মারমাইড বিচ রিসোর্ট

কক্সবাজার প্যাচার দ্বীপে সম্পূর্ণ কোলাহলমুক্ত নির্জন প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে মারমেইড ইকো রিসোর্ট। চমৎকার বিষয় রিসোর্টটির সীমানায় রয়েছে সমুদ্র সৈকত।

ইকে ট্যুরিজমের ক্যান্সেপ্ট মাথায় রেখে নির্মিত এই রিসোর্টে একবার ঘুরে এলেই অনুধাবন করতে পারবেন কীভাবে প্রকৃতি আর নান্দনিকতার সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। অন্তহীন সমুদ্রের সূর্যাস্ত দুচোখ ভরে দেখার পাশাপাশি মজাদার সব সী ফুড পাবেন রিসোর্টে।
রাস্তার ওপর থেকে তাকালে গাছপালার আড়ালে চোখে পড়বে ছোট ছোট অনেক কুটির ¯œানঘরে ঢুকলেই মুহুর্তেই মন ভরে যাবে। প্লাষ্টিকের বোতলের পরিবর্তে প্রতিটি কাচের পাত্রে (ভেষজ) উপায়ে বানানো সেম্পু। সাবান, স্যাম্পু রাখা হয়েছে নারিকেলের লম্বা একটি খোলের মধ্যে। এখানকার ঘরগুলো নানা রকম উপাদানে বেশ নান্দনিকভাবে সাজানো। খোলামেলা পরিবেশের কারনেই ঘর থেকেই দেখতে পাবেন সমুদ্রের অনাবিল সৌন্দর্য।

ইয়োগা, স্পা, নৌকা ভ্রমন, সম্মেলন কক্ষ, প্রেক্ষাগৃহ সবকিছুরই ব্যবস্থা আছে এই পরিবেশবান্ধব অবকাশ যাপন কেন্দ্রে। রিসোর্টের নিজস্ব অপূর্ব সুন্দর সমুদ্রসৈকতে নির্জনে সমুদ্র করতে পারেন। এখানে নেই কোন নাগরিক কোলাহল, শব্দ দূষন। এক শান্ত  আবহ বিরাজ করছে এখানে। দুপুরের রোদ মলিন হয়ে এলে কুটিরের সামনে বাসের বেঞ্চে বসে সমুদ্র দর্শন ভারি ভাল লাগবে। অথবা এ সময়টা নৌকা ভ্রমন করে কাটাতে পারেন পড়ন্ত বিকালটা। রিসোর্টের দুই পাশে বাশ ও বেত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সুদর্শন গেট। গাড়ী থেকে নামতেই আপনাকে বরন করে নেবে রিসোর্টের অন্তরিক কর্মীদল। তারা আপনাকে অভিনন্দন জানাবে বুনো ফুলের মালা আর ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস ডাবের পানি দিয়ে।

রিসোর্টটি ভিষন পরিবেশবান্ধব করে তৈরি করা হয়েছে। ঘরগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা গাছপালার উচ্চতাকে ছাড়িয়ে না যায়।  অবহেলায় গড়ে উঠা লাতাগুল্ম ও যেন রিসোর্টের সম্পদ। পরম মমতায় তারা জড়িয়ে রয়েছে সব কুটিরে। বাংলোর দরজা ও জানালাগুলো বেশ বড়। তাই দেশি বিদেশি পর্যটকরা প্রান ভরে উপভোগ করতে পারেন নির্মল বাতাশ বৃষ্টি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

রিসোর্টের ঘরগুলো বাইরে থেকে কুটিরের মতো মনে হলেও ভেতর থেকে অনেক আধুনিক। ঘরের ভিতরে সবধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। সন্ধ্যাকালীন নিরবতা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত এক আশ্চর্য মৌনতায় কাটিয়ে দিতে পারেন। প্রশান্তিময় এক ¯িœগ্ধ অনুভূতি গ্রাস করবে আপনাকে। এখানে একাধিক ক্যাটাগরির কটেজ রয়েছে।

কিভাবে যাবেনঃ

কক্সবাজার কলাতলী থেকে অটোরিক্সায় যেতে পারেন, প্যাচার দ্বীপে। ভাড়া পড়বে ২০০ টাকা। এছাড়া কক্সবাজার এয়ারপোর্ট থেকে গাড়িতে সরাসরি চলে যেতে পারেন রিসোর্টে। সময় লাগবে ১৫ মিনিট।

আগে থেকে বুকিং করে গেলে ভাল হয়।

সাধারনত এখানে ২ রাতের প্যাকেজ ৫০০০ টাকা ৩ রাতের প্যাকেজ ৬০০০ টাকা থেকে শুরু। অবশ্য রুমভেদে ভাড়ার তারতম্য আছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: