1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
মার্কিন প্রশাসনে বাংলাদেশি নারী নীনা
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
Uncategorized

মার্কিন প্রশাসনে বাংলাদেশি নারী নীনা

  • আপডেট সময় বুধবার, ২ জুন, ২০২১

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশকে রাঙিয়ে তুলছেন এমন কয়েকজন নারীর মধ্যে অন্যতম একজন নীনা আহমেদ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পরামর্শকদের একজন ছিলেন তিনি। ওবামা প্রশাসনে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের মেয়ে নীনা আহমেদকে নিয়ে আগ্রহ আর কৌতূহল ছিলো চারদিকে। মূলত বারাক ওবামার এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তখনকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর থেকেই কীর্তিমান এই বাংলাদেশি নারীকে ঘিরে আগ্রহ আর কৌতূহল ছিল সবার।

নীনা আহমেদ

জন্ম ঢাকাতেই:

চারশ বছরের পুরনো রাজধানী ঢাকাতেই নীনা আহমেদের জন্ম ও বেড়ে উঠা। বাবার আদি বাড়ি ময়মনসিংহে, মায়ের বাড়ি ফরিদপুরে। মার্কিন মুল্লুকে মেয়ের এই অসামান্য সাফল্য অবশ্য মা-বাবা কেউই দেখে যেতে পারেননি। স্বামী আহসান নসরুল্লাহ ও দুই মেয়েকে নিয়ে ফিলাডেলফিয়ার অভিজাত মাউন্ট এরি এলাকায় থাকেন নীনা।

পড়ালেখা ও কর্মজীবন:

রসায়নে পিএইচডি করা নীনা আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। ডিএনএ বিশ্লেষক হিসেবে তিনি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কাজ করে থাকেন। প্রায় দুই দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন। ফিলাডেলফিয়া নগরে দ্রুত বর্ধমান এশীয় অভিবাসীদের সংগঠিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নগরের মেয়র ২০০৯ সালে তাঁকে এশিয়ান আমেরিকান কমিশনের চেয়ারপারসন হিসেবে নিয়োগ দেন। বাংলাদেশের পোশাকশিল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ছিলেন নীনা আহমেদ।

বাঙালি মনা:

দেশ ছেড়ে গেছেন দীর্ঘদিন। দেশের সঙ্গে যোগাযোগটা কি সেই রকম আছে? তার মুখের বাংলা ভাষাটাই বা কেমন? কিন্তু সত্য বলতে চমৎকার বাংলায় কথা বলেন। খুব গুছিয়ে বক্তৃতাও করেন বাংলায়। তিনি জানালেন, ‘নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নয়, যোগসূত্র রেখেই এগিয়ে যেতে চাই।’এ মাসের শুরুতে ব্যস্ততার ফাঁকেই তিনি যোগ দেন নিউইয়র্কের বাংলা বইমেলায়।

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়নে নীনা:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নীনা আহমেদ জানান, তাঁর কর্মপরিধি পুরোটাই অভ্যন্তরীণ। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশীয়দের নিয়ে তাঁর কাজ-কর্ম। নীনা আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশিরা যত বেশি যুক্ত হবেন, তত বেশি সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মোচিত হবে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিদের বাংলা ভাষা শেখা এবং চর্চার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানালেন নীনা। তার বিশ্বাস, যাঁরা একাধিক
ভাষায় পারদর্শী, কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সাফল্যের হারও বেশি। তাঁর আশাবাদ নিজেদের সাহিত্য, সংস্কৃতিকে লালন করেই যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিরা এগিয়ে যাবেন।

নীনাকে ঘিরে আগ্রহ:

বিশ্বের শীর্ষ দেশের প্রেসিডেন্টের পরামর্শক হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তাই তাকে ঘিরে বাংলাদেশিদের আগ্রহের কমতি নেই। বাংলাদেশিরা মনে করেন, নীনা আহমেদের পথ অনুসরণ করে আমেরিকায় বাংলাদেশিদের নতুন প্রজন্ম আরও এগিয়ে যাবে। নীনা আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মনে করেন অনেকে। শুধু বাংলাদেশি নন, গোটা দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীরাও নীনা আহমেদের পরামর্শক হওয়াকে দারুণ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এসেছে।

দেশের প্রতি টান:

সুযোগ পেলেই বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ ছাড়েন না নীনা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন তাঁর অন্যতম গর্বের বিষয়। সুযোগ পেলেই তাঁর বক্তৃতায় তুলে ধরেন বাঙালি জাতির আত্মত্যাগ ও স্বাধীনতা অর্জনের গল্প। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের মানুষের এগিয়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com