এসে সম্ভাবনা খুঁজতে। এরই ধারাবাহিকতায় সারা পৃথিবীর বহু মানুষের প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রে এসে উচ্চ শিক্ষা নেয়া। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও চায় পৃথিবীর সমস্ত মেধাবী ছাত্ররা যুক্তরাষ্ট্রে এসে শিক্ষা গ্রহণ করুক। ২০০১ সালে পৃথিবীর জগণ্যতম সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ এবং স্টুডেন্ট ভিসায় আগমনের ক্ষেত্রে কিছুটা বিধিনিষেধ থাকলেও অদ্যাবধি প্রতিনিয়তই মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় আসার ক্ষেত্রে একজন ছাত্রকে একদিকে যেমন মেধাবী হতে হবে; অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবেও সচল হতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসায় আগমনে ইচ্ছুকদের সর্বপ্রথমে আই-২০ সংগ্রহ করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলো শর্তসাপেক্ষে আই-২০ ইস্যু করে থাকে। যারা যুক্তরাষ্ট্রে এসে তথা ভিজিট বা অন্য কোনো ভিসায় এসে এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসায় কনভার্ট করতে চান তারা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেকটা সহজেই আই-২০ সংগ্রহ করতে পারেন। শুধুমাত্র প্রয়োজন হবে, এক বছরের টিউশন ফি দেওয়ার ক্ষমতা তথা ব্যাংক স্টেটমেন্ট, এছাড়া আবেদনকারীর ট্রান্সক্রিপ্ট তথা শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সার্টিফিকেট। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী স্টুডেন্টের পক্ষ থেকেই আর্থিক সংগতির প্রমাণ এবং স্পন্সর দাখিল করতে পারবেন।

যারা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসতে চান তারা তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণাদি, টোফেল স্কোর ইত্যাদি দাখিল করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পছন্দের বিষয়ে অধ্যয়নের অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদনের সাথে আবেদনকারীর আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ স্বরূপ ব্যাংক স্টেটমেন্ট দাখিল করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য মনে করলে আপনাকে তাৎক্ষণিক আই-২০ পাঠাতে পারেন আর অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তথ্য ও ডকুমেন্ট চেয়ে চিঠি পাঠাতে পারে।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় বিভিন্ন কনসাল্টিং ফার্ম যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় নিয়ে আসার জন্য সহায়তা করে থাকে এবং এই জন্য ফি ও চার্জ করে থাকে। যদিও ফি চার্জ করা বৈধ তথাপি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুয়া ফার্ম এবং ভুয়া আশ^াসের বিনিময়ে আপনাকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। মনে রাখবেন নিখুঁত ও সঠিক আবেদন এবং যথাস্থানে আবেদন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি মেধাবী ও অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হন আপনার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া খুব বেশি কষ্টের বিষয় না।

মোট কথা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই মর্মে সন্তুষ্ট হতে চায় যে, একজন ছাত্র কোর্স অব স্টাডি করার মতো যোগ্যতা রয়েছে এবং উক্ত কোর্সের জন্য প্রদেয় সকল ফি প্রদান করার মতো সক্ষমতা রয়েছে।

মোহাম্মদ এন মজুমদার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: