বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
Uncategorized

মহামারির মধ্যে বিমান যাত্রীদের অবাধ্য আচরণ অস্বাভাবিক বেশি

  • আপডেট সময় রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১

কোনো বিমান যাত্রী অশোভন ভাষা ব্যবহার করলে, কর্মী বা অন্য যাত্রীদের প্রতি মৌখিক ও শারীরিক হুমকি হয়ে দেখা দিলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার সুযোগও রয়েছে ট্রান্সপোর্ট কানাডার। এ ধরনের ঘটনা সবগুলো মাস্ক পরা বা অন্য স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত না হলেও কানাডিয়ান উড়োজাহাজে যাত্রীদের অবাধ্য আচরণ মহামারির মধ্যে অস্বাভাবিক বেশি। ২০২০ সালে এ ধরনের নথিভুক্ত ঘটনা ছিল ৭৩টি। যাত্রী সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমার পরও এটা ২০১৯ সালের অবাধ্য আচরণের চেয়ে মাত্র ২৫ শতাংশ কম।

সম্প্রতি যাত্রীদের মধ্যে অবাধ্যতা, রুঢ়তা ও আক্রমণাত্মক আচরণ বাড়ছে, যা বিমানকর্মীদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কানাডিয়ান ইউনিয়ন অব পাবলিক এমপ্লয়িজ (সিইউপিএ) এমন তথ্য তুলে ধরেছে।

ক্যালগিরিভিত্তিক ওয়েস্টজেট এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু ও সিইউপিই ৪০৭০ লোকালের প্রেসিডেন্ট ক্রিস রনবুশ বলেন, আমাদের লোকজন কাজ করতে গিয়ে অতিথিদের সঙ্গে বিবাদের আশঙ্কা করছেন। অনেকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আছেন এবং এই পরিস্থিতিতে তাদের ছুটি দরকার। ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্ট হিসেবে এটা আমরা চাইনি। কিন্তু এটাই বাস্তবতা।

মার্কিন ফ্লাইটগুলোতে সাম্প্রতিক মাসে অসহিষ্ণু আচরণ বাড়তে থাকায় সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। একই সমস্যা কানাডাতেও বাড়ছে বলে সাক্ষ্য দিচ্ছে বিভিন্ন উপাত্ত। ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্টদের অনেকের দাবি, এ ধরনের সমস্যার অনেকগুলো আসে উড়োজাহাজে মাস্ক পরিধানে অস্বীকৃতি জানানো যাত্রীদের কাছ থেকে।

সিইউপিই ন্যাশনালের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সংক্রান্ত সিনিয়র কর্মকর্তা ট্রয় উইন্টারস বলেন, আপনি যখন কারো কাছে যান তখন আপনার মধ্যে এটা কাজ করে যে, ভয়াবহ পরিস্থিতির এটা বোধহয় প্রথম পর্যায়। এখানকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো অতোটা হিংসাত্মক নয়। তবে আমাদের এখানেও অবশ্যই ঝগড়াটে কিছু মানুষ আছে।

সিইউপিই ওয়েস্টজেট, এয়ার কানাডা ও ট্রানসাটসহ নয়টি কানাডিয়ান এয়ারলাইন্সের ১৫ হাজার ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্টের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন।

ট্রান্সপোর্ট কানাডার তথ্য অনুযায়ী, গ্রীষ্মব্যাপী যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক না পরতে চাওয়ার ঘটনা বাড়ছে। জুলাই ও আগস্ট মাসে মাস্ক না পরতে চাওয়া ৩৩০ জন যাত্রীর তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। সংখ্যাটি এপ্রিল ও মে মাসের সংখ্যার দ্বিগুন।

এয়ারলাইন্সগুলো রুট ফিরিয়ে আনায় ও কানাডিয়ানরা গ্রীষ্মে আবারও ভ্রমণ শুরু করার ফলে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এর কারণ হতে পারে। তবে এটাকেই একমাত্র কারণ বলে বিশ^াস করেন না উইন্টারস। তার মতে, মহামারি প্রলম্বিত হওয়ায় মেজাজ ও উদ্বেগ চড়ছে।

স্বাস্থ্যবিধি না মানার কোনো অভিযোগ এয়ারলাইন্সগুলো জানানোর পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ট্রান্সপোর্ট কানাডার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। প্রথমবার অপরাধের জন্য সতর্কীকরণ চিঠিসহ ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রান্সপোর্ট কানাডা মাস্ক না পরায় ৩৬ যাত্রীকে জরিমানা করে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com