যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী ও বৈশাখী উৎসব করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২১ এপ্রিল লং আইল্যান্ডে এ উৎসব হয়। শুরুতেই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচনা হয় উৎসবের।
অনুষ্ঠানে বৈশাখী মেলা, নাচ-গান, বাচ্চাদের পারফর্মেন্স, পুঁথি পাঠ, ম্যাজিক শোসহ নানান আয়োজন ছিল। এসব উপভোগ করতে প্রবাসীরা এসেছিলেন বাঙালি সাজে। নারীরা পরেছিলেন লাল-সাদা শাড়ি। ছেলেরা পাঞ্জাবি-পায়জামা পরেছিলেন। শিশুরাও সেজেছিল বাঙালি সাজে। এ যেন সুদূর আমেরিকায় ছোট্ট এক বাংলাদেশ।
মূলত প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের বাংলাদেশের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ও উৎসবের সঙ্গে পরিচিতি এবং যুক্ত থাকার উদ্দেশ্যে এই আয়োজন করে নাসাউ বাংলাদেশি কমিউনিটি।
বাঙালিদের মাঝে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে কাজ করে যাচ্ছে তারা। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, সিনেটর ও স্থানীয় প্রশাসনের কমকতা এবং উল্লেখযোগ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দি ইউনাইটেড স্টেটস সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য, এক্সিডেন্ট কেইসেস, মেডিকেল মেলপ্রেকটিস ও ইমিগ্রেশন বিষয়ে অভিজ্ঞ, বাংলাদেশি আমেরিকান এটর্নি এট ল, মঈন চৌধুরী।
এসময় ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মঈন চৌধুরী উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি একটি সুন্দর আয়োজন। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা যেমন আনন্দিত হই, তেমনি আমাদের পরস্পরের মাঝে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়। একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি। সর্বোপরি বাংলাদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন তৈরি হয়। আশা করবো নাসাউ বাংলাদেশি কমিউনিটি আমাদের আরও সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম উপহার দেবে।
আয়োজকরা বলেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা মানে শুধুমাত্র উৎসবে মেতে ওঠা নয়, বাঙালির বর্ষবরণ সংস্কৃতিকে পরবর্তী প্রজন্মকে জানিয়ে দেওয়াও উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবদুল্লাহ খন্দকার, সহকারী পরিদর্শক নাসাউ কাউন্টি অফিস অফ এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স।
আরও ছিলেন নাসাউ বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন মোতাছির মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামিবুর রহমান (শামীম), ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুকী চৌধুরী, ভিপি সোনিয়া হক, কালচারাল সেক্রেটারি আরিফ আহমেদ অর্ণব, আহ্বায়ক সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সুহেল রানা, ফিরোজ আহমেদ, আমিনুল হক, সুহেল খান বাপ্পি, উপদেষ্টা আওকাত হোসেন খান, সালেহ আহমেদ ফারুকী, জাহাঙ্গীর হোসেন, ফজলুল হক, ফারুক আহমেদ, আশিকুজ্জামান চোধুরী, মনিরুর রহমান প্রমুখ।
নাসাউ বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন মোতাছির মিয়া বলেন, এবার ঈদুল ফিতরের পরপরই পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে। তাই দুটি উৎসব আমরা একসঙ্গে উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত।