মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ৩ বাংলাদেশিসহ ৪০ অভিবাসী। এসময় গ্রেপ্তার এড়াতে নদীতে ঝাপ দিয়ে ও ঝোপঝাড়ে পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ স্থানিয় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
শুক্রবার রাত ১টায় ডেংকিং শহরের সবাই যখন ঘুমের ঘরে বিভোর ঠিক তখনই শহরের কাছাকাছি কাম্পুং বুকিত দামারে দেশটির অভিবাসন বিভাগ অপারেশন সাপু নামে এক অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় অবৈধ অভিবাসী কর্মীরা (পাটি) নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এবং ঝোপঝাড়ে পালানোর সময় পুত্রজায়ার অভিবাসনের জেআইএম টিম বাঁধা দিলে তারা পালতে ব্যর্থ হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি এবং ৩৭ জন ইন্দোনেশিয়ান রয়েছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান ১৮ জন পুরুষ ও ১৪ জন মহিলা। এছড়া তিনজন ছেলে এবং দুই মেয়ে জড়িত যারা অভিবাসন অপরাধের অবস্থানে ছিল।
ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “স্থানিয়দের ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিওিতে জেআইএম পুত্রজায়ার এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন শুক্রবার রাত ১.০০ টায় অভিযান চালায়। অভিযানে ৪০ জন অবৈধ অভিবাসীর কাগজপত্র চেক করা হয় এবং তাদের সবাইকে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার করে সিমুনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৬৯/১৯৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ অনুযায়ী তদন্ত করা হবে।”
এদিকে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত কাগজপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীদের ধরতেই অভিযান শুরু করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রদেশে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন পরিচালক হুশিয়ার করে দিয়েছেন যে, তার বিভাগ দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী, পাসপোর্টের অপব্যবহার এবং অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত বিদেশিদের সাথে আপোস করবে না। কোনো পক্ষ অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ বা আশ্রয় দিলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ।