শীত মানেই উৎসবের মৌসুম। আরামদায়ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বিয়েরও ধূম পড়ে যায়। যারা এ শীতে বিয়ে করছেন কিন্তু এখনও মধুচন্দ্রিমার স্থান নির্বাচন করতে পারেননি, তারা একান্তে সময় কাটানোর জন্য বেছে নিতে পারেন প্রতিবেশী দেশ ভারতের কয়েকটি জায়গা।
গুলমার্গ : বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর ক্লান্ত হয়ে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। একান্তে সময় কাটাতে নতুন দম্পতি চলে যেতে পারেন দূর পাহাড়ে। জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের বরমুলা জেলায় গুলমার্গ শহরটি অবস্থিত। মানালি কিংবা সিমলার মতো পাহাড়ি এ শহরটি অতটা কোলাহলপূর্ণ নয়। অভিযানপ্রিয় দম্পতির জন্য এ জায়গাটি হতে পারে আকর্ষনীয় স্থান।
ওটি : দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের বিখ্যাত পাহাড়ি শহর ওটি। নতুন দম্পতির জন্য এ স্থানটি অনেকটা স্বর্গের মতো। পাহাড় আর শান্ত প্রকৃতিতে ঘেরা অপূর্ব একটি স্থান ওটি। দিনে প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ আর রাতে হোটেল রুমে ফায়ারপ্লেস জ্বালিয়ে মুখোমুখি বসার মতো রোমান্টিক আর কি হতে পারে?
গোয়া : এ শীতে মধুচন্দ্রিমার জন্য গোয়া হতে পারে আদর্শ একটি স্থান। যেসব দম্পতি সাগর পছন্দর করেন তারা যেতে পারেন এ শহরে। শান্ত , ছিমছাম এ শহরে শীতে তাপমাত্রা দাঁড়ায় ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া দম্পতিরা দিনের সূর্যোলোকে কিংবা রাতেও উপভোগ করতে পারেন সাগরের অপরূপ সৌন্দর্য।
দার্জিলিং : অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও দার্জিলিংয়ের আবহাওয়া নতুন দম্পতির জন্য আকর্ষণীয় হতে পারে। এখানকার চা বাগানের সৌন্দর্য, ট্রেনে যাতায়ত আর হিমালয় দর্শন মধুচন্দ্রিমার আনন্দ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।
আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ : ভারত মহাসাগরে অবস্থিত এ দ্বীপপুঞ্জগুলি ভারতীয় উপদ্বীপ থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন, তবে এখানকার সৌন্দর্য অতুলনীয়। এ অঞ্চলে পোর্ট ব্লেয়ার এবং হ্যাভলোক দ্বীপ নামে দুটি শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যদিও পোর্ট ব্লেয়ার ঐতিহাসিক কারণে পরিচিত কিন্তু হ্যাভেলোক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চমৎকার আবহাওয়া আর পরিবেশ নতুন দম্পতির দিনগুলো স্মরণীয় করে তুলবে।