সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে এশিয়ার দেশগুলোর একটা বিশেষ কদর আছে। একঘেয়েমি শীত প্রধান অথবা শুষ্ক আবহাওয়ায় অভ্যস্ত পশ্চিমা নাগরিকরা ।
তাই এশিয়ার উষ্ণ এবং আদ্র আবহাওয়ার ছোঁয়া পেতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসতে মোটেও দ্বিধা করে না। এখানকার আবহাওয়া, মানুষ এবং সংস্কৃতি সবই যেন তাদের কাছে নতুনত্ব বয়ে নিয়ে আসে।
দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্রত্তম দেশ মালদ্বীপ একটি দ্বীপ রাষ্ট্র, ভারত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত চমৎকার এই দেশটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগ্রহের শীর্ষের একটি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
প্রায় ১ হাজার ২০০ দ্বিপের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই চমৎকার দেশটি। এখানকার প্রায় প্রতিটি দ্বিপেই আছে শুভ্র বালুকাময় সৈকত, কোরাল রিফ এবং সচ্ছ নীলাভ পানির এক অপূর্ব সমন্বয়।
একজন নির্বাসিত রাজা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আজকের মালদ্বীপ। কলিঙ্গের রাজা তার ছেলে আদিত্যর ওপর রেগে গিয়ে মালদ্বীপে নির্বাসন দেন। এরপর রাজা আদিত্য সেখানে তাঁর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
এশিয়ার দ্বিতীয় চমৎকার পর্যটন কেন্দ্র মালদ্বীপে রয়েছে আরামদায়ক সৈকত সমৃদ্ধ এলাকা। যুগলদের কাছে মালদ্বীপ হচ্ছে হানিমুন গন্তব্য!
এখানকার সৈকতগুলোতে স্কুবা ডাইভিং এবং স্নরকেলিং করার জন্যে আদর্শ, যা আপনার মনকে বর্ণিল অভিজ্ঞতায় ভরে দিবে। মালদ্বীপে প্রায় ১,১৯০ টি কোরাল রয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে মালদ্বীপের অবস্থান সবচাইতে নিচু ভুমি। এছাড়া এটি পৃথিবীর সবচাইতে সমতল ভুমি।
শুধুমাত্র রিসোর্ট ও হোটেল ব্যাতিত অন্য কোথাও অ্যালকোহল পাওয়া যায় না। মালদ্বীপ পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষুদ্র মুসলিম দেশ। ছুটি কাটানোর জন্যে মালদ্বীপ খুব নিরাপদ একটি জায়গা। দেশটিতে শিক্ষিতের হার শতকরা ৯৮ শতাংশ যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। মালদ্বীপেই বিশ্বের প্রথম আন্ডার ওয়াটার ক্যাবিনেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।