জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ভাষায়, সৌরঝড়ের নাম হলো ‘করোনাল মাস ইজেকশন’। এমন ঘটনায় সূর্য থেকে তীব্র চৌম্বকীয় কণার নিঃসরণ হয়। এই কণাগুলো ঘণ্টায় কয়েক মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারত। ১৩ ঘণ্টা থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে এসে পৌঁছায় পৃথিবীতে।
পৃথিবীর পরিমণ্ডল এই কণাগুলো থেকে আমাদের রক্ষা করে। তবে ক্ষতি করতে পারে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের। পাশাপাশি তীব্র বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহিত করে মানুষের তৈরি অবকাঠামোগুলোর ক্ষতি করতে পারে বলে জানানো হয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে।
আমাদের জানামতে, প্রথম সৌরঝড় হয় ১৮৫৯ সালে। প্রায় ১৭ ঘণ্টায় সেটি পৃথিবীতে পৌঁছেছিল। টেলিগ্রাফ নেটওয়ার্কের ক্ষতি করেছিল সে সময়ে। বৈদ্যুতিক শক অনুভূত হয়েছিল বলেও জানিয়েছিলেন অনেক টেলিগ্রাফ অপারেটর। ১৯২১ সালের আরেক সৌরঝড় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টেলিগ্রাফ সংযোগ এবং রেলপথের ক্ষতি করেছিল। ১৯৮৯ সালে তুলনামূলক কম শক্তির আরেক ঝড়ে কানাডার কেবেকের বিদ্যুতের গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
গত তিন দশকে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে দ্রুত। এ সময়ে সূর্য কম সক্রিয় ছিল। আমাদের বর্তমান অবকাঠামো শক্তিশালী কোনো সৌরঝড়ে টিকে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে তেমন গবেষণাও হয়নি।
সৌরঝড়ে এশিয়ার দেশগুলো তুলনামূলক নিরাপদ বলে মনে করেন সংগীতা জ্যোতি। তাঁর ভাষায়, নিম্ন অক্ষাংশের দেশগুলোর ঝুঁকি অনেক কম। তবে সেটা নিশ্চিত করে বলার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
প্রথম আলো