যতদূর চোখ যায়-গহীন জলরাশি ছুঁই ছুঁই সুনীল আকাশ। উত্তাল ঢেউয়ের তালে দুলে চলছে নৌকা। দিগন্তবিস্তৃত উদার সাগরে নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকতে থাকতে বিমোহিত আবেশে হারিয়ে যায় মন। ভাবুন বঙ্গোপসাগরে মাঝখানে আপনি, আর আপনাকে নিয়েই এমন দৃশ্য-কেমন লাগবে?
আপনার জন্যই সাগর ভ্রমণের সুযোগ এনেছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট। মারমেইড বিচ রিসোর্ট মানেই সাগর, বালুকাবেলা, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং নির্জনতাসহ প্রকৃতির সব সৌন্দর্য যেন ঠিক এক জায়গায়। আর এত সব আয়োজনের সঙ্গে এবার যোগ হলো বঙ্গোপসাগর ভ্রমণ। মারমেইড বিচ রিসোর্টে থাকলেই পর্যটকদের চাঁদের নৌকায় করে নেওয়া হবে বঙ্গোপসাগরে। এর জন্য পর্যটকদের গুণতে হবে না বাড়তি কোন অর্থও।
এখন পর্যন্ত নৌকায় করে পর্যটকদের সাগর ভ্রমণের কোন উদ্যোগ নেই কক্সবাজারে। জেট স্কি বা ওয়াটার বাইকে করে সাগরে ‘ঢুঁ মারা’ গেলেও তা যেন দুধের স্বাদ ঘোলে মেঠানোর মতো। এর জন্য গুণতেও হয় হাজার টাকা।
মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিসুল হক সোহাগ বলেন, চাঁদের নৌকাগুলো সাগর পাড়ে পড়ে থাকে। এগুলোতে করে পর্যটকদের নিয়ে সাগরে ঘোরা যা এমন উদ্যোগ কেউ নেয়নি। মারমেইড প্রথম বর্ণিল কক্সবাজারের ঐতিহ্য- চাঁদের নৌকায় করে সাগরে নিবে পর্যটকদের। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ পরিষেবা দিতে প্রস্তুত। মারমেইড বিচ রিসোর্টে অবস্থানকালে তাদের পুরো সময়টুকু আনন্দময় করে তুলতে চাই। এজন্যই সাগর ভ্রমণের এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।