১০ বছরের ভিসার জন্য আগে একবার United Kingdom ট্রাভেল করা থাকতে হয়
সাধারণ ৬ মাসের ভিসার জন্য যে সকল ডকুমেন্টস লাগে, সেগুলো দিয়েই আবেদন করতে হয়। শুধু কভার লেটারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে যে আপনি ১০ বছরের ভিসার জন্য আবেদন করছেন + এপ্লিকেশন ফর্মে ১০ বছর সিলেক্ট করে পেমেন্ট করতে হবে
এছাড়া ভ্রমণের ইতিহাস, আর্থিক স্থিতিশীলতা, এবং বাংলাদেশে আপনার শক্তিশালী যোগসূত্র তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকেই বলে থাকেন, আগের ভিসা থাকলে পরবর্তীবার UK ভিসা রিজেক্ট হয় না। কিন্তু এই ধারণাটি পুরোপুরি ভুল।আমার একজন নেতা ভাই ১০ বছরের জন্য এপ্লাই করে রিজেক্ট হয়েছেন।
একজন সনামধন্য ব্যক্তি বলেছিলেন, যেহেতু তার আগের ৩টি UK ভিসা রয়েছে, এবার ব্যাংক ট্রানজেকশন তেমন চেক করবে না; শুধু ব্যালেন্স ঠিক থাকলেই হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন—তার আবেদন রিজেক্ট হয়েছে।
অনেকে ধারণা করেন, পাসপোর্টের পৃষ্ঠার দুই পাশ খালি না থাকলে ভিসা পাওয়া যাবে না, যেমন ৪২ এবং ৪৩ নম্বর পৃষ্ঠা—এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমার পাসপোর্টে ২৫, ৩৮ এবং ৪৩ নম্বর পৃষ্ঠা খালি ছিল, আমার ভিসা অ্যাপ্রুভ হতে কোন সমস্যা হয়নি
আমি আমার ৬ মাসের প্রথম ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ সপ্তাহ আগেই পুনরায় আবেদন করেছিলাম। তবে, ট্যুর প্ল্যান দিয়েছিলাম এমনভাবে, যা আমার প্রথম ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুরু হওয়ার কথা ছিল
কাভার লেটারে এই লিখাটুকু এড করে দিতে পারেন
আগামী ১৭ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে আমি লন্ডন এবং প্যারিছ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছি। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের প্রতিটি শহরের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আবিষ্কার করার গভীর আগ্রহ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী ভিসাটি আমাকে পর্যায়ক্রমে এই স্বপ্ন পূরণ করার সুযোগ দেবে
ভিসা ফি তালিকা:
• ৬ মাসের ভিসা ফি: ১১৫ ব্রিটিশ পাউন্ড
• ২ বছরের ভিসা ফি: ৪৩২ ব্রিটিশ পাউন্ড
• ৫ বছরের ভিসা ফি: ৭৭১ ব্রিটিশ পাউন্ড
• ১০ বছরের ভিসা ফি: ৯৬৩ ব্রিটিশ পাউন্ড
ভিসার উপর সময়কাল ১৮০ দিন লেখা দেখে অনেকেই সুন্দর ভাষায় মন্তব্য করেছেন এবং ইনবক্সও করেছেন ১৮০ দিনে ১০ বছর হয় কিনা
ভিজিট ভিসার মেয়াদ যতদিনেরই হোক না কেন, প্রতি এন্ট্রিতে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন থাকার অনুমতি দেওয়া হয়,আর সেটাই লিখা আছে।ভিসার মেয়াদ কতোদিন সেটা উপরের ডান পাশের কণারে লিখা আছে
এটি যুক্তরাজ্যের সকল ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ভিসা ফি পরিশোধ করার সহজ উপায় হলো নিজের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করা।
ব্যাংকে কল করে বিস্তারিত জানালেই ব্যাংক থেকে পারমিশন দিয়ে দিভে
আমার ডকুমেন্টস সাবমিশন তালিকা:
1. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (বিজনেস) ও সলভেন্সি সার্টিফিকেট
2. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (পার্সোনাল) ও সলভেন্সি সার্টিফিকেট
3. সর্বশেষ তিনটি পাসপোর্টে থাকা ভিসা ও স্ট্যাম্পের স্ক্যান কপি
4. টিআইএন সার্টিফিকেট (TAX Identification Number)
5. সর্বশেষ চার বছরের ট্যাক্স রিটার্ন কপি
6. চারটি ট্রেড লাইসেন্সের কপি
8. পার্টনারশিপ চুক্তির দলিলের কপি
9. ১২ দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা
10. কভার লেটার (Cover Letter)
11. রিটার্ন ফ্লাইট টিকিট বুকিংয়ের কপি