মালদ্বীপে ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। আর কেউ যদি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে মালদ্বীপে অবস্থান করে তাহলে সেটাও আইনগতভাবে অবৈধ।
সম্প্রতি বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য মালদ্বীপের কমিশনের ভেরিফাই ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি সতর্ককরণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাইকমিশনের কাউন্সিলর মো. সোহেল পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু বাংলাদেশ পর্যটক মালদ্বীপে ভ্রমণে এসে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তারা অন্যত্র কাজে যোগদান করার চেষ্টা করেন যা মালদ্বীপের আইনে অবৈধ। আইন অমান্য করায় দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়া দলগতভাবে মালদ্বীপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে কেউ নিখোঁজ হলে বাকি সদস্যরা মালদ্বীপ ছাড়ার ক্ষেত্রে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য উভয়ের জেল ও জরিমানা হতে পারে।
ভারত মহাসাগরের গভীর নীল জলরাশির বুকে বেড়ে ওঠা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ। প্রতিনিয়ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দেশটিতে ঘুরতে যান পর্যটকরা। তেমনি বাংলাদেশ থেকেও ঘুরতে যাচ্ছেন অনেকে। তবে সম্প্রতি অনেক বাংলাদেশি দেশটিতে গিয়ে পালিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন। পরে যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন কাজে, যা পুরোপুরি দেশটির আইনবিরোধী।
প্রবাসী ব্যবসায়ী ও গ্লোবাল রিচ গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা ( সি.আই.পি) বলেন, মালদ্বীপে ঘুরতে এসে কেউ বৈধ বা ওয়ার্ক ভিসা পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। ভিসার কোনও পরিবর্তনেরও সুযোগ দিচ্ছে না মালদ্বীপ সরকার। তবুও অনেকে ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে সাধারণ পর্যটকের সঙ্গে গ্রুপ টিকিটে দেশটিতে চলে আসছেন।
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মাদবর বলেন, যদি কেও ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে পালিয়ে যান বা অতিরিক্ত সময় পার করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশি পর্যটকরা এমন আচরণ করতে থাকলে দেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধাও বন্ধ হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. হাদিউল ইসলাম।
প্রবাসী সোশ্যাল ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, মালদ্বীপে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।