কর্মব্যস্ত জীবনে অবসরের দেখা মেলা অনেক কঠিন ব্যাপার। তবু যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, বছরের কিছু সময় প্রকৃতির কাছে নিজেকে আত্মসমপর্ণ করতে চান তারা ঠিকই সময় বের করে নেন। পৃথিবীর প্রতিটি দেশই অনেক সুন্দর, তবু কিছু জায়গা থাকে যার সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে, বিমোহিত করে। পাঠকদের আজকে এমন কিছু জায়গার কথা বলব যেখানে অনায়াসে আপনার মধুচন্দ্রিমা সেড়ে আসতে পারেন। ইচ্ছে করলে প্রিয়জন, বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যেদের নিয়ে যেতে পারেন পৃথিবীর স্বর্গীয় এসব জায়গাগুলোতে।
সান্তোরিনি: গ্রিসের দক্ষিণ এজিয়ান সাগরের একটি দ্বীপ। দ্বীপটির অসাধারণ সৌন্দর্য, মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্ত, ব্যতিক্রম সৈকত(কালো, লাল, সাদা পাথরের সৈকত) দেখা যাবে এখান থেকে। সাদা রঙের সাইক্ল্যাডিক পাথরের চমৎকার সব বাড়ি এবং নীল গম্বুজের চার্চের দেখা মিলবে সান্তোরিনিতে।
বোরা বোরা দ্বীপ: ফ্রান্স পলিনেশিয়া অঞ্চলের দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দ্বীপ তাহিতির ১৫০ মাইল উত্তর-পূর্বে বোরা বোরা দ্বীপটির উপস্থিতি। বালুর সৈকত, ফিরোজা রঙয়ের নিরেট স্বচ্ছ জলরাশি, কুঁড়ে ঘরের মতো ছোট ছোট অসংখ্য থাকার জায়গা, নির্জন অগভীর হৃদ, সবুজ পাহাড় আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে। এই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকেই এতোটাই বিমোহিত করবে ফিরে আসতেই ইচ্ছা করবে না। মধুচন্দ্রিমার জন্য এরচেয়ে ভালো জায়গা আর কী হতে পারে বলুন!
মালদ্বীপ: মধুচন্দ্রিমা এবং বেড়ানোর জন্য জনপ্রিয় জায়গা হচ্ছে মালদ্বীপ। অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপের সমষ্টি এই দেশ। নীল রঙের পানি, সাদা বালুর সৈকত, ঘন সবুজ বৃক্ষরাজি, চমৎকার সব রিসোর্ট আপনাকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিবে।
পুন্টা কানা: ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের একটি সৈকত। নরম বালু, শান্ত নীল রঙয়ের পানি, পাম গাছ, স্কুবা ডাইভিং, জেট স্কি, নৌ ভ্রমণসহ অসংখ্য বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।