আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে হারুনের খোঁজ মিলছে না ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হারুন অর রশীদের। ডিএমপির গোয়েন্দাপ্রধান থাকা অবস্থায় ব্যপক আলোচিত ছিলেন তিনি।
গতকাল হারুন ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
জানা গেছে, চাকরি জীবনে যেখানে হাত দিয়েছেন ‘সোনা’ ফলেছে। তার বিত্তীয় সাফল্য সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সম্পদে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
দেশে নামে বেনামে স্থাবর অস্থাবর সম্পদ গড়ার পাশাপাশি বিদেশেও করেছেন সম্পদ। জানা গেছে, বিদেশে অর্থ পাচারের জন্য হারুন গড়ে তোলেন নিজস্ব মানি এক্সচেঞ্জ। পুরানা পল্টনের আজাদ প্রোডাক্টসের গলিতে এটির অফিস। দুবাইয়ে এটির শাখা আছে।
এদিকে একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে তার স্ত্রীর নামে একটি ব্যাংকে থাকা ১ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সুপারিশে আটকা পড়েছে। সে টাকা উদ্ধার করতে পারেনি হারুন অর রশীদ।
গত ১৮ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুলাই মাসে। কিছুদিনের মধ্যে তাকে তলব করার কথা রয়েছে।