দেশের এয়ারলাইন্স খাতে পাইলট সংকট কাটাতে দুই ধাপে ৩২ জনকে প্রশিক্ষণে পাঠিয়েছিল বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বাছাই করে এই শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিল তারা। তাদের মধ্যে সাত জন পাইলট হওয়ার প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণগুলো সম্পন্ন করেছেন। কিছুদিনের মধ্যে স্বপ্নের চূড়ান্ত সিঁড়িতে পা দেবেন তারা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, মে-২০২৩ এবং জুন-২০২৩ ব্যাচের মোট সাত জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এপিক ফ্লাইট একাডেমি থেকে চেক রাইড এবং প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। এরপর তারা ইন্সট্রুমেন্ট রেটিং কোর্স শুরু করবেন। তবে পাইলট হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি কোর্স তারা সম্পন্ন করে ফেলেছেন।
সেই সাত শিক্ষার্থী হচ্ছেন– এস এম আজিজুল হাকিম সিফাত, এস এম রিদওয়ান মাহমুদ রাফি, রাফিউল আলম, নাবিল ওয়ালিদ সুহান, সামিয়া নওশিন সারা, মো. মাহমুদ হাসান, ইফতিকার রশিদ।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, অগ্রসরমাণ এভিয়েশন খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে পাইলট সংকটে পতিত হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব বিমান সংস্থা। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অত্যন্ত দক্ষ ও সাহসিকতার সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাইলট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। শিক্ষার্থীরা সব প্রশিক্ষণ শেষ করে এবং কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এফএএ সিপিএল) প্রাপ্ত হয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে ট্রেইনি ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।
পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দুটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে আটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৯টি এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ২০টি এয়ারক্রাফট আছে বহরে। চলতি বছর দুটি এয়ারবাস ৩৩০ এয়ারক্রাফটসহ আরও একটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ আন্তর্জাতিক রুট কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাস্কাট, দোহা, দুবাই, শারজাহ, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে।