শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
Uncategorized

মাল্টার স্টুডেন্ট ভিসা

  • আপডেট সময় বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাল্টা ততটা জনপ্রিয় স্থান না হলেও ট্যুরিস্টদের জন্য অসাধারণ একটি স্থান হচ্ছে মাল্টা। বর্তমানে বিশ্বের স্বনামধন্য সব দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা মাল্টায় পড়াশোনার করতে আসছে। মাল্টাতে উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা, বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাল্টাতে ৮টির বেশি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে বিশ্বের ৮০টি দেশ থেকে প্রত্যেক বছর প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য এসে থাকে।

মাল্টায় কেন পড়াশোনা করবেন?

  • পড়াশোনার পাশাপাশি ট্যুরিজম ও বিজনেসের জন্য সেরা কয়েকটি স্থানের মধ্যে একটি হচ্ছে মাল্টা।
  • এখানে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ডিগ্রি প্রদানকারী অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
  • তুলনামূলকভাবে স্বল্প টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।
  • স্বল্প খরচে বাস করতে পারবেন।
  • শিক্ষা খাতে নিত্যনতুন বৈচিত্র্য দেখতে পাবেন।
  • পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ ও ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন।
  • অনেক ধরনের কোর্স থেকে নিজের পছন্দমতো কোর্স বাছাই করে পড়তে পারবেন।

মাল্টায় অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রফেশনাল করার উপায় রয়েছে। মাল্টায় বেশিরভাগ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই উচ্চ শিক্ষা প্রদান করে থাকে। অ্যাকাডেমিক উচ্চ শিক্ষা প্রোগ্রামগুলো মূলত স্বাধীন বিষয়গুলোতে আলোকপাত করে এবং আপনি চাইলে যেকোনো বিষয় নিয়ে এখান থেকে গ্র্যাজুয়েট করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে প্রফেশনাল অ্যাক্টিভিটিসের জন্য তারা আপনাকে থিওরিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড প্রদান করবে। তাদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষা ব্যবস্থাও ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অফ অ্যাকাডেমিক এডুকেশনের অন্তর্ভুক্ত। এখান থেকে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করার পর নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর থিসিস করতে পারবেন, যেটা ব্যাচেরলরস ডিগ্রি এবং মাস্টারস ডিগ্রি উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

মাল্টায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের ভিসা রয়েছে। আপনি যদি মাল্টায় পড়াশোনা করার জন্য যেতে চান কিংবা শুধুমাত্র ট্র্যাভেলিংয়ের জন্য যেতে চান অথবা মাল্টায় বসবাসের জন্য যেতে চাইলে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের ভিসা গ্রহণ করতে হবে। এই আর্টিকেলে আমরা শুধুমাত্র স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কিত তথ্যবলি নিয়ে আলোচনা করবো। উল্লেখ্য যে, আপনি যদি ইউরোপিয়ান দেশগুলোর পাসপোর্টধারি ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সরাসরি মাল্টায় যেকোনো ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন, কিন্তু আপনার কাছে যদি কোনো ইউরোপিয়ান দেশের পাসপোর্ট না থেকে থাকে তাহলে আপনাকে ভিসা ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে হবে।

মাল্টায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে যেসব ডকুমেন্টের প্রয়োজন পড়বে সেগুলো হচ্ছে,
  • মাল্টার পূরণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এটা প্রিন্ট করিয়ে হার্ড কপিতেও পূরণ করতে পারবেন।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবিগুলো অবশ্যই সত্যায়িত করতে হবে।
  • আপনার অরিজিনাল পাসপোর্টের কপি এবং এর পূর্বে অন্য কোথাও ভিজিটের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকলে সেটার কপি।
  • ৩০ হাজার পাউন্ড ব্যাংক ব্যালেন্সের সাথে কনফার্মেশন লেটার।
  • ‘কেন আপনি মাল্টায় যেতে চাইছেন’ এই বিষয়ের উপর একটি কাভার লেটার।
  • আপনার ফ্লাইট সম্পর্কিত সব ধরণের তথ্য ও টিকেটের কপি। একইসাথে রিটার্ন টিকেটের কপিও দেখাতে হবে।
  • মাল্টার অন্তর্ভুক্ত যেকোনো একটি হোটেল রিসার্ভেশনের কপি।
  • আপনার সিভিল স্ট্যাটাস বোঝানোর জন্য বিয়ের সার্টিফিকেট অথবা জন্ম নিবন্ধন পত্রের কপি।
  • এনরোলমেন্টের সত্যায়িত কপি। এক্ষেত্রে সত্যায়িত করে নিলে ভালো হয়।
  • মাল্টায় যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইছেন সেখান থেকে কপি সংগ্রহ করতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসার ধরন নির্বাচন করে, ভিসার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করুন। তারপর সেটা পূরণ করে অনলাইনেই আবেদন করুন। উল্লেখ্য যে, আপনি যেকোনো ট্র্যাভেল এজেন্সি অথবা মাল্টিজ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকেও ভিসার আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আলাদা সার্ভিস ফি প্রযোজ্য। আবেদন করার পর, বিভিন্ন সাপোর্টিং ডকুমেন্টেশন ভিসার আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। সাপোর্টিং ডকুমেন্ট ওয়েবসাইট থেকে স্ক্যান করাতে হবে। মাল্টিজ অথবা শেনজেন ভিসা সাপোর্টেড অফিসে সকল ধরনের সাপোর্টিং ডকুমেন্টের কপি জমা দিতে হবে।

যদিও এই ধাপটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আপনার ভিসা আবেদন ফর্মের সাথে সাপোর্টিং ডকুমেন্টে যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সে সমস্যার সমাধান করার জন্যই আপনাকে ভিসা অফিসে যেতে হবে।

মাল্টার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার পর, আপনার জন্মদিন ও ভিএলএন নাম্বার দিয়ে ভিসার অবস্থান ট্র্যাকিং করতে পারবেন। ভিসা ও ভর্তির প্রসেসিং হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৮০ থেকে ৯০ দিন লাগতে পারে। অনলাইনে ভিসার আবেদন করার জন্য সর্বোচ্চ ৩০০০০ টাকা থেকে ৩৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। অনলাইন ভিসা অ্যাসিস্ট অ্যাকাউন্ট করার জন্য ১০০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা খরচ হবে। বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টের জন্য ২৫০০ টাকা থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

মাল্টায় বসবাসের অবস্থা কেমন?

মাল্টার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দল, গেইম ক্লাব, জিমসহ অন্যান্য ক্লাবের সাথে কাজ করতে পারবেন। সেখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা ও অ্যাক্টিভিটির সাথে জড়িত থাকার সুযোগ পাবেন। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়েই বিভিন্ন ধরণের সঙ্গীত, নাচ ও সাংস্কৃতিক ক্লাব রয়েছে। বসবাসের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আপনি চাইলে প্রত্যেক মাসে ৯০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা খরচ করে ভালোমানের স্টুডেন্ট হোস্টেলে থাকতে পারবেন। প্রাইভেট ফ্ল্যাটে থাকতে চাইলে প্রতি মাসে আপনাকে গুনতে হবে ২০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত। প্রত্যেক মাসে শুধুমাত্র খাবার খরচ পড়বে ১০০০০ টাকার মতো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com