অভিযানগুলোর টিকিট মোটেই সস্তা নয়। ভার্জিন গ্যালাকটিকের ভিএসএস ইউনিটির অভিযানে একটি আসনের দাম আড়াই লাখ ডলার। ব্লু অরিজিনের নিউ শেপার্ডের একটি আসন নিলামে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়, সেটা অবশ্য জেফ বেজোস সঙ্গে থাকবেন বলে। আর স্পেসএক্সের মহাকাশযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) গিয়ে আট দিন থাকতে চাইলে মাথাপিছু গুনতে হবে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার।
সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার একটি চমৎকার প্রশ্ন করেছে—এত এত ডলার খরচ করে কী চমক পাবেন মহাকাশ অভিযানের অভিযাত্রীরা? চলুন সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি আমরা।
স্পেসএক্স ও অ্যাক্সিওম
মহাকাশে যাবেন স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন এনডেভারে চড়ে। নভোচারীরা আইএসএসে থাকবেন আট দিন। খরচ জনপ্রতি সাড়ে পাঁচ কোটি ডলার। টিকিটে যা যা পাবেন—
- প্রশিক্ষণ
- অভিযান পরিকল্পনা
- লাইফ সাপোর্ট
- চিকিৎসাসেবা
- আইএসএসে আট দিন থাকা
- মূল অভিযান
নাসার তথ্য অনুযায়ী, আইএসএসে নভোচারীদের থাকার খরচ দিনে ৬৮ লাখ ডলার। আর ২০২১ সালের মূল্যতালিকা অনুযায়ী, খাদ্য ও পানীয় বাবদ প্রত্যেক নভোচারীর খরচ হবে দিনে দুই হাজার ডলারের মতো। সঙ্গে পোশাক, স্লিপিং ব্যাগ, পরিচ্ছন্নতাসামগ্রী ইত্যাদির পেছনে দিনে দেড় হাজার ডলার খরচ হতে পারে।
ব্লু অরিজিন
ব্লু অরিজিনের নিউ শেপার্ড নভোযানের একটি আসন নিলামে কিনে নেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। ২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বিনিময়ে তিনি পাবেন—
- প্রশিক্ষণ
- উড্ডয়নের কাছাকাছি থাকার ব্যবস্থা
- অভিযান
জেফ বেজোস ও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে একই নভোযানে ভ্রমণের সুযোগের বিনিময়ে এই পরিমাণ অর্থ খরচ করতে রাজি হয়েছেন ওই অভিযাত্রী। তবে বাণিজ্যিক ভ্রমণে আসনপ্রতি খরচের বিবরণ এখনো প্রকাশ করেনি ব্লু অরিজিন।
অভিযানে অংশ নেওয়ার আগে প্রত্যেক অভিযাত্রী বেশ কয়েক দিনের প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। ক্যাপসুলে প্রবেশ ও বের হওয়া, অভিযানের মহড়া এবং মহাকর্ষহীন পরিবেশে কীভাবে নড়াচড়া করতে হবে, তা শেখানো হবে প্রশিক্ষণে।
ভার্জিন গ্যালাকটিক
আসনপ্রতি আড়াই লাখ ডলার করে ৫৮টি দেশের প্রায় ৬০০ গ্রাহক ভার্জিন গ্যালাকটিকের ইউনিটি নভোযানে মহাকাশভ্রমণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই খরচে থাকবে—
- অভিযান
- প্রশিক্ষণ
- একটি করে স্পেসস্যুট
ব্লু অরিজিনের নিউ শেপার্ড রকেটের মতো ইউনিটি কারমান লাইন (মহাকাশের কাল্পনিক সীমা) অতিক্রম করবে না। বরং কারমান লাইনে পৌঁছালে মিনিট কয়েকের ভরশূন্যতার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন নভোচারীরা।
এই অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য মাসের পর মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৭০ বছর বয়সী রিচার্ড ব্র্যানসন। আর কিছুক্ষণ বাদেই তাঁকে বহনকারী নভোযান উড্ডয়নের কথা রয়েছে।