বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

মরুভূমিতে বিশ্বের প্রথম থ্রি-ডি প্রিন্টেড হোটেল

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

থ্রি-ডি প্রিন্টার হলেও এটি আকারে একটি বড়সড় ক্রেনের সমান। টেক্সাসের মরুভূমি অঞ্চলে ধাপের পর ধাপ বসিয়ে এই প্রিন্টারটিই একটি হোটেল নির্মাণ করছে।

এল কসমিকো নামের হোটেলটি টেক্সাসের মারফা শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। ৬০ একরজুড়ে বিস্তৃত এ হোটেলে থাকবে ৪৩টি হোটেল ইউনিট ও ১৮টি আবাসিক বাড়ি। আর এ সবকিছুই তৈরি হবে থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে।

এল কসমিকো’র মালিক লিজ ল্যামবার্টের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম থ্রি-ডি প্রিন্টেড হোটেল; এই প্রকল্পটির সহযোগী হিসেবে রয়েছে টেক্সাসের থ্রি-ডি প্রিন্টিং কোম্পানি আইকন।

লিজ ল্যামবার্টের মতে, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে এমন সৃজনশীলতা সম্ভব, যা আগে কেউ দেখেনি।

তিনি বলেন, বছরের পর বছর একই রকম নকশায় নির্মাণ করা হচ্ছে হোটেলগুলো, যার অধিকাংশ চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অথচ থ্রি-ডি প্রিন্টারের বদৌলতে এখন এতো মসৃণভাবে একেকটি দেয়ালগুলোর কার্ভ, গম্বুজ তৈরি করা যাচ্ছে যে রীতিমতো অবিশ্বাস্য মনে হয়!

ল্যামবার্টের মতে, এই হোটেল ইউনিটে এমনভাবে স্থাপত্যবিদ্যার বিভিন্ন কৌশল কাজে লাগানো যেতে পারে, যা অন্য সময় করতে গেলে খরচ বেশি পড়বে।

নির্মাণাধীন প্রথম দুটি ইউনিটের একেকটি তলায় ১২ ফুট উঁচু দেয়াল আছে, যার মধ্যে তিন বেডরুমের রেসিডেন্সিয়াল ইউনিট এবং এক রুমের হোটেল ইউনিট আছে। ভবনটির বেইজ রঙের বাঁকানো দেয়ালগুলো নির্মাণে নিয়োজিত রয়েছে ৪৬.৫ ফুট চওড়া, সাড়ে ১৫ ফুট উঁচু ও পৌনে পাঁচ টন ওজনের ‘ভালকান’ নামের একটি থ্রি-ডি প্রিন্টার।

মরুভূমি অঞ্চলে ধাপের পর ধাপ বসিয়ে হোটেলটি নির্মিত হচ্ছে

মরুভূমি অঞ্চলে ধাপের পর ধাপ বসিয়ে হোটেলটি নির্মিত হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

একজন প্রিন্ট টেকনিশিয়ান ভালকানের তত্ত্বাবধান করে থাকেন।

এই প্রিন্টারের কালিটিতেও রয়েছে বিশেষত্ব; লাভাক্রেট নামে বিশেষ সিমেন্ট-ভিত্তিক উপকরণে তৈরি এই কালি। আইকনের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা জেসন ব্যালার্ড জানান, শ্রমিকেরা আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে নির্মাণের উপকরণগুলোর সমন্বয় করে থাকে।

এর পাশাপাশি অস্টিন শহরের কাছাকাছি মানুষের জন্য বসতি তৈরির কাজও করছে আইকন।

তবে দীর্ঘমেয়াদে থ্রি-ডি ভিত্তিক নির্মাণশিল্পের প্রভাব মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডিপার্টমেন্টের প্রভাষক মিলাড বাজলি।

২০২৬ সাল নাগাদ শেষ হতে পারে এল কসমিকোর নির্মাণকাজ। এ হোটেলে একেকটি রাত কাটাতে গুনতে হবে ২০০ থেকে ৪৫০ ডলার পর্যন্ত।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com