এ যেন প্রকৃতির এক মায়ার চাদর বিছানো নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর ও কান্দারগাঁওয়ে মধ্যবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীর চরে। সেখানে দেখলে মনে হয়রূপসীর রূপের ছোয়া চারপাশে । এ ছোঁয়ায় মুগ্ধ হয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আকাশ।
এখন প্রকৃতিতে শরৎকাল। নীল আকাশ জুড়ে অলস মেঘের অবাধ বিচরণ। সেখানে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘ। সেই হাওয়ার দোলা দুলতে থাকে ফুটে থাকা সাদা কাশবনে। যত দূরে চোখ যায় তাকিয়ে মনে হয় এ যেন শুভ্র আকাশ এসে মাটিতে আঁচড়ে পড়েছে। দূর থেকে দেখে বুঝারউপায় থাকে না আকাশ আর মাটির সম্পর্ক কত দুরত্ব । চারপাশ কাশফুল বাতাসে দুলছে, কিশোর, বাতাসে ফুলের পাপড়ি উড়ে চোঁখে মুখে আঁচড়ে পড়ে।
মেঘনা নদীর তীরে চিকচিক করা বালির উপর কাশফুলের এ বিশাল ছড়াছড়ি যে কারো মন মুগ্ধ করবে। সেখানে গেলে চোখে পড়বে এমন মায়াবী কাশফুলের দৃশ্য। রাস্তার দুপাশ জুড়ে যতদূর চোখ যায় শুধু শুভ্র কাশফুল। সেখানে বাশের তৈরী টাওয়ার উঠে চারপাশে তাকালে আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করা যায় রূপসী বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যকে। নদীর তীরে প্রায় ৬শ বিঘা জমির পুরোটাই শুভ্র কাশফুলে আবৃত।
বিকেল হলেই পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জ থেকে অসংখ্য দর্শনার্থীদের ভীড় জমে এ মেঘনার পাড়ে। তারা তাদের প্রিয় মানুষকে নিয়ে, পরিবারকে নিয়ে, বন্ধুদের নিয়ে অনেকেই কাশফুলের বিনোদনে মেঠে উঠেন। চিকচিক করা বালির উপর কিশোর ছেলেরা ফুটবল খেলায় মেঠে উঠে। নারায়ণগঞ্জ জেলার বিনোদন প্রিয় মানুষদের জন্য সোনারগাঁয়ের এ মনমুগ্ধকর স্থানটি হয়ে উঠেছে বিনোদন কেন্দ্র। তবে এই উপজেলার মানুষদের মধ্যে বিনোদনের আমোদে-প্রমোদের রূপটা পাল্টে যায় কাশফুলের বিদায়ে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী হিমু , নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী বায়জিদ, হরগঙ্গা কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম, নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী বাপ্পি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাছানের। তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে এখানে ঘুরতে আসেন। তারা বলেন মেঘনা নদীর তীরে এ কাশবন অনেক সুন্দর। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। সব মিলিয়ে চমৎকার দৃশ্য। শহরের ধুলোবালির মাঝে এমন একটি স্থান পাবো কল্পনাতেও ভাবিনি। নারায়ণগঞ্জ শহরের এক অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক এই কাশবন।
পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পাড়ে শরৎকালে কাশবন মাসের পর মাস বেশি সময় ধরে দেখা যায়। এখানে এ সময়ে প্রতিদিনই অনেক দর্শনার্থী আসেন।